মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সর্বশেষ ভাষণ - ইসলামী জীবনব্যবস্থার আন্তর্জাতিক মেনিফেষ্টো

মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সর্বশেষ ভাষণ - ইসলামী জীবনব্যবস্থার আন্তর্জাতিক মেনিফেষ্টো

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২০

রাসুলুল্লাহ সাঃ তার সর্বশেষ ভাষণ দুটো প্রদান করেন আরাফাত ও মিনায় । এ ভাষণ দুটো ছিলো রাসুল সাঃ এর সবচেয়ে বড় ইসলামী সমাবেশে ভাষণ । 

আন্তর্জাতিক মেনিফেষ্টো হিসেবে এদুটি ভাষণে রাসুল সাঃ যা বর্ণনা করেছেন, তা মানবীয় চিন্তা ও কল্পনার অতীত । এতে আল্লাহর একত্বের বিপ্লবী আকীদা ঘোষণা করা হয়েছে । আল্লাহর আনুগত্যকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মৌলিক চালিকাশক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । পরস্পরের জানমাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে-হত্যাকান্ডের শাস্তি মৃত্যুদন্ড অপরিহার্য করা হয়েছে ।

সুদখোরির বিধ্বংসী রীতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের অব্যাহত ধারার অবসান করা হয়েছে । স্বামী-স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করে পারিবারিক ব্যবস্থার ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে । 

আল্লাহর একত্ব ও মানবজাতির আদি-পিতার একত্বের ভিত্তিতে মানবীয় ঐক্যের ধারনা দিয়ে সকল প্রকার ভৌগলিক ও বংশীয় ভেদাভেদকে নিশ্চিহ্ণ করা হয়েছে । 

যখনই এবং পৃথিবীর যে স্থানেই ইসলামী আন্দোলন চলবে এবং ইসলামী ব্যবস্থা চালু হবে , তার ভিত্তি এই মতাদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে । এ মেনিফেষ্টো ইসলামের মৌলিক মেনিফেষ্টো-মানবজাতির মুক্তির মহাসনদ । এ মেনিফেষ্টোর বিপরীত যেকোন জীবনব্যবস্থা অনৈসলামীক এবং অবশ্যই বিশ্বজাহানের একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলমীনের নিকট অগ্রহনযোগ্য । 

প্রিয় নবীর এ সর্বশেষ ভাষণ অনন্তকাল ধরে অনাগত মুসলমানদের জন্য অর্পিত দায়িত্বস্বরুপ । রাসুল সাঃ এ ভাষণের প্রতিটি অংশ বলার পরেপরেই বলেছিলেন উদাত্তকণ্ঠে , আমি আল্লাহর বানী পৌছে দিয়েছি । একথাটা জানার পরে প্রত্যেক মুসলমানের সতর্ক হয়ে যাওয়া দরকার । 

যে উদ্দেশ্য সফল করার জন্য রাসুল সা এত কষ্ট - এত নির্যাতন সহ্য করেছেন-যে অপরিসীম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতারকোন নজীর পৃথিবীতে নেই... প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সেই উদ্দেশ্য সফল করার কাজে এগিয়ে আসা । 

ছবির জন্য কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার তাহসিন সাঈদা মুন

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৯/-৫

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৫৩
১ ।০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য । আমরা শুধু তারই প্রসংশা করি। তারই ক্ছে সাহায্য চাই । .. .. -আমি ঘোষণা করছি, আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই । তিনি এক ও একক । তার কোন শরীক নেই । মুহাম্মদ সাঃ তার বান্দা ও রাসুল ।

৩ ।০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
৪ ।০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -হে আল্লাহর বান্দারা , আমি তোমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি ও উৎসাহিত করছি । -আমি কল্যানময় কথা দ্বারা আমার বক্তব্য শুরু করছি । -হে জনতা , তোমরা আমার কথাগুলি মনোনিবেশ সহকারে শোন । আমি তোমাদেরকে বুঝিয়ে বলছি । কেননা এবছরের পরে আর তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ হবে বলে মনে হয়না ।
৫ ।০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -হে জনমন্ডলি, তোমাদের একের জীবন ও সম্পদ অপরের জন্য নিষিদ্ধ । তোমাদের প্রভুর কাছে পৌছে যাওয়াতক এ বিধান মেনে চলবে । তোমাদের এই মাস এই শহর এবং তোমাদের এই দিন যেমন পবিত্র ঠিক তেমনি । -জেনে রেখো , আমি তোমাদের কাছে কথা পৌছে দিয়েছি । হে আল্লাহ, তুমি স্বাক্ষী থেকো ! -যার হাতে কারো কোন আমানত রক্ষিত আছে সে যেন তা তার মালিকের নিকট পৌছে দেয় ।
৬ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:১৩
নবজন্ম বলেছেন: শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে --ধর্মীয় অনুভুতি যেন মানুষের দুর্বলতাকে আঘাত না করে। এ ছাড়া সবই ভালো। অনেকেই এটা করছে যা বড়-ই দু:খজনক।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০২
বিবেক সত্যি বলেছেন: আপনি যদি এই পোষ্টে আবার আসেন এই কথাটার একটু ব্যাখ্যা দিবেন , ধর্মীয় অনুভুতি মানুষের দুর্বলতাকে কিভাবে আঘাত করে?
৭ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২১
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -জাহেলিয়াত যুগের সুদগুলো বাতিল করা হলো । সর্বপ্রথম আমি আমার চাচা আব্বাসের সুদ রহিত করলাম । -জাহেলী যুগের সমস্ত খুনের বদলার দাবী রহিত করা হলো । সর্বপ্রথম আমি আমের বিন রবীয়ার খুনের দাবী রহিত করলাম। জাহেলিয়াত যুগের সমস্ত পদ-পদবী ও সম্মান বাতিল করা হলো । কেবল কাবা শরীফের তত্বাবধায়কের পদ ও হাজীদেরকে পানি সরবরাহের পদ বহাল থাকবে.. -ইচ্ছাকৃত হত্যাকান্ডের শাস্তি মৃত্যুদন্ড । অনিচ্ছাকৃত হত্যার বদলি ১০০ উট । যে এর বেশি দাবী করবে তা হবে জাহেলী রীতি ।
৮ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৭
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -হে জনমন্ডলী, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর শয়তান আর এ আশা করেনা যে এই ভুখন্ডে তার আনুগত্য করা হবে । কিন্তু তোমরা যে গুনাহগুলোকে হালকা মনে করো, তাতে যদি শয়তানের আনুগত্য করো তাতেই সে খুশি । -নিশ্চয়ই আবর্তনের পথ ধরে মহাকাল আজ তার সেই প্রারম্ভিক বিন্দুতে প্রত্যাবর্তন করেছে , যেখানে সে আল্লাহ কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টির দিন ছিলো । .. .. .. .. -জেনে রেখ আমি কথা পৌছে দিয়েছি, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো ।
৯ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ --হে জনতা, তোমাদের নারীদেরকে তোমাদের ওপর কিছু অধিকার দেয়া হয়েছে । তোমাদেরও তাদের ওপর কিছু অধিকার প্রাপ্য রয়েছে । তোমরা পছন্দ করোনা এমন কোন ব্যক্তিকে তোমাদের অনুমতি ছাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেয়া তোমাদের স্ত্রীদের পক্ষে অনুচিত। কোন নির্লজ্জ ও অশ্লীল কাজ করা উচিত নয়। যদি তারা তা করে তবে তোমাদেরকে আল্লাহ অনুমতি দিয়েছেন, তাদের সংশোধনের জন্য তাদের কাছ থেকে সাময়িক বিচ্ছিন্ন থাকতে পারো । এরপর তারা অনুগত হয়ে চললে তাদেরকে নিয়মিত ভরনপোষণ করানো তোমাদের দায়িত্ব । নিশ্চয়ই মহিলারা তোমাদের অধীন। তারা নিজেদের কল্যানের জন্য নিজেরা কিছু করতে পারছে না । তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসেবে নিজেদের সাথী বানিয়েছো । কাজেই নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো এবং উত্তম পন্থায় তাদেরকে শিক্ষাদীক্ষা দান করো ।
১০ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -হে জনতা, মুসলমানরা পরস্পরের ভাই ভাই। একভাইয়ের সম্মতি ছাড়া তার সম্পদ অন্য ভাই কর্তৃক গ্রহন করা বৈধ নয়। -সাবধান , আমি কথা পৌছে দিয়েছি । হে আল্লাহ, তুমি সাক্ষী থেকো । -আমার পরে এই ইসলামী ভার্তৃত্ব পরিত্যাগ করে তোমরা কাফের সুলভ জীবন গ্রহন করে একে অপরের গলা কাটতে শুরু করোনা । --আমি তোমাদের নিকট এমন একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা মেনে চললে তোমরা বিপথগামী হবেনা । তা হলো আল্লাহর কিতাব । -সাবধান আমি কথা পৌছে দিয়েছি। হে আল্লাহ, তুমিও সাক্ষী থেকো ।
১১ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ তোমাদের কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে । বল তোমরা কি বলবে ? জনতা সমস্বরে বলে উঠল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি বানী পৌছে দিয়েছেন । এবং উম্মতের শুভকামনায় যা কিছু করা উচিত ছিলো তা করেছেন । সত্যের ওপর থেকে সমস্ত পর্দা তুলে দিয়েছেন এবং আল্লহর আমানতকে আমাদের নিকট পৌছে দিয়েছেন । -হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো ।
১২ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
বিবেক সত্যি বলেছেন: আরাফাতের ভাষণ -যারা এখানে উপস্থিত আছে, তারা যেন এই কথাগুলো অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌছে দেয় । হয়তো কিছু অনুপস্থিত লোক কিছু উপস্থিত লোকদের চেয়ে একথিগুলি বেশি ভালোভাবে মনে রাখবে । -হে জনতা, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক উত্তরাধিকারীর জন্য স্থায়ী অংশ নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন । । এক তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ ওসিয়ত করা বৈধ নয় ।
১৩ ।০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: মিনার ভাষণ হে জনমন্ডলী, আমার পর আর কোন নতুন নবী আসবে না। তোমাদের পরও কোন নতুন উম্মত জন্ম নেবেনা । সুতরাং মনোযোগ দিয়ে শোন , এবং আপন প্রতিপালকের দাসত্ব করো । পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো , রমযানে রোজা রাখো, সম্পদের যাকাত সাগ্রহে দিতে থাকো । হজ্জ আদায় করো এবং আপন নেতা ও দায়িত্বশীলদের আনুগত্য করো । যাতে তোমরা আল্লাহর জান্নাতে যেতে পারো

No comments:

Post a Comment