উদ্বায়ীরা উধাও হও...

উদ্বায়ীরা উধাও হও...

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১১



সীমার হবে , বুকের পশম নিচ্ছে কেটে_
পাল্টে নেবে মুখের সাঁজ-ও মুখোশ এঁটে ।

শুধরে নিলো জমাট বাঁধা দরদ-স্নেহ,
ভীষণ তাপে গলিয়ে দিয়ে; - ঝাঁঝরা দেহ
পোকায় খাওয়া; হাঁটছে এখন শূণ্য-চোখে,
দানব হবে ; শুষ্ক-কঠোর-রুষ্ঠ-রোখে !

ইতিহাসের ছিঁড়ছে পাতা গ্রন্থ ঘেটে ..
এখন কেবল গর্জ্বে ওঠা ক্রোধে ফেঁটে !

অসম্ভবের শেকড় টেনে উপড়ে ফেলা_
রক্ত-চোখের দৃষ্টি কেড়ে পুতুল খেলা _

লোহার হাতে আগুন জ্বেলে- লালের আভা
আপোষকামীর গলায় ছুড়ে হিংস্র থাবা
সর্বহারার পিঠের কাছে দেয়াল ঠেকা
বিলীন করে হাতের তালুর ভাগ্য-রেখা _

এখন থেকে জীবন-যাপন এসিড গেলা !
থমকে দেবে সকাল-সন্ধ্যা-রাত্রী বেলা !

কোমল আলোর কবর হবে কালের পেটে -
তপ্ত-দুপুর চিড়স্থায়ী রইবে সেঁটে !

অলস ঘুমের আরাম চাঁদর কাফন হবে ,
শয্যাশায়ী এই পৃথিবীর বাইরে রবে !

পাহাড় বেয়ে শ্যাঁওলা জমা পিছল সিঁড়ি
নতুন হবে ; আগুন দেবে অগ্নি-গিরি ।
পাথর গলার এখন সময় লাভার স্রোতে ,
উদ্বায়ীরা উধাও হবে দৃশ্য হতে !!

কে আছো হে - কে আছো হে..জাগবে কবে ?
এই এখনি বদ্ধ করো মুষ্ঠি তবে !

কঠোর পায়ে ক্রুদ্ধ দানব চলছে হেঁটে...
বাগান হতে সব আগাছা ফেলবে ছেঁটে !

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৩৭/-০

মন্তব্য (৭০)

ছাত্রলীগের গান ;)

ছাত্রলীগের গান ;)

০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪


আমরা টেরর আমরা বিগ
আমরা ছাত্রলীগ !
মোদের পায়ের তলায় মুর্ছে স্বদেশ
উর্দ্ধ্বে তুলে মারসি কিক !

আমরা ছাত্রলীগ !!

থাকি; দিন-বা-রাতে অস্ত্র হাতে
পত্রিকা পাতায়,
আমরা শক্তখুলি রক্তে রাঙাই
ক্ষুর-চাপাতির ঘায় !

দিনে দিনে হচ্ছি দানব
ছুটছে সবাই দিগ্বিদিক _

আমরা ছাত্রলীগ !!

মোদের দক্ষতাতে হলগুলোতে
লক্ষপূরন বেশ!
নেত্রীদেবীর আশীর্বাদে
দখলপর্ব শেষ;

আমরা যেমন খুশি করবো তেমন
এই আমাদের সব সঠিক -

আমরা ছাত্রলীগ !! 

আমরা ধরতে রাজী, জীবন-বাজী;
চান্দাবাজীর ভাগ_
কেউ খাবে আর কেউ খাবেনা??
ফাটাও ওদের নাক!

সংগে আছে কিরিচ-কুড়াল
রিভলবার আর লোহার শিক !

আমরা ছাত্রলীগ !!

সবাই যখন বুদ্ধি জোগায়
আমরা ধার ধারিনা ,
দেশটা মোদের বাপের তালুক/
পয়সা দিয়ে কিনা!

দারুন রাতের আমরা তরুন
গান্জা টেনে ঢুলছি “হিক” !

আমরা ছাত্রলীগ !!

মোদের চক্ষে ভাসে অস্ত্র-বারুদ
বক্ষ ভরা রাগ
কণ্ঠে মোদের কুন্ঠাবিহিন
“ধর-ধর-ধর” ডাক !

আমরা স্বরাষ্ট্র-“মা”র শ্বেত-কমলের
প্রশ্রয়ে নির্ভিক !

আমরা ছাত্রলীগ!!


ঐ দারুন মারামারির দিনে
আমরা ফাটাই শির
দিনবদলের আমরা সেনা
নতুন শতাব্দীর !

মোদের গৌরবে আজ নেত্রী-মাতা
ত্যজ্য করে দিচ্ছে... ? - দিক !

(তবু) আমরা ছাত্রলীগ !!

নিউ-ভিসনের ডিজিট মোরা
দলের-ভবিষ্যত,
মোদের তান্ডবে আজ দেশের মানুষ
দিচ্ছে নাকে খত ,

তবু মোরা গর্বিত ভাই
আদর্শিত (?) সু-সৈনিক !

আমরা ছাত্রলীগ !!

B-) 

মন্তব্য ২৬৮ টি রেটিং +১৭৪/-২০

মন্তব্য (২৬৮)

জ্বলছে জাহাজ . . .

জ্বলছে জাহাজ . . .

২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৭

 

এখন সময় ....
জঙ্গী বিমানের ককপিটে দাঁড়িয়ে আযান দেয়ার !
ঈমানের কেন্দ্রবিন্দু হতে সু-দীপ্ত উচ্চারণ
আল্লাহু-আকবার তাকবীর...
যুগের বিপ্লবী মুয়াজ্জিন ?
অত্যাচারীর জন্য বিভীষিকা-পয়গাম
ঘোষিত হোক !!

আমাদের দরকার
অন্ত:ত কয়েক শ' পারমানবিক বিস্ফোরক
যার দাপটে থরথর কাঁপে
সময়ের নমরুদ আর ফেরাউন;
সদা প্রস্তুত অশ্বারোহী সেনাদল-
সে-তো যুদ্ধাস্ত্রে প্রস্তুতির-ই আহবান ছিলো ...

পিছু হটবার জাহাজ
জ্বালিয়েছিলেন সেনাপতি তারিক ,
এখন আমাদের পালাবার পথ
এমনিতেই রুদ্ধ; দেয়ালে পিঠ ঘষে
তবে কেন ? কেন শয়তানের
টুঁটি চেপে ধরবোনা হিংস্র হুংকাড়ে ?

আমাদের সবগুলো
পরমানু গবেষণাগারে আজ হতে
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হবে , 
তারপর - তারপর যে নরাধমের মুখ হতে
মুসলিম টেররিষ্ট শব্দ উচ্চারিত হবে_
তার কণ্ঠনালীতে এক সাহারা পিপাসা
ঢেলে দেবো আঙুলের তীব্র প্রতিরোধে !! 

________________________________
"তাদের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য শক্তি সঞ্চয় কর এবং যুদ্ধের জন্য সদাপ্রস্তুত ঘোড়া, যাতে করে তা দিয়ে তোমরা আল্লাহর দুশমন এবং তোমাদের দুশমনদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতে পার; এছাড়াও তাদের মধ্যেও যাদেরকে তোমরা জাননা, কিন্তু আল্লাহ জানেন। আর তোমরা যা কিছুই আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করো তা তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তোমদের প্রতি কোন জুলুম করা হবেনা।" [আল-আনফালঃ ৬০]

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +৪৯/-১০

মন্তব্য (৯২) 

বাঁশের কেল্লার মহানায়ক : শহীদ তীতুমীর

ভিডিও
 

বাঁশের কেল্লার মহানায়ক : শহীদ তীতুমীর

১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০২


 

 
-ছেলেটা হুমহাম তাড়াহুড়া করে ভাত মুখে পুরছিলো । এত তাড়া তার !! মা ধমক দিয়ে ধীরে সুস্থ্যে খেতে বলে , কিন্তু তার মাথায় তখন অন্য চিন্তা । সংগীরা অপেক্ষা করছে ও পাড়ার সুপাড়ী বাগানে । এমন সময় কে একজন দৌড়ে এসে তার কানে কানে খবরটা দিয়ে যায় , মন্ডলদের বাড়ির পেছনে একটা বাঘের বাচ্চা দেখা গেছে । ভাতের থালা থেকে হাত গুটিয়ে উঠে পড়ে সে । কতদিনের শখ- একটা বাঘের বাচ্চা পুষবে ... ;)
-তীতুমীরের জীবনগাঁথা নিয়ে লেখা কোন এক উপন্যাসের শুরুটা এমন ছিলো । অস্পষ্ট মনে আছে । নাম সম্ভবত "তীতুর লেঠেল " আতা সরকার লেখক ...
-সাইয়্যেদ মীর নীসার আলীর তীতুমীর হবার একটা গল্প-ও আজই শুনলাম । একেবারে ছেলেবেলায় নাকি তিনি রোগা ছিলেন , তাই দাদী গাছের বাকল, লতা, পাতা, শিকড় বেটে তিতা রস বানিয়ে খাওয়াতেন তাকে । অনায়াসে গিলে ফেলতেন তিনি সেই রস । দাদী এখান থেকেই তাকে ডাকতে শুরু করেন তিতা-মীর ;)
-২৭ জানুয়ারী ১৭৮২ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই মহান যোদ্ধার জন্ম হয় । বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুযায়ী তারিখটা ১৪ ই মাঘ- ১১৮২ । জন্মস্থান চব্বিশ পরগনার হায়দ্রাবাদ । তীতুমীরের বাবা মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রুকাইয়া খাতুন । তীতুমীর হযরত আলী রা: এর বংশধর । তার পূর্বপুরুষ সৈয়দ শাহাদাত আলী ইসলাম প্রচারোদ্দেশ্যে প্রথম আরব থেকে আসেন । শাহাদাত আলীর পুত্র সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহকে জাফরপুরের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয় দিল্লী প্রশাসন । উনি-ই বিচারকার্যের জন্য "মীর-ইনসাফ" উপাধি পান ....
-১৮ বছর বয়সে কুরআনের হাফেজ হন তীতুমীর । বাংলা - আরবী-ফারসী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি একই সাথে একজন ব্যয়ামবীর পালোয়ান হিসেবে পরিচিত হন বন্ধুমহলে । ইসলামী আইন-বিচারব্যবস্থা - দর্শনশাস্ত্রেও পারঙগমতা অর্জন করেন তিনি ...
-মূলত: ১৮২২ সালে হজ্জ্বে যাওয়ার পর থেকেই তীতুমীরের চিন্তাধারার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয় । বিশ্বমুসলিমের এই মহাসমাবেশের পর তার সাথে দেখা হয় সৈয়দ আহমেদ ব্রেলভীর সাথে । ১৮২৭ এ তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রামে । শির্ক ও বিদয়াতমুক্ত মুসলিম সমাজ গঠনের দাওয়াতে নেমে পড়েন । মুসলিম সমাজের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার দিকেও মনোযোগ দেন তিনি । তার কাজ শুরু হয় চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় ।
-কিছুদিনের মধ্যেই তৎকালীন সৈরাচারী সাম্প্রদায়িক জমিদারশ্রেনীর সাথে তীতুমীরের টক্কর শুরু হয়ে যায় । নানারকম অপমানজনক ট্যাক্স ধার্য করা হচ্ছিলো । মুসলমানদের দাঁড়ি রাখা .. এমনকি মসজিদের ওপর ট্যাক্স ধার্য করে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মদদপুষ্ট অত্যাচারী জমিদার কৃষ্ণদেব রায় । একই সাথে দেবনাথ রায় (গোবরা গোবিন্দপুর) , গৌড়ী প্রসাদ চৌধুরী (নাগপুর), রাজনারায়ণ (তারাকান্দি), কালিপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় (গোবরডাঙ্গা) প্রমুখ হিন্দু জমিদারেরাও সতর্ক হয়ে ওঠে তীতুর আন্দোলনের ব্যাপারে ।
-এসময় তীতুমীর অত্যাচারিত কৃষকদের কে সংগঠিত করে লাঠি-সড়কি জাতীয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী গড়ে তোলেন । তার ভাগ্নে শহীদ গোলাম মাসুম ছিলেন এই মুজাহিদ বাহিনীর সেনাপতি ।
- জমিদার কৃষ্ণদেব রায় পার্শ্ববর্তী সরফরাজপুরে (বর্তমান নাম - সর্পরাজপুর) শত শত লোক জড় করে লাঠিসোঁটা, ঢাল-তলোয়ার, সড়কিসহ শুক্রবার জুমার নামাজরত অবস্খায় মসজিদ ঘিরে ফেলে এবং মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিন দু’জন শাহাদত বরণ করেন , আহত হন অসংখ্য । মুসলমানদের মামলায় পুলিশ ঘটনাস্খলে না গিয়ে থানায় বসেই মামলার রিপোর্ট দেয়।
-তিতুমীর তার লোকজন নিয়ে সরফরাজপুর থেকে ১৭ অক্টোবর ১৮৩১ সালে নারকেলবাড়িয়া হিজরত করেন। ২৯ অক্টোবরেই কৃষ্ণদেব নারকেলবাড়িয়া আক্রমণ করে বহু লোক হতাহত করে। ৩০ অক্টোবর এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে গেলে কোনো ফল হলো না। ৬ নভেম্বর কৃষ্ণদেব আবার মুসলমানদের ওপর নারকেলবাড়িয়ায় আক্রমণ করল।
-হিন্দু ও ইংরেজদের যৌথ আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁশের মজবুত খুঁটি দিয়ে কেল্লা তৈরী করেন । ইতিহাসে এটা ‘তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা’ নামে পরিচিত।
-শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমঝোতা করার সব উপায় ব্যর্থ হবার পর তীতুমীর বারাসাতে ইংরেজ সরকারের বিপক্ষে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । চব্বিশ পরগনার কিছু অংশ , নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন । এটাই বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয় । বর্নহিন্দুর অত্যাচারে জর্জরিত অনেক হিন্দু কৃষক ও এ বিদ্রোহে ছিলো । বারাসাত বিদ্রোহে গোবরাগোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হয় ।
- বারাসাত বিদ্রোহের পর তীতুমীর উপলদ্ধি করেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াই আসন্ন । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সরকার কর্নেল স্টুয়ার্ডকে সেনাপতি করে একশত ঘোড়া, তিনশত পদাতিক সৈন্য, দু'টি কামানসহ নারকেলবাড়ীয়াতে রওনা করায় ১৩ নভেম্বর। মেজিষ্ট্রেট আলেকজান্ডার নারকেলবাড়ীয়ায় একজন হাবিলদার, একজন জমাদ্দার, পঞ্চাশ জন বন্দুক ও তরবারীধারী সৈন্য নিয়ে নারকেলবাড়িয়ার কাছাকাছি ভাদুড়িয়ায় উপস্খিত হন। পরে বশিরহাটের দারোগা সিপাহী নিয়ে ভাদুড়িয়ায় আলেকজান্ডারের সাথে মিলিত হয়। প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয় মুজাহিদ বাহিনীর সাথে । এতে উভয় পক্ষের লোক হতাহত হয়। যুদ্ধে দারোগা ও একজন জমাদ্দার মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়, বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট মি: আলেকজান্ডার পালিয়ে বেঁচে যান ।
-পরের দিন ১৪-নভেম্বর কর্নেল স্টুয়ার্ডের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার প্রধান দরজায় পৌঁছে । স্টুয়ার্ড পথ প্রদর্শক রামচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাস করলেন, 'এই ব্যক্তিই কি তিতুমীর'? রামচন্দ্র, বলল 'হ্যাঁ, সে নিজেকে তিতু বাদশা বলে প্রচার করে। আপনার আগমনে তারা বাহানা পরিবর্তন করেছে।'
-স্টুয়ার্ড রামচন্দ্রকে বলল, 'তিতুমীরকে বলুন, বড়লাট লর্ড বেন্টিংক-এর পক্ষ থেকে আমি সেনাপতি হিসেবে এসেছি। তিতুমীর যেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে। তবে উত্তরে সে যা বলবে তা আমাকে হুবহু বলবেন।'
-রামচন্দ্র তিতুমীরকে বলল, 'আপনি কোম্পানী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এখন জপমালা ধারণ করেছেন। আসুন, তরবারী ধারণ করে বাদশার যোগ্য পরিচয় দিন।'
-শুনে সাইয়েদ নিছার আলী তিতুমীর বললেন, 'আমি কোম্পানী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। হিন্দুদের ন্যায় আমরাও কোম্পানী সরকারের প্রজা। জমিদার নীলকরদেরঅত্যাচার দমন এবং মুসলমান নামধারীদের প্রকৃত মুসলমান বানানোর জন্য সামান্য চেষ্টা করছি মাত্র।'
-তিতুমীরের জবাব শুনে রামচন্দ্র দোভাষী হিসেবে কর্নেল স্টুয়ার্ডকে বলল, 'হুজুর, তিতুমীর আত্মসমর্পণ করবে না, যুদ্ধ করবে। সে বলে, সে তোপ ও গোলাগুলীর তোয়াক্কা করে না। সে আরো বলে, সে তার ক্ষমতাবলে সবাইকে টপ টপ করে গিলে খাবে। সে এই দেশের বাদশা, কোম্পানী আবার কে?'
-দোভাষীর কাজ করতে গিয়ে রামচন্দ্রের বিশ্বাসঘাতকতায় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো । সুশিক্ষিত ইংরেজ সৈন্য মেজর স্কটের পরিচালনায় ও তাদের ভারী কামানের গুলীর সামনে লাঠি আর সড়কির কৃষকসেনারা দাঁড়িয়ে গেলো । বাঁশের কেল্লা ধ্বসে পড়লো । তিতুমীর ও তার মুজাহিদরা হানাদারবাহিনীর কাছে মাথা নত না করে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান । ১৯ নভেম্বরে শেষ হয়ে যায় তীতুমীরের প্রতিরোধ । শহীদ হন উপমহাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের এই বীরমুজাহিদ ।
__________________________
যেসব পেইজ দেখে লিখতে গিয়ে কিছুটা গোলমাল হয়েগেছে বলে আমার ধারনা ....
উইকিপিডিয়া বাংলাপিডিয়া | নয়াদিগন্ত | বিবিসি জরিপ কোথাও খটকা লাগলে এগুলো দেখে নিয়েন ... :-) 

৬১ কেজি মাটির পিন্ড !!

৬১ কেজি মাটির পিন্ড !!

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫০

 
ওর-ই পাশের রুমে - রশীদের ৫০০৬ এর আদিল ফয়সাল বলতেছিলো ফয়সালের শেষ কথা , "আমাকে নদীতে ফালাই রাখছো ক্যান ? " যন্ত্রণার অসীম সমুদ্রে ডুবে থাকা ফয়সালের মনে হচ্ছিলো তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে !! আদিল স্বান্তনা দিছে , "তোমাকে যেখানেই রাখুক, আমরা আছি, ঠিক ই নিয়ে আসবো "

জানাযার কাতারে দাড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাই পিছনে । বিরাট লম্বা লাইন ধরে ওরা দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছরের সহচরকে বিদায় সম্বর্ধনা দেবার জন্য । বুক ঠেলে উঠে আসা কান্নার দমককে ঠেকিয়ে রেখে খেয়াল করি, ক্লান্ত-শ্রান্ত মুখগুলো কেমন বিস্মিত হয়ে কেবলি ফিসফিস করছে । প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ টুকুই তো ছিলো ফয়সালের জন্য , মাথার ওপরে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি, আল্লাহ, তুমি নিয়েই গেলে ওকে ...

নতুন জামা পড়েও মন খারাপ করে আছি কেন ? এ ছিলো ওর অভিযোগ ! ওর সাথে প্রথম কথা ! 

ওরা ধরাধরি করে গাড়ি থেকে নামিয়েছে ফয়সালকে , চিড়চেনা হাসিমুখের ফয়সাল শাদা কাফনে জড়ানো জড়পিন্ড হয়ে গেছে । অবিশ্বাসী চোখে দেখি সে অদ্ভূত দৃশ্য ! ওকে নামাতে নামাতে মাটির সাথেই রেখে দিলো একেবারে । ইমামসাহেব জানাযার ৪ তাকবীরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন , আমি ঘোর নিয়ে তাকিয়ে আছি শুয়ে থাকা ফয়সালের দিকে ...

কত অসহায় যে নিজেকে লাগছিলো .. ছন্নছাড়া ভাবনা হানা দেয় মনে , কিছুদিন আগে জিমনেশিয়ামে ওয়েট মাপছিলাম, খোলা মাঠে আকাশের নীচে দাড়িয়ে মনে হলো এই অনন্ত মহাবিশ্বে একষট্টি কেজি ওজনের এই মাটির বস্তুটুকু আমি ... আমার কি মূল্য - আমাকে যেকোন মুহুর্তে নাই করে দিলে কার কি আসে যায় !! অথবা আমি থাকলেই বা কি আসে যায় ... 

স্রষ্টা এই আমি-মানুষকেই এতটা গুরুত্ব দেন , এত আলাদা সব ব্যবস্থা করে রাখেন, এত খেয়াল রাখেন , আমি যেন তার পছন্দের পথের একটু বাইরেও না সরে যাই, সেটুকু নিশ্চিত করতেও তার কত আয়োজন... অদ্ভূত লাগে ... ছন্নছাড়া লাইন মনে খেলা করে, আমার জন্য যে এক ফোঁটা চোখের জল ফেললো, তার জন্য জনম জনম কাঁদিবো ... 

আমার স্রষ্টা তুচ্ছ এই আমিকে নিয়ে এত ভেবেছেন , মনে হতেই অন্যরকম অনুভূতি আসে ...

ফয়সালের প‌্যারালাইজড বাবা, ওর মা.... তখনো হয়তো জানেন না ও আর নেই !! মাকে জানানোই হয়নি যে ওর অবস্থা এতটা খারাপ । সামান্য আহত ফয়সাল খুব শিঘ্রী সুস্থ্য হয়ে যাবে , সেরকমই আশা নিয়ে পথ চেয়ে ছিলেন তিনি ... আবার ভাবি, ওর বোনটির কথা ! মেডিকেল পড়ে ডাক্তার হবে ... পৃথিবীর শেষদিনটি পর্যন্ত কি সে ভুলতে পারবে প্রিয় ভাইয়ার হারিয়ে যাওয়ার এই শোক .. যে ভাইয়াটা ওরই জন্য - কঠিন ভর্তিপরীক্ষার দিনটিতে সাহস জোগানোর-ভরসা দেয়ার জন্য এসে এভাবে একেবারে চলে গেলো ...


কুল্লু নাফসিন যায়িক্বাতুল মাউতি, ওয়া নাবলুওয়াকুম বিশশাররি ওয়াল খাইরি ফিতনাতান ওয়া ইলাইনা তুরজায়ূন !! প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে , আর আমরা ভালো ও মন্দ অবস্থায় ফেলে তোমাদের সকলকে পরীক্ষা করছি । শেষ পর্যন্ত তোমাদের সকলকেই আমাদের দিকেই আসতে হবে ....

আল্লাহ , কেমন তোমার দেয়া সেই মৃত্যুর স্বাদ ... খুব ভয় লাগে ... 

প্রিয় ফয়সাল - নামাজী ফয়সাল অনেক কষ্ট করে আমাদের থেকে চলে গেলো , আল্লাহ, তুমি এবার তাকে পুরোপুরি শান্তির একটা আবাস দিও .... 

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২৪/-১

মন্তব্য (৫৪)

সোহেলের টিউশানি .. ..

সোহেলের টিউশানি .. ..

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৪৪

ইশকুল লাইব্রেরীতে ইছুপ ছার সোহেলের মার্ক জিজ্ঞেস করতেছিলেন । এই প্রথমবার খাইরুলকে ডিঙিয়ে কেউ ফাষ্র্ট হলো ।

-বাংলা ?
-৮৬
- ম্যাথ ?
-৯৮
-হায়ার ম্যাথ ?
-৯৯ 
-ফিজিক্স ?
-৮৮ ..... ডট ডট.... 

পরদিন বিকেলে সোহেল ক্রিকেট খেলতে মাঠে যাইতেছিলো । রাস্তা পার হবার সময় দেখা ইছুপ ছারের সাথে । 

ছার বল্লেন , 

- সোহেল , আমার ছেলেটারে তুই একটু পড়া ! 

সোহেল ; "না ছার" , বলে নিজের হাত মুচড়াতে লাগলো "আমি কি পড়াইবো, আমি পড়াইতে পারিনা" ... লাজুক সোহেল সংকোচে অর্ধেক হয়ে গেলো । 

এটা কিভাবে সম্ভব, সে কাউকে পড়াবে ? কখন পড়াবে ? কিভাবে পড়াবে ? বিকেল বেলা হলো ধুন্দুমার ক্রিকেট খেলার টাইম । সন্ধ্যার পরে খেলার মাঠের সুখ-দু:খের স্মৃতিচারণ !! কোনদিন কাউকে পড়ানোর অভিজ্ঞতা তার নাই ! তাছাড়া, ইছুপ ছারের ছেলে মেহদীর সাথেও তার কোনদিন তেমন কোন কথা হয় নাই । যেটুকুন হয়েছে, নিতান্তই চোখের পাতায় অস্বস্তি জাগানো দ্রুতরিদমের সালাম বিনিময় ! 

"পড়ানা একটু.. সম্মানী পাবি.. " 

কান ঝাঁ করে ওঠে সোহেলের । মাটির দিকে তাকিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে রাস্তার খোয়া খুঁচাতে থাকে ! বুঝতেই পারেনি সেদিন সোহেল স্যারের কথা । "নাহ, ছার", বলে আবার ফ্যালফ্যালে হাসি হাসে বিব্রত সোহেল ! 


৫৫০০ টাকা কোচিং ফি আর অতিরিক্ত ছিলো ১৭০০ টাকা । একমাসের খরচ । গুনে গুনে বুঝিয়ে দিছিলো সোহেলের মা । 

সাকিব ভাই ই প্রথম একটা টিউশনি দিছিলেন । সোহেল জিজ্ঞেস করছিলো, সপ্তায় কয়দিন পড়াইতে হৈবে । ভ্রু কুঁচকে সাকিব ভাই জবাব দিছিলো, আটদিন । মাসে ৩২ দিন পড়িয়ে ৫০০ টাকা হাতে নেবার চাকুরী সোহেল এক সপ্তাহ পর ছেড়ে দিলো ! ওর প্রথম ছাত্র মুন্তাসির বেশ মন খারাপ করেই মেস থেকে ফিরে গেলো সেদিন...


ভার্সিটিতে ভর্তির পর সুদুর মুগদায় সোহেলের দ্বিতীয় টিউশানি ! চার চারে ষোল দিন পড়াতে হবে ক্লাশ ফাইভের ছাত্রকে । টাকা পাবে ২০০০ ! তিনদিনে সোহেলের খরচ হলো পঁচাত্তর টাকা । "স্যার, আম্মু হামিদ আঙ্কেলের সাথে কথা বলতে বলেছে " - ছাত্রটি একথা বলার পরই সোহেলের মনে পড়লো, সে যেসব টেন্স আর পাষ্র্ট পার্টিসিপল শিখাইছিলো ছাত্ররে, তার কয়েকটাতে কোন পন্ডিতের কলমের খোচা , ভুল বলে চিহ্নিত করেছে... 


এরপর বেশ কিছুদিন পুরোপুরি ছন্নছাড়া দিন কেটেছে সোহেলের । বাবা রুমমেটের ফোনে কল দিলেই জিজ্ঞেস করেন, "আব্বা টাকা লাগবে ? টাকা লাগলেই বলবি, সেলিমের কাছে পাঠিয়ে দেবো... " সোহেল বলে, "নাহ টাকা আছে"... তবুও কয়দিন পরপরই সেলিম চাচার বাসা থেকে ফোন পায় ও, "তোর আব্বা টাকা পাঠাইছে , নিয়া যা..." 


ভোরে নাস্তা না করার অভ্যাসটা সোহেল রপ্ত করে এসময়ে । বিকেলটা এমনিতেই অভ্যাস হয়ে যায়... নাস্তা করার কথা মনেও পড়েনা..


বহুদিন পর, উত্তরা সাত নম্বরের একটা বাসার ঠিকানা হাতে পায় সোহেল । তিন দিন - ৩৫০০ টাকা । বেশ চমৎকার মাসখানেক পড়ায় সে । ছেলেটা মামার বাসায় থাকে । বাবা - মা চিটাগঙে.. কয়েকদিন পরে মামুন সোহেলের হাতে খুচরা মাসের ১২০০ টাকা দিয়ে বলে, স্যার, ব্যাচে পড়বো.. এভাবে পড়ে টাইম ম্যানেজ করা যাচ্ছেনা... 


এবার ক্লাশমেট সুজিত নিয়ে গেলো সাথে করে । পুরোনো ঢাকার ঠাঁটারীবাজারে বাসা । এত চমৎকার .. খুব পছন্দ হলো সোহেলের । পড়ানো শুরুর সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রের পরীক্ষা শুরু । এবং সেই পরীক্ষায় ইংরেজী ও ম্যাথ, দুটোতেই খুব খারাপ ফলাফল । ছাত্রের বাবা আমিনুর রশীদ সোহেলকে বললেন, স্যার , আপনাকে আরেকটু কঠোর হতে হবে । আপনি না পারলে আমাকে বলবেন, পিটিয়ে চামড়া তুলে নেবো.. তাজ্জব সোহেল কয়েকদিন বেশ চোখ গরম রেখে পড়িয়ে গেলো ছাত্রকে .. স্ট্যান্ডার্ড ফোরের হিমেল ছেলেটা ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদলো-ও কয়েকবার সোহেলের ধমক খেয়ে ! একমাস এক সপ্তাহ পরে একদিন হিমেলের মা বললেন, স্যার ছেলেটা পড়তে চায় না । পড়ে আবার কখনো ঠিক হয়ে গেলে আপনাকে খবর দেবো... বড়ৈ আফসুস হলো সোহেলের... 


ইশকুল জীবনের খাইরুলের ফোন এলো একটা একদিন । একেবারে নাকের ডগায় একটা ছেলেকে পড়াতে হবে । সোহেল হেঁটে যায় হেঁটে আসে... রিক্সা ভাড়াও লাগেনা । কী মজার টিউশানি । মাত্র নয়দিন পড়িয়ে মাস পাড় করে ৩৫০০ টাকা হাতে নিয়ে বেশ পুলক অনুভব করে ও । ... এরমধ্যে এক বন্ধে বাড়ি থেকে ফিরে এসে কয়েকদিন ফোন অফ করে ঘোরাফেরার পর ছাত্রটি এসে হাজির হয় ওর রুমে । বেশ আলাপে ছেলেটা কত কথা বলে ... তারপর আরো বলে, সপ্তাহে তিনদিন পড়ে সে কিছুতেই সিলেবাস কাভার করতে পারছে না । তাই, রাহাত ভাইকে বলে অন্য ইউনির দু'জন টিচার রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে ওর বড় ভাইয়া । খুব বিনয়ী হয়ে বলে, "ছার, আমার তো মনে করেন, বাবার এত টাকাও নাই যে.. .. .. ." 


বড়ৈ আমোদের ব্যাপার সোহেলের জন্য । সেদিন রাত্রেই একটা টিউশানি পেয়ে যায় ও... এবার গুলশান.. এতদিন ঢাকায় থেকেও এর আগে ও কখনো গুলশান যায় নি । এতদিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংকের টিউশনি এটা । শেহাব ভাই বলেছেন, ছয় হাজারের কথাই বলছি সোহেল, তুমি ভেবে দেখো... 

সোহেল ভাবাভাবি অনেক আগেই বাদ দিয়েছে ... টিউশনির প্রসংগ উঠলে সে একটা কথাই ভাবে... 

ইছুপ ছারের কথা ...

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +৩১/-৫

মন্তব্য (৯৪)

প্রিয়- ঈদ শুভেচ্ছা নি-ও... :)

ঈদ মুবারাক-ঈ-দ
মলিন-মুখী খুকীর মনে
জমাট বাঁধা জিদ ।।
চোকখু ফোলা ফোলা..
বাবার দেয়া জরীর জামা
দেয়না মনে দোলা !
'একটু হাসো খুকু '
নওল মামা দেয় উপদেশ
ঈদের সময়টুকু-
আনন্দে রও মেতে তুমি ,
পারবে যত খেতে তুমি ,
খেও ঈদের মিষ্টি...
সালাম দিও
আজকে ঘরে, আসবে অনেক ইষ্টি ।।
আম্মু আসেন এবার -
কিন্তু খুকী, ঠোঁট বাকিয়ে
বলছে , "নেভার.. নেভার.. " !!
সেমাই-পায়েশ-মিষ্টি __
রইলো পড়ে ; খুকুর মনে
দুখের মুষল-বিষ্টি !
ছোট্ট চাচু এসে ,
নাকের ডগায় আঙুল ঠুকে
নিজেই দিল হেসে !
খুকির মুখে তালা ;
কয়না কথা - ব্যর্থ হলো
মান ভাঙানোর পালা ।
কী জানি কি ভুল হয়েছে ..
অনেক না; এক-চুল হয়েছে..
তাতেই এমন গোমড়া_
গুমোট মনে আনন্দ নেই
ব্যথার কাজল-ভোমরা !
http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/kashfulblog_1222558265_2-33.jpg
এমন সময় ভাইয়া ,
কোত্থেকে যে আসলো ছুটে
এহেন খবর পাইয়া !
খুকুর হাতের মুঠোয় _
হাত বুলিয়ে, বকুল তলে
চললো হেঁটে দু'টোয় ।
"কী হয়েছে আপুনি ?"
কোমল স্বরে শুধায় তারে,
খুকুর কন্ঠে কাঁপুনি ;
অনেক ভেবে চিন্তে -
বলল শেষে, কিনতে হবে
জরীর জামা তিনটে !!
ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে,
চোখে হাসির ঝিলিক দিয়ে
বললো , ও-রে পুঁচকে ,
জানিসনে তুই বুঝি ;
চাচ্চু-মামা-দাদুর ঘরে
চল-তো গিয়ে খুঁজি !!
দু’জনে যায় আবার ঘরে..
শোবার ঘরে- খাবার ঘরে..
করছে খোঁজার ভান..
ফিচলে হাসি ভাইয়া হাসে
টইটম্বুর প্রান !!

তিনটে রঙীন জা-মা ,
গোপন ছিলো চমক দিতে
প্লান করেছে মামা !
খুকী ছুটে বাইরে...
আসমানীরা গরীব বড়
ঈদের জামা নাই-রে !
আম্মু-চাচু-ভাইয়া ,
আব্বু এবং মামার সাথে
দাদু-ও দেখে চাইয়া ,

তাদের যে এক খুকী ছিলো ,
মুখটা চন্দ্র-মুখী ছিলো ;
সেই খুকীটা অবলীলায়,
ঈদের জামা দিচ্ছে বিলায়’
কেমন খুশি মনে___
হেসে হেসে কইছে কথা
গরীব সখীর সনে !!
হেসেই সবে শেষ
ঈদের খুশি পূর্ণ হলো
মধুর পরিবেশ ।।

স্বপ্ন-টপ্ন

স্বপ্ন-টপ্ন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫

স্বপ্নে সাপে তাড়া করলে আমি কখনো দৌড়াতে পারিনা । প্রচন্ড আতঙ্কে কিছুক্ষণ ছটফট করে ঘুমটা ভেঙে যায় । এমন স্বপ্ন একটা সময় প্রচুর দেখলেও আজকাল আর দেখা হয় না । মা বলতেন, সাপ হলো শত্রু, স্বপ্নে সাপ দেখা মানে তোর কোন শত্রু তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, বল দেকি, সাপ কি কামড় দিতে পারছিলো... ?

মাঝে মাঝে আমি নিজেই স্বপ্নের মানে বুঝে ফেলি । সেবারের স্বপ্নটা ছিলো এরকম ,

মোটা মোটা ইলেকট্রিক তারের মাঝে জড়িয়ে পড়ছি । শক লাগছে না, তবে অনুভব করতে পারছি, খুব বিপদের মাঝে জড়ায় পড়ছি । সাবধানে বের হয়ে আসতে হবে.. কিন্তু কিছুতেই বেরুতে পারছিনা । মন বলছে বেরুনোর চেষ্টা করলেই স্পার্ক হবে...

এটা আমার মনে থাকা অন্যতম সেরা স্বপ্ন ! সকালে ঘুম ভাংতেই প্রচন্ড মন খারপ হলো.. কাগজে লিখে রাখলাম বিবরনটা-যতখানি মনে থাকে .. এর মাত্র কয়েকদিন পর জীবনের প্রথম টাইফয়েডে যেদিন পড়লাম....বলিনি কাউকে, কিন্তু ওই স্বপ্নটার বাস্তবায়ন বলেই মনে হয়েছিলো সেটা...:-*

স্বপ্নের কথা লিখতে গিয়ে অতি শৈশবের একটা স্বপ্নের কথা মনে পড়ে... সকালে ঘুমভাঙা বিছানায় চিত হয়ে চিল্লায়ে কানতেছি... কারন স্বপ্নের বিস্কুটে কামড় দেয়ার আগের মুহূর্তে স্বপ্ন গেছে ভেংগে ....

স্বপ্নের রেশ কতক্ষণ থাকে ? খুব বেশি সময় না ! জড়ানো চোখ নিয়ে যেটাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, মনে হয় সারাদিন এটা নিয়ে ভেবে পার করে দেয়া যাবে, হাত মুখ ধুয়ে এসে বসতে বসতে সেটা অর্থহীন ফালতু মনে হয় । এজন্য মাঝে কিছুদিন কাগজে লিখে রাখছিলাম কয়েকটা স্বপ্ন । কারন , সা-ধা-র-ন-ত দু:স্বপ্ন আমি দেখিনা - স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে মজা লাগে তাই । কিন্তু লিখে না রাখলে পুরো ব্যাপারটাই যায় বিকৃত হয়ে ...


bibek has gone through his best dream, yester-night (!).. what a dream !! everything favorite was present there... :D and he was controlling the sequences.. :P.

যে স্বপ্নটা আজ মাথার মধ্যে সারিন্দা বাজাচ্ছে, সেটা লিখে ফেলার লোভ সামলাতে পারিনি । কিন্তু লিখতে গিয়ে আজাইরা কত কথা বলতে বলতে মোটামুটি ভুলে যেতে বসেছি ...

গুছিয়ে লিখতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না । কি কি ঘটলো, আপাতত সেটা তুলে রাখি ..

১. কোন একটা অফিসে (নামটা মনে আচে, তবে বলবো না) সারাদিন কাজ করেছি । কি কাজ ঠিক মনে নেই । সম্ভবত টিচার টাইপ ! তবে কাজটা আমার খুব পছন্দের ছিলো + প্রচুর পরিশ্রমের ছিলো । কেন যেন সেটা খুব আনন্দের সাথে করেছি । এটুকুন সময়ে যা ভাবিনি, কাজ শেষ হলে সেটা পেলাম । মানে আমার পকেট ভরে টাকা দেয়া হলো ;) আরেকজন দেখি ঝগড়া করছে, টাকার পরিমান নিয়ে । আরো বেশি নাকি দেয়ার কথা । অবাক আমিও তার সাথে গলা (?) মেলাই ...

২. কাজ করাকালীন সময়ে মূল ঘটনার বাইরে আরো কিছু ঘটছে । একটা ছেলেকে আরেকটা ছেলে পেটালো... ইট ছুড়ে মারলো মাথায়... :-/

৩. পকেট ভরা টাকা খুব উৎসাহের সাথে অনুভব করতেছিলাম । রিক্সা নিয়ে আমার ঠিকানায় পৌছুলাম । উমম... মনে পড়ছে .. বাজারে ছিলাম কিছুক্ষণ । ভাবছিলাম গোল মাছটা রূপচাঁদা মাছ । মাছওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভয়ে ভয়ে , দাম বলা যাবে না, তাইনা ? :) মনে হচ্ছিলো অনেক দাম হবে.. এরমধ্যে রূপঁচাদা হয়ে গেলো গোল ফুটবলের মত কোন ইলিশ মাছ থেকে কেটে নেয়া একটা টুকরো । দাম চাইলো ৪০০ টাকা (পষ্ট মনে আছে) আমি বলছি ৩০০ । এক কথায় দিয়ে দিলো মাছটা । দু:খ লাগলো একটু । বিনাবাক্যে দিয়ে দেয়া মানেই আমি অনেকখানি ঠকেছি ...:|

৪. হলের বারান্দায় ছিলাম । খেয়াল করলাম, নিচে বেশ হইচই হচ্ছে ... আরেকটু লক্ষ্য করতেই বোঝা গেলো, আমি আজ যেখানে কাজ করেছি, আরো কিছু ছেলে সেখান থেকে কাজ করে টাকাপয়সা নিয়ে আসছে । সেটা নিয়ে কি যেন ঝামেলা হইসে ;)

৪. দেখতে দেখতে বিরাট গন্ডগোল বেধে গেলো B-) একপক্ষ চলে এলো আমার রুমে । খুব বিরক্ত লাগছিলো । চেনামুখ এবং অপছন্দের ... কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না কিছু বলার ... এরমধ্যে আমার রুমটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে । মনে হচ্ছে এটা কোন বাসা যার ৪ টা আলাদা আলাদা রুম আছে । ভেতরের রুমে আমি ও আমার কোন বন্ধুকে ঠেলে দিয়ে ওরা বাইরের রুম নিয়ে নিলো । মারামারি টাইপের কিছু হবে...

৫. প্রতিবাদ না করে পারা গেল না এবং মুহুর্তেই প্রচন্ড বিপদে পড়ে গেলাম । অতি আপনজন কেউ (মনে করি, তার নাম খ ) ঘুমিয়ে আছে । ওদের টার্গেট তাকে আক্রমন করা । রূখে দাড়ালাম । আমাকে টান মেরে ওই একই রুমে বন্দী করে ফেলল । ভয় দেখালো । উপায়ান্তর না দেখে দরজা ধরে হ্যাচকা টানে খুলে ফেল্লাম (আজকের স্বপ্নের বৈশিষ্ট্য হলো, সাপ তাড়া করলেও দৌড়াতে পেরেছি , স্বপ্নের মধ্যে এর চেয়ে মজার ব্যাপার আর নেই )

৬. আঘাত এলো, বুক পেতে নিলাম B-) মন বলছে, খ বুঝতে পেরেছে, তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমি কি করছি । সে খুব কৃতজ্ঞ... :P

৭. খ কে কাধের ওপর তুলে নিয়ে দরজার বাইরে চলে এলাম । দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে খ অজ্ঞান । এখানেও সুখের ব্যাপার হলো, পকেট ভর্তি টাকাটা তখনো রয়ে গেছে :) মেডিকেলের দিকেই আপাত গন্তব্য । আবার রিক্সা । এমন রিক্সা, গিয়ার অলা সাইকেলের মত যার চেইন বাড়ানো কমানো যায় । স্পিড খুব :) কিছুদুর গিয়েই বুঝতে পারলাম, ওরা ফলো করছে আমাকে :-* তাই ওই মেডিকেলের টার্গেট চেন্জ করে আরেকটার দিকে ছুটলাম । মানে রিক্সাতেই...

৮. প্রচন্ড কুয়াশায় ঘেরা চারিদিক । ধুষর এবং শান্ত এবং কেমন একটা এবড়ো থেবড়ো মেঠো পথে ধীর গতিতে চলছে রিক্সাটা । দুপাশে লাউয়ের মাচার মত অস্পষ্ট কিছুর অস্তিত্ব ! খ এর জ্ঞান ফিরেছে । বুঝতে পারছি, খ আমার পাশে বসে আছে... আবার অনুভব করতেছি, খ কে কাঁধে তুলে সেই যে বেরিয়েছিলাম, এখনো ওখানেই রয়ে গেছে । আস্তে করে কাঁধ থেকে খ কে নামিয়ে খ এর কাছেই ফেরত দিয়ে বল্লাম, দেখোতো, ঠিক আছে কিনা ? এটা তোমার... :)

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২৪/-৩

মন্তব্য (৬০) 

Opera ব্রাউজারে এখন শুধু স্পাইরোগ্রাফ আঁকি ফায়ারফক্স দ্যা বেষ্ট...

Opera ব্রাউজারে এখন শুধু স্পাইরোগ্রাফ আঁকি B-) ফায়ারফক্স দ্যা বেষ্ট...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৪৯



বলা যায় নেট ব্যবহারের শুরু থেকেই অপেরার ভক্ত ছিলাম । মুল কারন হোমপেইজে স্পিড ডায়াল নামে ৯ টা ওয়েবসাইটের প্রিভিউ সহ সেইভ করে রাখার সুবিধা । আরেকটি কারন হলো যে কোন ওয়েবের লিঙ্ক আইকন এড্রেসবারে সেইভ করে রাখা যায় । মাউস দিয়ে ধরে টেনে নিয়ে বসিয়ে দেয়া.. :) 

ফায়ারফক্সের চেয়েও অপেরা অনেক ভালো, এটা নিয়ে তর্ক করেছি আইটি স্পেশালিষ্টদের সাথেও B-) কেন যেন মনে হতো, ফায়াফক্সে একেবারেই স্পিড পাওয়া যায় না । অপেরায় দুর্দান্ত স্পিড । একে একে সবগুলো ভুল ই ভাংলো ।

যারা এখোনো জানেন না, তাদের জন্য দুটা এডঅনের সন্ধান দিচ্ছি... 

১. ফাষ্র্ট ডায়াল 

- এটা হলো অপেরার স্পিড ডায়ালের বাবা :P ইন্সটল করার পর ফায়ারফক্সের টুলস => এ্যাড অনস থেকে ফাষ্র্টডায়াল খুজে নিয়ে অপশনস থেকে থাম্বনাইল কোয়ান্টিটি বাড়িয়ে নেন প্রয়োজনমত । আমি এখন পর্যন্ত ৬ x ৪ চব্বিশ টা করেছি । বুঝতেই পারছেন, কেন অপেরাকে ভুয়া বলার পর্যায়ে চলে গেছি ... ওখানে লিমিট মাত্র ৯ টা ... 

২. স্মার্ট বুকমার্কস বার 

- অপেরা থেকে দ্বিতীয় যে সুবিধাটা পেতাম, সেটা ভ্যালুলেস করে দিলো এই এ্যাডঅন টা । টুলবার হিসেবে বুকমার্কস বার হয়তো ডিফল্ট হিসেবেই ফায়রফক্সে থাকে । সেখানে কোন ওয়েব লিংক এ্যাড করতে চাইলে ওটার ওপর রাইট ক্লিক করে New Bookmark দিলে ওয়েবের নেইম আর লোকেশন দিয়ে সেইভ করা যায় । কিন্তু সমস্যা হলো আইকনের সাথে নামটাও বারের মধ্যেই থেকে যায় । তাই খুব বেশি সাইটের এ্যাড্রেস একবারে দেখা যায় না । স্মার্ট বার এ্যাডঅনের অপশনস থেকে বুকমার্ক বারকে অটোহাইড করা যাবে । মাউস ধরলেই ওপেন - কার্সর সরিয়ে নিলে হিডেন.. একই সাথে শুধু আইকনগুলো ভিজিবল - ওয়েবের নাম, মাউস উপরে ধরলেই শো করবে... আনডু ক্লোজড ট্যাব... 

টুলবার বাটন 


 

৪. অপেরা স্পাইরোগ্রাফ 

ছোটবেলায় মেলা থেকে কিনেছিলাম স্পাইরোগ্রাফ আঁকার টুল :) এটার নাম যে স্পাইরোগ্রাফ তা অবশ্য জানতাম না । অপেরা উইজেটে খুজে পেলাম জিনিসটা । বেশ মজার... 

মেনুবার থেকে Widget => add widget এ ক্লিক করলে পেইজটা ওপেন হবে .. এখানে নিচের সারির দ্বিতীয়টা হলো স্পাইরোগ্রাফ .. Launch করেন.. এ্যাড হয়ে যাবে... এরপর ইউজেটস মেনু থেকে ওপেন করে স্পাইরোগ্রাফ আঁকতে পারবেন...



ফায়ারফক্সের গতি বাড়ানোর টিপ্স কম্পিউটার গ্রুপ থেকে দেখে নিন...

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২৫/-৪

মন্তব্য (৪৪)