ভিডিও
বাঁশের কেল্লার মহানায়ক : শহীদ তীতুমীর
১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
-ছেলেটা হুমহাম তাড়াহুড়া করে ভাত মুখে পুরছিলো । এত তাড়া তার !! মা ধমক দিয়ে ধীরে সুস্থ্যে খেতে বলে , কিন্তু তার মাথায় তখন অন্য চিন্তা । সংগীরা অপেক্ষা করছে ও পাড়ার সুপাড়ী বাগানে । এমন সময় কে একজন দৌড়ে এসে তার কানে কানে খবরটা দিয়ে যায় , মন্ডলদের বাড়ির পেছনে একটা বাঘের বাচ্চা দেখা গেছে । ভাতের থালা থেকে হাত গুটিয়ে উঠে পড়ে সে । কতদিনের শখ- একটা বাঘের বাচ্চা পুষবে ...
-তীতুমীরের জীবনগাঁথা নিয়ে লেখা কোন এক উপন্যাসের শুরুটা এমন ছিলো । অস্পষ্ট মনে আছে । নাম সম্ভবত "তীতুর লেঠেল " আতা সরকার লেখক ...
-সাইয়্যেদ মীর নীসার আলীর তীতুমীর হবার একটা গল্প-ও আজই শুনলাম । একেবারে ছেলেবেলায় নাকি তিনি রোগা ছিলেন , তাই দাদী গাছের বাকল, লতা, পাতা, শিকড় বেটে তিতা রস বানিয়ে খাওয়াতেন তাকে । অনায়াসে গিলে ফেলতেন তিনি সেই রস । দাদী এখান থেকেই তাকে ডাকতে শুরু করেন তিতা-মীর
-২৭ জানুয়ারী ১৭৮২ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই মহান যোদ্ধার জন্ম হয় । বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুযায়ী তারিখটা ১৪ ই মাঘ- ১১৮২ । জন্মস্থান চব্বিশ পরগনার হায়দ্রাবাদ । তীতুমীরের বাবা মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রুকাইয়া খাতুন । তীতুমীর হযরত আলী রা: এর বংশধর । তার পূর্বপুরুষ সৈয়দ শাহাদাত আলী ইসলাম প্রচারোদ্দেশ্যে প্রথম আরব থেকে আসেন । শাহাদাত আলীর পুত্র সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহকে জাফরপুরের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয় দিল্লী প্রশাসন । উনি-ই বিচারকার্যের জন্য "মীর-ইনসাফ" উপাধি পান ....
-১৮ বছর বয়সে কুরআনের হাফেজ হন তীতুমীর । বাংলা - আরবী-ফারসী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি একই সাথে একজন ব্যয়ামবীর পালোয়ান হিসেবে পরিচিত হন বন্ধুমহলে । ইসলামী আইন-বিচারব্যবস্থা - দর্শনশাস্ত্রেও পারঙগমতা অর্জন করেন তিনি ...
-মূলত: ১৮২২ সালে হজ্জ্বে যাওয়ার পর থেকেই তীতুমীরের চিন্তাধারার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয় । বিশ্বমুসলিমের এই মহাসমাবেশের পর তার সাথে দেখা হয় সৈয়দ আহমেদ ব্রেলভীর সাথে । ১৮২৭ এ তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রামে । শির্ক ও বিদয়াতমুক্ত মুসলিম সমাজ গঠনের দাওয়াতে নেমে পড়েন । মুসলিম সমাজের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার দিকেও মনোযোগ দেন তিনি । তার কাজ শুরু হয় চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় ।
-কিছুদিনের মধ্যেই তৎকালীন সৈরাচারী সাম্প্রদায়িক জমিদারশ্রেনীর সাথে তীতুমীরের টক্কর শুরু হয়ে যায় । নানারকম অপমানজনক ট্যাক্স ধার্য করা হচ্ছিলো । মুসলমানদের দাঁড়ি রাখা .. এমনকি মসজিদের ওপর ট্যাক্স ধার্য করে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মদদপুষ্ট অত্যাচারী জমিদার কৃষ্ণদেব রায় । একই সাথে দেবনাথ রায় (গোবরা গোবিন্দপুর) , গৌড়ী প্রসাদ চৌধুরী (নাগপুর), রাজনারায়ণ (তারাকান্দি), কালিপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় (গোবরডাঙ্গা) প্রমুখ হিন্দু জমিদারেরাও সতর্ক হয়ে ওঠে তীতুর আন্দোলনের ব্যাপারে ।
-এসময় তীতুমীর অত্যাচারিত কৃষকদের কে সংগঠিত করে লাঠি-সড়কি জাতীয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী গড়ে তোলেন । তার ভাগ্নে শহীদ গোলাম মাসুম ছিলেন এই মুজাহিদ বাহিনীর সেনাপতি ।
- জমিদার কৃষ্ণদেব রায় পার্শ্ববর্তী সরফরাজপুরে (বর্তমান নাম - সর্পরাজপুর) শত শত লোক জড় করে লাঠিসোঁটা, ঢাল-তলোয়ার, সড়কিসহ শুক্রবার জুমার নামাজরত অবস্খায় মসজিদ ঘিরে ফেলে এবং মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিন দু’জন শাহাদত বরণ করেন , আহত হন অসংখ্য । মুসলমানদের মামলায় পুলিশ ঘটনাস্খলে না গিয়ে থানায় বসেই মামলার রিপোর্ট দেয়।
-তিতুমীর তার লোকজন নিয়ে সরফরাজপুর থেকে ১৭ অক্টোবর ১৮৩১ সালে নারকেলবাড়িয়া হিজরত করেন। ২৯ অক্টোবরেই কৃষ্ণদেব নারকেলবাড়িয়া আক্রমণ করে বহু লোক হতাহত করে। ৩০ অক্টোবর এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে গেলে কোনো ফল হলো না। ৬ নভেম্বর কৃষ্ণদেব আবার মুসলমানদের ওপর নারকেলবাড়িয়ায় আক্রমণ করল।
-হিন্দু ও ইংরেজদের যৌথ আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁশের মজবুত খুঁটি দিয়ে কেল্লা তৈরী করেন । ইতিহাসে এটা ‘তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা’ নামে পরিচিত।
-শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমঝোতা করার সব উপায় ব্যর্থ হবার পর তীতুমীর বারাসাতে ইংরেজ সরকারের বিপক্ষে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । চব্বিশ পরগনার কিছু অংশ , নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন । এটাই বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয় । বর্নহিন্দুর অত্যাচারে জর্জরিত অনেক হিন্দু কৃষক ও এ বিদ্রোহে ছিলো । বারাসাত বিদ্রোহে গোবরাগোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হয় ।
- বারাসাত বিদ্রোহের পর তীতুমীর উপলদ্ধি করেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াই আসন্ন । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সরকার কর্নেল স্টুয়ার্ডকে সেনাপতি করে একশত ঘোড়া, তিনশত পদাতিক সৈন্য, দু'টি কামানসহ নারকেলবাড়ীয়াতে রওনা করায় ১৩ নভেম্বর। মেজিষ্ট্রেট আলেকজান্ডার নারকেলবাড়ীয়ায় একজন হাবিলদার, একজন জমাদ্দার, পঞ্চাশ জন বন্দুক ও তরবারীধারী সৈন্য নিয়ে নারকেলবাড়িয়ার কাছাকাছি ভাদুড়িয়ায় উপস্খিত হন। পরে বশিরহাটের দারোগা সিপাহী নিয়ে ভাদুড়িয়ায় আলেকজান্ডারের সাথে মিলিত হয়। প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয় মুজাহিদ বাহিনীর সাথে । এতে উভয় পক্ষের লোক হতাহত হয়। যুদ্ধে দারোগা ও একজন জমাদ্দার মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়, বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট মি: আলেকজান্ডার পালিয়ে বেঁচে যান ।
-পরের দিন ১৪-নভেম্বর কর্নেল স্টুয়ার্ডের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার প্রধান দরজায় পৌঁছে । স্টুয়ার্ড পথ প্রদর্শক রামচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাস করলেন, 'এই ব্যক্তিই কি তিতুমীর'? রামচন্দ্র, বলল 'হ্যাঁ, সে নিজেকে তিতু বাদশা বলে প্রচার করে। আপনার আগমনে তারা বাহানা পরিবর্তন করেছে।'
-স্টুয়ার্ড রামচন্দ্রকে বলল, 'তিতুমীরকে বলুন, বড়লাট লর্ড বেন্টিংক-এর পক্ষ থেকে আমি সেনাপতি হিসেবে এসেছি। তিতুমীর যেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে। তবে উত্তরে সে যা বলবে তা আমাকে হুবহু বলবেন।'
-রামচন্দ্র তিতুমীরকে বলল, 'আপনি কোম্পানী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এখন জপমালা ধারণ করেছেন। আসুন, তরবারী ধারণ করে বাদশার যোগ্য পরিচয় দিন।'
-শুনে সাইয়েদ নিছার আলী তিতুমীর বললেন, 'আমি কোম্পানী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। হিন্দুদের ন্যায় আমরাও কোম্পানী সরকারের প্রজা। জমিদার নীলকরদেরঅত্যাচার দমন এবং মুসলমান নামধারীদের প্রকৃত মুসলমান বানানোর জন্য সামান্য চেষ্টা করছি মাত্র।'
-তিতুমীরের জবাব শুনে রামচন্দ্র দোভাষী হিসেবে কর্নেল স্টুয়ার্ডকে বলল, 'হুজুর, তিতুমীর আত্মসমর্পণ করবে না, যুদ্ধ করবে। সে বলে, সে তোপ ও গোলাগুলীর তোয়াক্কা করে না। সে আরো বলে, সে তার ক্ষমতাবলে সবাইকে টপ টপ করে গিলে খাবে। সে এই দেশের বাদশা, কোম্পানী আবার কে?'
-দোভাষীর কাজ করতে গিয়ে রামচন্দ্রের বিশ্বাসঘাতকতায় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো । সুশিক্ষিত ইংরেজ সৈন্য মেজর স্কটের পরিচালনায় ও তাদের ভারী কামানের গুলীর সামনে লাঠি আর সড়কির কৃষকসেনারা দাঁড়িয়ে গেলো । বাঁশের কেল্লা ধ্বসে পড়লো । তিতুমীর ও তার মুজাহিদরা হানাদারবাহিনীর কাছে মাথা নত না করে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান । ১৯ নভেম্বরে শেষ হয়ে যায় তীতুমীরের প্রতিরোধ । শহীদ হন উপমহাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের এই বীরমুজাহিদ ।
__________________________
যেসব পেইজ দেখে লিখতে গিয়ে কিছুটা গোলমাল হয়েগেছে বলে আমার ধারনা ....
মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: আপনার ইচ্ছা ...
১ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১২
প্রেসক্রিপশন বলেছেন: মাইনাস কেন @ স্বপ্নীল? সূর্যসেন আর প্রীতিলতার চেয়ে তিতুমিররা অনেক বেশী মহিয়ান ... এদেশ তাদের উত্তরসূরীদের ।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: এদেশ সবার... আজকের এই ১৯ নভেম্বরেই বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের নয় নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলেল মৃত্যুবার্ষিকী...
২ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬
ঝটপট বলেছেন: অন্যান্য জুলুমের পাশাপাশি জোর করে তখন নীল চাষ করানো হতো, প্রজাদের ঘরে খাবার নেই তবুও অত্যাচার চালানো হতো নীল চাষের জন্য; এ'সবের বিরুদ্ধে তীতুমীর ছিলেন সোচ্চার ও সংগ্রামী, অতঃপর শহীদ। তীতুমীর ছিলেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ... এই একই দিনে আরেকজন সত্যিকারের পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক মেজর জলিলের মৃত্যুবার্ষিকী .. তার কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছি ... যিনি মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় সৈন্যদের লুটপাট আর এদেশের সম্পদ পাচার করতে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ...
৩ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
ধীবর বলেছেন: এই পোস্টে বর্ণিত রামচন্দ্রের উত্তরসুরি আজকের এই স্বপ্নিল নামের ব্লগার। মাইনাস তো দেবেই। এটাই স্বাভাবিক। পক্ষপাতদুস্ট দৃস্টিভঙ্গির কারণে তিতুমীরের ইতিহাসকে অনেকে জানতে দিতে চাননা। লেখক সে উদ্যোগ নিয়েছেন, এই জন্য অবশ্যই প্লাস।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: তীতুমীর-শরীয়তউল্লাহ-মজনুশাহদের ইতিহাস লেখার সময় হয়না অনেকের যারা ক্ষুদিরাম-প্রিতীলতার জন্য ব্লগে ঝড় বইয়ে দেন ... চেষ্টা করলাম তাই কিছু ওয়েব ঘাটার ... আপনাকে ধন্যবাদ ...
৪ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩
কুয়াশা বলেছেন: শুধু + দেয়ার জন্য লিগং করলাম।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
বিবেক সত্যি বলেছেন: প্লাস পেয়েছি , থ্যাংক ইউ ...
৫ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩
কিরিটি রায় বলেছেন: -দোভাষীর কাজ করতে গিয়ে রামচন্দ্রের বিশ্বাসঘাতকতায় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো । ++ ঘৃণা... @ স্বপ্নীলদের জন্য.... এদের চেতনায় মনে হয় রামচন্দ্রের প্রেতাত্মারা আজও বিরাজমান....!!
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২১
বিবেক সত্যি বলেছেন: উপমহাদেশে স্বাধীনতাকামীদের বেশিরভাগ পরাজয়ের ইতিহাসের সাথেই "বিশ্বাসঘাতকতা" টার্মটা জড়িত ... মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ...
৬ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮
মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লেগেছে। *****
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ...
৭ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ বলেছেন: এই দেশটাই উন্নতি করতে পারল না শালার 'বিশ্বাসঘাতক হিন্দু' গুলার জন্য!
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: আপনি কি জানেন, তীতুমীরের বাহিনীতে অনেক নিম্নবর্ণের হিন্দু কৃষক ও ছিলো ! যারা হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের শিকার ছিলো । সামগ্রীকভাবে হিন্দু জাতি মুসলমানদের সাথে ঐক্যের পরিবর্তে ইংরেজদের সাথে থাকতে পছন্দ করছিলো , কারন সর্বশেষ শাষকজাতি মুসলমানদের চাইতে বেনিয়া ইংরেজদের গোলামী তাদের জন্য লাভজনক মনে করেছিলো ।
৮ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২
দারাশিকো বলেছেন: শুরুর অংশটা 'তীতুর লেঠেল' থেকে নয়। তিতুর লেঠেলে শুরু হয়েছিল দু ভাই বোন জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিল। অতঃপর ফকির মজনু শাহ এর লোকজন তাদেরকে ফকিরের কাছে নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে এই বোনটি হয় জয়তুনের মা আর ভাইটি হয় একজন বড় দরবেশ!
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩২
বিবেক সত্যি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ... জয়তুন নামটা মনে পড়লো... আসলে বহুদিন আগে পড়া ... আমি যেটার কথা বলছি, সেটা আতা সরকারের লেখা, মোটামুটি নিশ্চিত .. কোন পত্রিকা থেকে পড়েছি তাহলে ...
৯ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
মাহমুদ রহমান বলেছেন: +, এরকম গবেষণাধর্মী পোস্টের বড় বেশি প্রয়োজন। এ সংক্রান্ত বাংলায় যেসব বই পুস্তকের খবর জানা যায়, তার একটা লিস্ট (লেখক, প্রকাশকের নামসহ) দিলে মন্দ হয় না।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: থ্যাংক ইউ .... বইপুস্তকের লিষ্ট দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না ... কিচ্ছু জানিনা .. যাকিছু নিজে পড়ছি, তা বহু আগের ঘটনা...
১০ ।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল। তবে লেখাটি ছোট। তীতুর জীবন নিয়ে একটা মহাকাব্য রচনা করা যায়। কেন যে করা হয় নি সেই আশ্চর্য। মাইনাস যারা দেয়ার তারা দেবেই। কিন্তু তীতুর সাহসিকতায় তারা কোন মলিনতা ফেলতে পারে না।
।১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৭
বিবেক সত্যি বলেছেন: তীতুর জীবন নিয়ে মহাকাব্য রচনা করা হয়নি, এমন না ... "তীতুর লেঠেল" বইটা সম্ভব হলে পড়বেন... গল্পাকারে ওই সময়ের চিত্র নিঁখুতভাবে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে ... আর , আমার লেখাটা আসলেই ছোট ; ))
১১ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩২
ফারজানা মাহবুবা বলেছেন: তিতুর লেঠেল বইটা মারাত্নক দারুন। সেই কোন ছোটকালে পড়েছি, এখনো মনে দাগ কেটে আছে। বিবেক, মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ'র মন্তব্যে আরো কঠোর উত্তর আশা করেছিলাম। আমাদের এখানকার ইতিহাসের সবচে বড় বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর ছিলো মুসলিম। কিন্তু 'বিশ্বাসঘাতকতা' ইসলামিক কন্সেপ্টের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। বিশ্বাসঘাতকের কোনো ধর্ম নেই, বর্ণ নেই। বিশ্বাসঘাতক হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান যেই হোক, তার সবচে বড় পরিচয় সে বিশ্বাসঘাতক।
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: আপনার কথা-ও সত্য , তারিক সাইফুল্লাহ যে কনসেপ্টে কথা বলেছে সেটাও একেবারে অহেতুক কথা না । তবে তার প্রকাশভঙ্গী আপত্তিকর ... যে মীরজাফরের উদাহরণ দেয় সবাই, তার চাইতে শতগুন শঠতা আর প্রতারনার নায়ক ছিলো রায়বল্লভ - জগৎশেঠেরা । মীরজাফরকে এরাই সুকৌশলে সামনে ঠেলে দিয়ে তার আড়ালে দাঁড়িয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে । পরবর্তীতে ইংরেজদের সবধরনের অনুকম্পাধন্য হিন্দুজাতি কখনই স্ব:তস্ফূর্থ স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেয়নি যেখানে মুসলিম আলেমরা ভারতবর্ষকে দারুল হারব ঘোষণা দিয়ে হিজরত এবং জুমআর নামাজ নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন । শফিউদ্দিন সরদারের বইগুলি সুযোগ পেলেই পড়ে ফেলবেন ...
১২ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৫৬
আওরঙ্গজেব বলেছেন: ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৬
বিবেক সত্যি বলেছেন: লেখার সময়ে এবিষয়ে আপনার পোষ্টগুলোর ওপরেও নজর বুলিয়েছি ... আপনাকেও ধন্যবাদ ...
১৩ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮
আবূসামীহা বলেছেন: দেশে এখন রামচন্দ্র ও গোবিন্দচন্দ্রদের দোর্দণ্ড প্রতাপ। এখন দরকার অনেক তিতুর। কিন্তু মনে হয় আমাদের প্রজন্ম তিতুদের ভুলে জেতে বসেছে। হাজারো ধন্যবাদ স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: ঘরে ঘরে তীতুর মত বাঘের বাচ্চা বশ মানাবার হিম্মতওয়ালা শিশুদের জন্ম হোক...
১৪ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:২২
েছাটন বলেছেন: ++
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: থ্যাংক ইউ ...
১৫ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৭
উন্মোচক বলেছেন: চমৎকার। নিয়মিত লিখবেন আশা করি।
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৪০
বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ , আমি একেবারেই অনিয়মিত .. পারিনা : ))
১৬ ।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
নিবিড় বলেছেন: পুরোটা পড়লাম....বেশ অনেক কিছু জানলাম....এরকম আরো লিখা চাই++++
।২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: থ্যাঙ্কস .. : ) লিখবো আশা করি ...
১৭ ।২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়তে এলাম আবার।
।২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: মন্তব্যে তেমন কিছু নাই । পোষ্টের বিষয় নিয়ে বিতর্ক করার মত কারো কিছু নেই বলেই হয়তো .. : )
১৮ ।২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
ঝুমী বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো। +
।২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০০
বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ ঝুমী ...
১৯ ।২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৫
শাহরিয়ার হাসান বলেছেন: বাহ ভাল লেখা তো! আপনি কি ইতিহাসের ছাদ্র?
।২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০২
বিবেক সত্যি বলেছেন: নারে ভাই, ইতিহাসের ছাত্র হতে হবে কেন ? জাতিস্বত্তার শেকড় সম্পর্কে প্রতিটি নাগরিকের ই সচেতন হওয়া দরকার .. সেইজন্যই সবকিছু নিয়েই একটু আধটু পড়াশোনা অন্ত:ত থাকা উচিত...
২০ ।২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
দ্বীপবালক বলেছেন: হা...হা...হা... বাঙালীর ইতিহাস জ্ঞান দেইখা বহুৎ মজা পাইলাম। বস, ভিডিওটা জটিল দিসেন। "তিতুমীর কে ছিলেন?" এই প্রশ্নের জবাবে বাঙালীরা যা জবাব দিল তাতে মজা ছাড়া আর কিছুই নাই। আহারে বাঙালী............
।৩০ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০২
বিবেক সত্যি বলেছেন: এরা বুয়েটের তীতুমীর হলের বাসিন্দা ... আর কিছু বলার নাই ... কারো ধারনা, তীতুমীর এই হলের ছাত্র ছিলেন, কারো ধারনা তীতুমীর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানী ছিলেন ... আহ !!
২১ ।৩০ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৪৮
দ্বীপবালক বলেছেন: হুম! এরাই পরে আবার চেতনার ধারক হয়ে বসবে।
।০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: পরে আর কি ... ? এখনি এদের একেকজন বিরাট চেতনাধারী ...
২২ ।০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৩
ফজল বলেছেন: এ যুগের দেশপ্রেমিকদেরকে কি ভবিষ্যতে কেউ তিতুদের মত বিচার করবে? সে রকম সত্য প্রকাশ ও সত্য দেশপ্রেম কি আছে? তিতুমীর ও তার সহযোগীদেরকে আল্লাহ্ ক্ষমা করুন।
।০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
বিবেক সত্যি বলেছেন: বুঝতে পারিনি ... "তিতুদের বিচার" ... !! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ..
২৩ ।২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩১
টুশকি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, ইনফরমেটিভ পোস্ট,+++++++
।২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:২১
বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ ... ভালো থাকুন ...
২৪ ।১৪ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম ভূঁইয়া বলেছেন: এরিও ভাই আত্তুন আরো বেশী জাইনবার ইচ্ছা লাগছে... তিতুমীরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেক বার।
।২১ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
বিবেক সত্যি বলেছেন: জেনে নেন ..তারপর আমাকে জানান ...
২৫ ।১১ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭
লালসালু বলেছেন:
।১৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:০৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: ভিডিও দেখে হাসলেন মনে হয়..
২৬ ।০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
মুনিম সিদ্দিকী বলেছেন: ভাই সত্য বিবেক, আপনাকে জানালাব্লগে যোগদেবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment