বিজয়োল্লাস প্রকাশ করি পবিত্র কুরআনে শেখানো পদ্ধতিতে

বিজয়োল্লাস প্রকাশ করি পবিত্র কুরআনে শেখানো পদ্ধতিতে

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪৮

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

১.যখন আল্লাহর সাহায্য এসে যায় এবং বিজয় লাভ হয়

২.তখন মানুষদেরকে আপনি দেখবেন , তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে

৩.তখন আপনি আপনার রবের সপ্রশংস মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১১/-৩

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫০
বিবেক সত্যি বলেছেন: মূল বক্তব্যঃ বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। যেকোন আন্দোলনের নেতার উচিত নয় বিজয়ের পরে গর্বোদ্ধত আচরন করা। বরং বিপ্লবে বিজয়ের পর প্রথম উদ্দেশ্য থাকবে পরিস্থিতি শান্তিময় করা। একাজটি করা সহজ নয় । আল্লাহর সাহায্য ব্যাতীত বিপ্লবের বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
২ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫১
বিবেক সত্যি বলেছেন: -"যখন আল্লাহর সাহায্য এসে যায়" সূরাটির প্রথম শব্দটির অর্থ "যখন" । শব্দটি কিয়ামত পর্যন্ত যেকোন বিজয়ে বিশ্বাসীদেরকে এ সূরাটিকে গাইডলাইন হিসেবে গ্রহণ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে...
৩ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫২
বিবেক সত্যি বলেছেন: -"আল্লাহর সাহায্য" সংখ্যায় কম, অস্ত্রের স্বল্পতা সহ শত দুর্বলতার মাঝেও সত্য ও ন্যায়পন্থী দলই বিজয় লাভ করে । এটা একান্তই আল্লাহর সাহায্য। দুনিয়ার কোন সূত্র সাধারনত একে ব্যাখ্যা করতে পারেনা ঠিকমত !
৪ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫২
বিবেক সত্যি বলেছেন: -"দলে দলে দ্বীনে প্রবেশ" বিজয়ের পর মানুষের সকল সন্দেহ দূর হয়ে যায়। আরবের বুকে ইসলামের বিজয়ের পরে অনেক বিখ্যাত সাহাবা ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন । হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ , হযরত ইকরামা ইবনে আবু জাহল রাঃ যারা একময় ছিলেন মুসলিম শক্তির প্রচন্ড বিরোধীতাকারী তারাই পরবর্তীতে হয়েছিলেন মুসলিম শক্তির শ্রেষ্ঠতম সেনানায়ক...
৫ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৩
বিবেক সত্যি বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পরে অবস্থা এমন হয়েছিলো যে নিকট আরবের কোথাও একজন মুশরিক, যুদ্ধাপরাধী কিংবা ইসলামবিরোধী দেশদ্রোহী খুজে পাওয়া যায়নি। সবাই মিলেমিশে ইসলামী রাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। "লা তাছরিবু আলাইকুমুল ইয়াওমা"-আজ তোমাদের ওপর কোন ভর্তসনা নেই...রাসূলুল্লাহ সাঃ এর এই সাধারন ক্ষমা ঘোষণার পরে ওহুদ যুদ্ধের ফলাফল ওলটপালট করে দিয়ে ৭০ মুসলিমকে শহীদ করে দেওয়া সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ ও হতে পারেন সাইফুল্লাহ-আল্লাহর তরবারি উপাধীপ্রাপ্ত
৬ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৬
বিবেক সত্যি বলেছেন: বিজয়ের পরে করনীয়ঃ মহানবী সাঃ কে দুটো কাজ করতে বলা হয়েছে ১.আল্লাহর প্রশংসা উচ্চারন ২.আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
৮ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: আল্লাহর রাসূল সাঃ ২৩ বছরের সংক্ষিপ্ত সময়ের মাঝে পুরো একটি জাতির ধ্যান-ধারনা-বিশ্বাস, আচার-আচরণ, নৈতিক চরিত্র, সভ্যতা- সংস্কৃতি, সমাজনীতি, অর্থব্যাবস্থা রাজনীতি ও সামরিক যোগ্যতা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিলেন। মূর্খতা-অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের মাঝে ডুবে থাকা জাতিকে উদ্ধার করে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন করেছেন যার ফলে তারা সারা দুনিয়া জয় করে ফেলেছিলো । কিন্তু এতবড় কাজ করার পরেও তাকে উতসব পালন করতে না বলে বরং বিনয়ী হয়ে আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা করতে বলা হচ্ছে। কি চমতকার...
১০ ।১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: আল্লাহর প্রশংসা মানে এখানে বিজয়ের কৃতিত্ব কোন অবস্থাতেই নিজের মনে না করা। মনে ও মুখে একথা স্বীকার করা যে এ সাফল্যের জন্য সমস্ত প্রশংসা কেবলমাত্র আল্লাহর। তিনি আমাকে দিয়ে কাজটা করিয়েছেন-আমার তৃপ্তির জন্য এতটুকু ভাবনাই যথেষ্ট...

No comments:

Post a Comment