স্বপ্ন-টপ্ন
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫
স্বপ্নে সাপে তাড়া করলে আমি কখনো দৌড়াতে পারিনা । প্রচন্ড আতঙ্কে কিছুক্ষণ ছটফট করে ঘুমটা ভেঙে যায় । এমন স্বপ্ন একটা সময় প্রচুর দেখলেও আজকাল আর দেখা হয় না । মা বলতেন, সাপ হলো শত্রু, স্বপ্নে সাপ দেখা মানে তোর কোন শত্রু তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, বল দেকি, সাপ কি কামড় দিতে পারছিলো... ?
মাঝে মাঝে আমি নিজেই স্বপ্নের মানে বুঝে ফেলি । সেবারের স্বপ্নটা ছিলো এরকম ,
মোটা মোটা ইলেকট্রিক তারের মাঝে জড়িয়ে পড়ছি । শক লাগছে না, তবে অনুভব করতে পারছি, খুব বিপদের মাঝে জড়ায় পড়ছি । সাবধানে বের হয়ে আসতে হবে.. কিন্তু কিছুতেই বেরুতে পারছিনা । মন বলছে বেরুনোর চেষ্টা করলেই স্পার্ক হবে...
এটা আমার মনে থাকা অন্যতম সেরা স্বপ্ন ! সকালে ঘুম ভাংতেই প্রচন্ড মন খারপ হলো.. কাগজে লিখে রাখলাম বিবরনটা-যতখানি মনে থাকে .. এর মাত্র কয়েকদিন পর জীবনের প্রথম টাইফয়েডে যেদিন পড়লাম....বলিনি কাউকে, কিন্তু ওই স্বপ্নটার বাস্তবায়ন বলেই মনে হয়েছিলো সেটা...
স্বপ্নের কথা লিখতে গিয়ে অতি শৈশবের একটা স্বপ্নের কথা মনে পড়ে... সকালে ঘুমভাঙা বিছানায় চিত হয়ে চিল্লায়ে কানতেছি... কারন স্বপ্নের বিস্কুটে কামড় দেয়ার আগের মুহূর্তে স্বপ্ন গেছে ভেংগে ....
স্বপ্নের রেশ কতক্ষণ থাকে ? খুব বেশি সময় না ! জড়ানো চোখ নিয়ে যেটাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, মনে হয় সারাদিন এটা নিয়ে ভেবে পার করে দেয়া যাবে, হাত মুখ ধুয়ে এসে বসতে বসতে সেটা অর্থহীন ফালতু মনে হয় । এজন্য মাঝে কিছুদিন কাগজে লিখে রাখছিলাম কয়েকটা স্বপ্ন । কারন , সা-ধা-র-ন-ত দু:স্বপ্ন আমি দেখিনা - স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে মজা লাগে তাই । কিন্তু লিখে না রাখলে পুরো ব্যাপারটাই যায় বিকৃত হয়ে ...
bibek has gone through his best dream, yester-night (!).. what a dream !! everything favorite was present there... and he was controlling the sequences.. .
যে স্বপ্নটা আজ মাথার মধ্যে সারিন্দা বাজাচ্ছে, সেটা লিখে ফেলার লোভ সামলাতে পারিনি । কিন্তু লিখতে গিয়ে আজাইরা কত কথা বলতে বলতে মোটামুটি ভুলে যেতে বসেছি ...
গুছিয়ে লিখতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না । কি কি ঘটলো, আপাতত সেটা তুলে রাখি ..
১. কোন একটা অফিসে (নামটা মনে আচে, তবে বলবো না) সারাদিন কাজ করেছি । কি কাজ ঠিক মনে নেই । সম্ভবত টিচার টাইপ ! তবে কাজটা আমার খুব পছন্দের ছিলো + প্রচুর পরিশ্রমের ছিলো । কেন যেন সেটা খুব আনন্দের সাথে করেছি । এটুকুন সময়ে যা ভাবিনি, কাজ শেষ হলে সেটা পেলাম । মানে আমার পকেট ভরে টাকা দেয়া হলো আরেকজন দেখি ঝগড়া করছে, টাকার পরিমান নিয়ে । আরো বেশি নাকি দেয়ার কথা । অবাক আমিও তার সাথে গলা (?) মেলাই ...
২. কাজ করাকালীন সময়ে মূল ঘটনার বাইরে আরো কিছু ঘটছে । একটা ছেলেকে আরেকটা ছেলে পেটালো... ইট ছুড়ে মারলো মাথায়...
৩. পকেট ভরা টাকা খুব উৎসাহের সাথে অনুভব করতেছিলাম । রিক্সা নিয়ে আমার ঠিকানায় পৌছুলাম । উমম... মনে পড়ছে .. বাজারে ছিলাম কিছুক্ষণ । ভাবছিলাম গোল মাছটা রূপচাঁদা মাছ । মাছওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভয়ে ভয়ে , দাম বলা যাবে না, তাইনা ? মনে হচ্ছিলো অনেক দাম হবে.. এরমধ্যে রূপঁচাদা হয়ে গেলো গোল ফুটবলের মত কোন ইলিশ মাছ থেকে কেটে নেয়া একটা টুকরো । দাম চাইলো ৪০০ টাকা (পষ্ট মনে আছে) আমি বলছি ৩০০ । এক কথায় দিয়ে দিলো মাছটা । দু:খ লাগলো একটু । বিনাবাক্যে দিয়ে দেয়া মানেই আমি অনেকখানি ঠকেছি ...
৪. হলের বারান্দায় ছিলাম । খেয়াল করলাম, নিচে বেশ হইচই হচ্ছে ... আরেকটু লক্ষ্য করতেই বোঝা গেলো, আমি আজ যেখানে কাজ করেছি, আরো কিছু ছেলে সেখান থেকে কাজ করে টাকাপয়সা নিয়ে আসছে । সেটা নিয়ে কি যেন ঝামেলা হইসে
৪. দেখতে দেখতে বিরাট গন্ডগোল বেধে গেলো একপক্ষ চলে এলো আমার রুমে । খুব বিরক্ত লাগছিলো । চেনামুখ এবং অপছন্দের ... কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না কিছু বলার ... এরমধ্যে আমার রুমটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে । মনে হচ্ছে এটা কোন বাসা যার ৪ টা আলাদা আলাদা রুম আছে । ভেতরের রুমে আমি ও আমার কোন বন্ধুকে ঠেলে দিয়ে ওরা বাইরের রুম নিয়ে নিলো । মারামারি টাইপের কিছু হবে...
৫. প্রতিবাদ না করে পারা গেল না এবং মুহুর্তেই প্রচন্ড বিপদে পড়ে গেলাম । অতি আপনজন কেউ (মনে করি, তার নাম খ ) ঘুমিয়ে আছে । ওদের টার্গেট তাকে আক্রমন করা । রূখে দাড়ালাম । আমাকে টান মেরে ওই একই রুমে বন্দী করে ফেলল । ভয় দেখালো । উপায়ান্তর না দেখে দরজা ধরে হ্যাচকা টানে খুলে ফেল্লাম (আজকের স্বপ্নের বৈশিষ্ট্য হলো, সাপ তাড়া করলেও দৌড়াতে পেরেছি , স্বপ্নের মধ্যে এর চেয়ে মজার ব্যাপার আর নেই )
৬. আঘাত এলো, বুক পেতে নিলাম মন বলছে, খ বুঝতে পেরেছে, তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমি কি করছি । সে খুব কৃতজ্ঞ...
৭. খ কে কাধের ওপর তুলে নিয়ে দরজার বাইরে চলে এলাম । দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে খ অজ্ঞান । এখানেও সুখের ব্যাপার হলো, পকেট ভর্তি টাকাটা তখনো রয়ে গেছে মেডিকেলের দিকেই আপাত গন্তব্য । আবার রিক্সা । এমন রিক্সা, গিয়ার অলা সাইকেলের মত যার চেইন বাড়ানো কমানো যায় । স্পিড খুব কিছুদুর গিয়েই বুঝতে পারলাম, ওরা ফলো করছে আমাকে তাই ওই মেডিকেলের টার্গেট চেন্জ করে আরেকটার দিকে ছুটলাম । মানে রিক্সাতেই...
৮. প্রচন্ড কুয়াশায় ঘেরা চারিদিক । ধুষর এবং শান্ত এবং কেমন একটা এবড়ো থেবড়ো মেঠো পথে ধীর গতিতে চলছে রিক্সাটা । দুপাশে লাউয়ের মাচার মত অস্পষ্ট কিছুর অস্তিত্ব ! খ এর জ্ঞান ফিরেছে । বুঝতে পারছি, খ আমার পাশে বসে আছে... আবার অনুভব করতেছি, খ কে কাঁধে তুলে সেই যে বেরিয়েছিলাম, এখনো ওখানেই রয়ে গেছে । আস্তে করে কাঁধ থেকে খ কে নামিয়ে খ এর কাছেই ফেরত দিয়ে বল্লাম, দেখোতো, ঠিক আছে কিনা ? এটা তোমার...
মাঝে মাঝে আমি নিজেই স্বপ্নের মানে বুঝে ফেলি । সেবারের স্বপ্নটা ছিলো এরকম ,
মোটা মোটা ইলেকট্রিক তারের মাঝে জড়িয়ে পড়ছি । শক লাগছে না, তবে অনুভব করতে পারছি, খুব বিপদের মাঝে জড়ায় পড়ছি । সাবধানে বের হয়ে আসতে হবে.. কিন্তু কিছুতেই বেরুতে পারছিনা । মন বলছে বেরুনোর চেষ্টা করলেই স্পার্ক হবে...
এটা আমার মনে থাকা অন্যতম সেরা স্বপ্ন ! সকালে ঘুম ভাংতেই প্রচন্ড মন খারপ হলো.. কাগজে লিখে রাখলাম বিবরনটা-যতখানি মনে থাকে .. এর মাত্র কয়েকদিন পর জীবনের প্রথম টাইফয়েডে যেদিন পড়লাম....বলিনি কাউকে, কিন্তু ওই স্বপ্নটার বাস্তবায়ন বলেই মনে হয়েছিলো সেটা...
স্বপ্নের কথা লিখতে গিয়ে অতি শৈশবের একটা স্বপ্নের কথা মনে পড়ে... সকালে ঘুমভাঙা বিছানায় চিত হয়ে চিল্লায়ে কানতেছি... কারন স্বপ্নের বিস্কুটে কামড় দেয়ার আগের মুহূর্তে স্বপ্ন গেছে ভেংগে ....
স্বপ্নের রেশ কতক্ষণ থাকে ? খুব বেশি সময় না ! জড়ানো চোখ নিয়ে যেটাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, মনে হয় সারাদিন এটা নিয়ে ভেবে পার করে দেয়া যাবে, হাত মুখ ধুয়ে এসে বসতে বসতে সেটা অর্থহীন ফালতু মনে হয় । এজন্য মাঝে কিছুদিন কাগজে লিখে রাখছিলাম কয়েকটা স্বপ্ন । কারন , সা-ধা-র-ন-ত দু:স্বপ্ন আমি দেখিনা - স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে মজা লাগে তাই । কিন্তু লিখে না রাখলে পুরো ব্যাপারটাই যায় বিকৃত হয়ে ...
bibek has gone through his best dream, yester-night (!).. what a dream !! everything favorite was present there... and he was controlling the sequences.. .
যে স্বপ্নটা আজ মাথার মধ্যে সারিন্দা বাজাচ্ছে, সেটা লিখে ফেলার লোভ সামলাতে পারিনি । কিন্তু লিখতে গিয়ে আজাইরা কত কথা বলতে বলতে মোটামুটি ভুলে যেতে বসেছি ...
গুছিয়ে লিখতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না । কি কি ঘটলো, আপাতত সেটা তুলে রাখি ..
১. কোন একটা অফিসে (নামটা মনে আচে, তবে বলবো না) সারাদিন কাজ করেছি । কি কাজ ঠিক মনে নেই । সম্ভবত টিচার টাইপ ! তবে কাজটা আমার খুব পছন্দের ছিলো + প্রচুর পরিশ্রমের ছিলো । কেন যেন সেটা খুব আনন্দের সাথে করেছি । এটুকুন সময়ে যা ভাবিনি, কাজ শেষ হলে সেটা পেলাম । মানে আমার পকেট ভরে টাকা দেয়া হলো আরেকজন দেখি ঝগড়া করছে, টাকার পরিমান নিয়ে । আরো বেশি নাকি দেয়ার কথা । অবাক আমিও তার সাথে গলা (?) মেলাই ...
২. কাজ করাকালীন সময়ে মূল ঘটনার বাইরে আরো কিছু ঘটছে । একটা ছেলেকে আরেকটা ছেলে পেটালো... ইট ছুড়ে মারলো মাথায়...
৩. পকেট ভরা টাকা খুব উৎসাহের সাথে অনুভব করতেছিলাম । রিক্সা নিয়ে আমার ঠিকানায় পৌছুলাম । উমম... মনে পড়ছে .. বাজারে ছিলাম কিছুক্ষণ । ভাবছিলাম গোল মাছটা রূপচাঁদা মাছ । মাছওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভয়ে ভয়ে , দাম বলা যাবে না, তাইনা ? মনে হচ্ছিলো অনেক দাম হবে.. এরমধ্যে রূপঁচাদা হয়ে গেলো গোল ফুটবলের মত কোন ইলিশ মাছ থেকে কেটে নেয়া একটা টুকরো । দাম চাইলো ৪০০ টাকা (পষ্ট মনে আছে) আমি বলছি ৩০০ । এক কথায় দিয়ে দিলো মাছটা । দু:খ লাগলো একটু । বিনাবাক্যে দিয়ে দেয়া মানেই আমি অনেকখানি ঠকেছি ...
৪. হলের বারান্দায় ছিলাম । খেয়াল করলাম, নিচে বেশ হইচই হচ্ছে ... আরেকটু লক্ষ্য করতেই বোঝা গেলো, আমি আজ যেখানে কাজ করেছি, আরো কিছু ছেলে সেখান থেকে কাজ করে টাকাপয়সা নিয়ে আসছে । সেটা নিয়ে কি যেন ঝামেলা হইসে
৪. দেখতে দেখতে বিরাট গন্ডগোল বেধে গেলো একপক্ষ চলে এলো আমার রুমে । খুব বিরক্ত লাগছিলো । চেনামুখ এবং অপছন্দের ... কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না কিছু বলার ... এরমধ্যে আমার রুমটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে । মনে হচ্ছে এটা কোন বাসা যার ৪ টা আলাদা আলাদা রুম আছে । ভেতরের রুমে আমি ও আমার কোন বন্ধুকে ঠেলে দিয়ে ওরা বাইরের রুম নিয়ে নিলো । মারামারি টাইপের কিছু হবে...
৫. প্রতিবাদ না করে পারা গেল না এবং মুহুর্তেই প্রচন্ড বিপদে পড়ে গেলাম । অতি আপনজন কেউ (মনে করি, তার নাম খ ) ঘুমিয়ে আছে । ওদের টার্গেট তাকে আক্রমন করা । রূখে দাড়ালাম । আমাকে টান মেরে ওই একই রুমে বন্দী করে ফেলল । ভয় দেখালো । উপায়ান্তর না দেখে দরজা ধরে হ্যাচকা টানে খুলে ফেল্লাম (আজকের স্বপ্নের বৈশিষ্ট্য হলো, সাপ তাড়া করলেও দৌড়াতে পেরেছি , স্বপ্নের মধ্যে এর চেয়ে মজার ব্যাপার আর নেই )
৬. আঘাত এলো, বুক পেতে নিলাম মন বলছে, খ বুঝতে পেরেছে, তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমি কি করছি । সে খুব কৃতজ্ঞ...
৭. খ কে কাধের ওপর তুলে নিয়ে দরজার বাইরে চলে এলাম । দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে খ অজ্ঞান । এখানেও সুখের ব্যাপার হলো, পকেট ভর্তি টাকাটা তখনো রয়ে গেছে মেডিকেলের দিকেই আপাত গন্তব্য । আবার রিক্সা । এমন রিক্সা, গিয়ার অলা সাইকেলের মত যার চেইন বাড়ানো কমানো যায় । স্পিড খুব কিছুদুর গিয়েই বুঝতে পারলাম, ওরা ফলো করছে আমাকে তাই ওই মেডিকেলের টার্গেট চেন্জ করে আরেকটার দিকে ছুটলাম । মানে রিক্সাতেই...
৮. প্রচন্ড কুয়াশায় ঘেরা চারিদিক । ধুষর এবং শান্ত এবং কেমন একটা এবড়ো থেবড়ো মেঠো পথে ধীর গতিতে চলছে রিক্সাটা । দুপাশে লাউয়ের মাচার মত অস্পষ্ট কিছুর অস্তিত্ব ! খ এর জ্ঞান ফিরেছে । বুঝতে পারছি, খ আমার পাশে বসে আছে... আবার অনুভব করতেছি, খ কে কাঁধে তুলে সেই যে বেরিয়েছিলাম, এখনো ওখানেই রয়ে গেছে । আস্তে করে কাঁধ থেকে খ কে নামিয়ে খ এর কাছেই ফেরত দিয়ে বল্লাম, দেখোতো, ঠিক আছে কিনা ? এটা তোমার...
No comments:
Post a Comment