সৃষ্টি হিসেবে গরু,ছাগল-মুরগি সকলেই সমান

সৃষ্টি হিসেবে গরু,ছাগল-মুরগি সকলেই সমান B-)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৪৯

আহমদ মুসা ব্রেড-বাটার-জুস খেয়ে কফির কাপ টেনে নিলো। 

"স্যুপ যে থাকলো ছোট ভাই! অনেক রক্ত গেছে, আপনার জন্য ওটা খুবই দরকার!", সুষ্মিতা বালাজী বললো।

এক টুকরো সলজ্জ হাসি ফুঁটে উঠলো আহমদ মুসার ঠোঁটে।বলল, "স্যরি মুরগির স্যুপ বলে খেতে পারছিনা"।

মুরগি খান না ?

"খাই। কিন্তু আমাদের ধর্মীয় বিধান অনুসারে আল্লাহর নাম নিয়ে যদি জবাই করা না হয়, তাহলে মুরগি, খাসি, গরু ইত্যাদি কোন প্রাণীরই গোসত আমরা খেতে পারিনা ", বলল আহমদ মুসা

মন্তব্য ১২৭ টি রেটিং +২০/-১৬

মন্তব্য (১২৭) মন্তব্য লিখুন

১ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫০
আবূসামীহা বলেছেন: সাইমুম কত নম্বর, বিবেক সত্যি?
২ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫০
বিবেক সত্যি বলেছেন: "আল্লাহর নাম না নেয়ায় গোসতের গন্ধ-স্বাদ কিংবা ফিজিক্যাল কোন পার্থক্য হয়তো দৃশ্যমান নয় , কিন্তু সৃষ্টিগত দিক দিয়ে জীবনের সাথে এর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।"-আহমদ মুসা বলল। "সেটা কেমন?", বলল ডেনিশ দেবানন্দ।
৩ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫১
আবূসামীহা বলেছেন: কি হল এমন করলেন কেন?
৪ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫১
বিবেক সত্যি বলেছেন: "এই বিশ্বজগতে যা আছে সকলেই আমরা আল্লাহর সৃষ্ট। 'সৃষ্টি' হিসেবে গরু, ভেড়া-মুরগি সকলেই সমান ।তাহলে আমরা গরু-ছাগল-মুরগি ইত্যাদি দেদারচে জবাই করে খাচ্ছি, কেন, কোন অধিকারে?
৫ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫২
বিবেক সত্যি বলেছেন: খাচ্ছি এই অধিকারে যে স্রষ্টা সয়ং এই অধিকার আমাদের দিয়েছেন। স্রষ্টা তার সৃষ্টিবলয়কে চলমান, অব্যাহত রাখতে এক সৃষ্টিকে আরেক সৃষ্টির ভোগ্য বানিয়েছেন। মানুষ খাবে মুরগি, মুরগি খাবে পোকামাকড়, পোকামাকড় বাঁচবে অন্য কিছু খেয়ে।এভাবে সৃষ্টির সবাই বাঁচবে, সৃষ্টি জগত থাকবে চলমান।
৬ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫২
বিবেক সত্যি বলেছেন: সুতরাং আমরা যে গরু খাচ্ছি, মুরগি খাচ্ছি তা আমাদের শক্তির জোরে খাচ্ছিনা, আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসারে খাচ্ছি। এই বিধানকে স্বীকৃতি দেয়া , স্মরণ করার জন্যই ভোগ্য প্রাণীকে জবাই করতে আল্লাহর নাম নিতে হবে।"- থামলো আহমদ মুসা।
৭ ।০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫৩
বিবেক সত্যি বলেছেন: নীরবতা ভাঙলো সুষ্মিতা বালাজী। বললো, "ধন্যবাদ, ছোটভাই, আপনি অপরুপ এক সৃষ্টি-দর্শন সামনে নিয়ে এসেছেন। জীবন ধারনের জন্য একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত বা নির্ভরশীল সৃষ্টিবলয়ের কথা আমরাও জানি, কিন্তু এর সাথে স্রষ্টার ইচ্ছা বা বিধানকে যুক্ত করে একে যে অপরূপ করে তুলেছেন, সেটা শুধু বিষ্ময়কর নয়, তা জীবনের এক নতুন অর্থ সামনে নিয়ে আসে"।

No comments:

Post a Comment