কুরআনের আলোচনায় সবাইকে স্বাগতম (সুরা আল-আনফাল, আয়াতঃ২০-২৮)
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৭
২০. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর এবং হুকুম শুনার পর তা অমান্য করো না।
২১. তাদের মতো হয়ে যেয়োনা যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা শুনে না ।
২২. অবশ্যি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধরণের জানোয়ার হচ্ছে সেই সব বধির ও বোবা লোক যারা বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না।
২৩. যদি আল্লাহ জানতেন এদের মধ্যে সামান্য পরিমানও কল্যাণ আছে তাহলে নিশ্চিয় তিনি তাদেরকে শুনতে উদ্বুদ্ধ করতেন। যদি তিনি তাদের শুনাতেন তাহলে তারা নির্লিপ্ততার সাথে মুখ ফিরিয়ে নিতো।
২৪. হে ঈমানদারগণ; আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন রাসূল এমন জিনিসের দিকে ডাকেন যা জীবন দান করবে। আর জেনে রেখো আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝখানে আড়াল হয়ে আছেন এবং তোমাদের তাঁর দিকেই সমবেত করা হবে।
২৫. আর সেই ফেতনা থেকে দুরে থাকো যার অনিষ্টতা শুধু মাত্র তোমাদের গোমরাহদের মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকবেনা। যেনে রেখ আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
২৬. মনে কর সেই সময়ের কথা যখন তোমরা ছিলে সমান্য কয়েক জন পৃথিবীর বুকে তোমরাদের দূর্বল মনে করা হত। লোকেরা তোমাদের খতম করেই দেয় না কি , এইভয়ে তোমরা কাঁপতে। তারপর আল্লাহ তোমাদের শক্তিশালী করলেন, তোমাদের ভাল ও পবিত্র জিবিকা দান করলেন, হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে।
২৭. হে ঈমানদারগণ; যেনে বুঝে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করো না। নিজেদের আমানত সমূহের খেয়ানত করোনা।
২৮. জেনে রেখ তোমাদের অর্থসম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি আসলে পরীক্ষা সমাগ্রী, আর আল্লাহর কাছে প্রতিদান দেবার জন্য অনেক কিছুই আছে।
২১. তাদের মতো হয়ে যেয়োনা যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা শুনে না ।
২২. অবশ্যি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধরণের জানোয়ার হচ্ছে সেই সব বধির ও বোবা লোক যারা বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না।
২৩. যদি আল্লাহ জানতেন এদের মধ্যে সামান্য পরিমানও কল্যাণ আছে তাহলে নিশ্চিয় তিনি তাদেরকে শুনতে উদ্বুদ্ধ করতেন। যদি তিনি তাদের শুনাতেন তাহলে তারা নির্লিপ্ততার সাথে মুখ ফিরিয়ে নিতো।
২৪. হে ঈমানদারগণ; আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন রাসূল এমন জিনিসের দিকে ডাকেন যা জীবন দান করবে। আর জেনে রেখো আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝখানে আড়াল হয়ে আছেন এবং তোমাদের তাঁর দিকেই সমবেত করা হবে।
২৫. আর সেই ফেতনা থেকে দুরে থাকো যার অনিষ্টতা শুধু মাত্র তোমাদের গোমরাহদের মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকবেনা। যেনে রেখ আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
২৬. মনে কর সেই সময়ের কথা যখন তোমরা ছিলে সমান্য কয়েক জন পৃথিবীর বুকে তোমরাদের দূর্বল মনে করা হত। লোকেরা তোমাদের খতম করেই দেয় না কি , এইভয়ে তোমরা কাঁপতে। তারপর আল্লাহ তোমাদের শক্তিশালী করলেন, তোমাদের ভাল ও পবিত্র জিবিকা দান করলেন, হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে।
২৭. হে ঈমানদারগণ; যেনে বুঝে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করো না। নিজেদের আমানত সমূহের খেয়ানত করোনা।
২৮. জেনে রেখ তোমাদের অর্থসম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি আসলে পরীক্ষা সমাগ্রী, আর আল্লাহর কাছে প্রতিদান দেবার জন্য অনেক কিছুই আছে।
৩৯ টি +১৮/-০
মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন
১ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:১২
ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞান বলেছেন: ভাল লেখা।৫
২ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:১২
বিবণ বলেছেন: ৫
৩ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: সূরার মূল বিষয়বস্তুঃ -বদর যুদ্ধত্তর সার্বিক পরিস্থিতি -মুসলমানদের অবস্থা ও দূর্বলতা -যুদ্ধলব্ধ সম্পদ
৪ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৩
খালেদা আকতার বলেছেন: ভাল
৫ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: ....তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর আর তোমরাদের আমল গুলোকে নষ্ট করো না.... ....তাদের মতো হয়ে যেয়োনা যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা শুনে না । -এখানে শোনা মানে শুনে মেনে নেয়া এবং তা অনুসরন করা বোঝানো হচ্ছে -সেইসব মুনাফিকদের প্রতি ইঙ্গীত করা হচ্ছে যারা বিশ্বাসী বলে নিজেদেরকে পরিচিত করাতো, কিন্তু জঘণ্যতম শত্রুতা করে বেড়াত সত্যের আহবানের সাথে..
৬ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৮
বিবেক সত্যি বলেছেন:
৭ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩২
হাসান তারিক বলেছেন: ভালো লেখা
৮ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩
বিবেক সত্যি বলেছেন: তৃতীয় আয়াত : যারা বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগায় না তাদের কে নিকৃষ্ট জানোয়ারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। পশু যেমন কোন জ্ঞানের কথা বুঝতে পারেনা, অন্য প্রাণীর ক্ষতি করা বা ধ্বংস করে দেয়ার ব্যাপারে কোন চিন্তাভাবনা করে না..
৯ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৭
বিবেক সত্যি বলেছেন: পশুরা না সত্য শুনতে প্রস্তুত আর না সত্য বলতে প্রস্তুত। যাদের মুখ সত্য বলতে গিয়ে বোবা হয়ে যায়, সত্য শুনতে গিয়ে বধির হয়ে যায় যারা...
১০ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫২
বিবেক সত্যি বলেছেন: আয়াত-২৩ "যদি আল্লাহ জানতেন এদের মধ্যে সামান্য পরিমানও কল্যাণ আছে তাহলে নিশ্চিয় তিনি তাদেরকে শুনতে উদ্বুদ্ধ করতেন। যদি তিনি তাদের শুনাতেন তাহলে তারা নির্লিপ্ততার সাথে মুখ ফিরিয়ে নিতো।" -যার মধ্যে সত্য-প্রিয়তা ও সত্যের জন্য কাজ করার কোন আগ্রহই নেই, তাকে যদি অলৌকিক ভাবে সত্যের শামিল করেও দেয়া হয়, সামান্য বিপদের আশংকাতেই সে বিনা দ্বিধায় পালিয়ে যাবে এরকম লোক এ অবস্থায় বেশি ক্ষতিকর বলে প্রমানিত হবে..
১১ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: "আর সেই ফেতনা থেকে দুরে থাকো যার অনিষ্টতা শুধু মাত্র তোমাদের গোমরাহদের মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকবেনা। যেনে রেখ আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।" ফিতনা : - যা শুধু নিজেকেই আক্রান্ত করে না বরং সমাজকেও আক্রান্ত করে .. - ব্যক্তিগত অন্যায় বা দূর্বলতা নিজেকে ক্ষতিগ্রস্থ করে খুব বেশী প্রশারিত হয় না - সামষ্টিক দূর্বলতা বা অধিকাংশের নৈতিক অবক্ষয়, সকল জনগোষ্ঠিকে প্রভাবিত করে এবং ধ্বংশ করে দেয়। তাই সকল সামষ্টিক ফিতনা থেকে বাচার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন
১২ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০০
ঠোঁটফাটা ব্লগার বলেছেন: ভাল লেখা। এই ধরণের শিক্ষামূলক পোষ্ট আমাদের ব্লগ বাগান কে সমৃদ্ধ করবে আশা করি। হ্যাপি ব্লগিং।
১৩ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০২
বিবেক সত্যি বলেছেন: যখন নির্লজ্জ ও চরিত্রহীন লোকেরা নিজেদের মনের কলুষতা বিস্তার করতে থাকে সমাজে আর ভালো বলে পরিচিত মানুষেরা নিষ্ক্রীয় ও নীরব থেকে ব্যক্তিগত সততাকে যথেষ্ট মনে করে তখন গোটা সমাজের ওপর অভিশাপ নেমে আসে..
১৪ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: কেবলমাত্র নিজেরা অপরাধ না করা এবং ব্যক্তিগত জীবনে সদাচার করা, এর মাধ্যমে ফিতনা (আগেই সংজ্ঞায়িত) থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না -চোখের সামনে অন্যায় হতে দেখলে অবশ্যই নিজের সর্বশক্তি দিয়ে তার প্রতিরোধ করতে হবে..
১৫ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: ".. ..মনে কর সেই সময়ের কথা.. .. হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে" -আগেই বলা হয়েছে সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ। এখানে মুসলমানদের কে মক্কার দুর্বিসহ জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে -কেবল মৌখিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক্ৃতজ্ঞতা শব্দের সংকীর্ণ অর্থ। বাস্তব কাজের ভিতর দিয়ে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে মহান রবের প্রতি.. -"লোকেরা না নিশ্চিহ্ন করে ফেলে.." এমন কঠিন অবস্থাতেও ভীত-সন্ত্রস্ত হবার কোন সুযোগ নেই সত্য প্রতিষ্ঠার কাজে, কেননা আল্লাহ শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী.. -
১৬ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: ".. .. আমানত সমূহের খেয়ানত করোনা।" - আমানতের সংরক্ষন হলো যার যেটা প্রাপ
১৭ ।০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: .. .. অর্থসম্পদ.. ..সন্তান-সন্ততি.. .. পরীক্ষা সমাগ্রী.. .. -পরীক্ষাটা কিরকম, একটু ভাবি.. -অর্থ-সম্পদ. সন্তান-সন্তুতিকে ত্যাগ করে বৈরাগ্যবাদী হওয়ার উৎসাহ দেয় না ইসলাম.. -অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ যে ভারসাম্যপূর্ণ বিধান দিয়েছেন, সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টাই এই পরীক্ষা.. -সন্তানের প্রতি ভালোবাসা-দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা এই পরীক্ষার অংশ -সন্তানকে (পরিবারকে) সম্পদশালী করার আকাঙ্খায় অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন না করা হচ্ছে এই পরীক্ষার অংশ...
No comments:
Post a Comment