আদম আ: থেকে মুহাম্মদ সা: এর বংশধারা (comment)

আদম আ: থেকে মুহাম্মদ সা: এর বংশধারা

২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫২

শেয়ারঃ
030
১. আদম আ 


(মানব জাতির প্রথম পুরুষ । বেহেশত থেকে পৃথিবীতে সরাসরি অবতীর্ন করা হয় তাকে । মানব জাতির আদী মাতার নাম হাওয়া । )

২. শীষ (অর্থ “আল্লাহর দান”) 

৩. ইয়ানিশ (অর্থ সত্যবাদী) 

৪. কায়নান (অর্থ সমান) 

৫. মাহলীল (অর্থ প্রশংসিত) 

৬. ইয়ারদ (অর্থ হচ্ছে নিয়ন্ত্রক) 

৭. আখনুখ 

(সম্ভবত ইনি হযরত ইদরীস আ, আদম আ এর পর প্রথম নবী, কলম দিয়ে তিনি ই প্রথম লেখার সূচনা করেন )


৮. মাতু শালাখ 


( এর অর্থ হচ্ছে যার দুত মারা গেছে , উনি মার্তৃগর্ভে থাকাকালীন তার বাবা-আখনুখ মারা যান)

৯. লামাক

১০. নূহ আ: 


(নুহ আ এর আসল নাম আব্দুল গাফ্ফার, নূহ শব্দটির অর্থ কান্না, সম্ভবত তিনি আল্লাহর ভয়ে প্রচুর কাদতেন বলে তার এমন নাম হয়েছিল । হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের বর্ণিত “মনু” ই হচ্ছেন নূহ আ, ইতিহাসের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় ভারতবর্ষে হিন্দুজাতির আগমন নুহ আ এর প্লাবনের পরেই হয়েছিল । সরাসরি নুহ আ এর উম্মত হচ্ছেন আজকের হিন্দু জাতি ) 


১১. সাম 


১২. আরফাখশাজ (অর্থ জ্বলন্ত প্রদীপ)

১৩. শালেখ (অর্থ প্রতিনিধি)

১৪. আয়বার 

১৫. ফালেখ 

১৬. রাউ 

১৭. সারূগ

১৮. নাহুর (অর্থ কুরবানীদাতা)

১৯. তারেহ (অন্য নাম আযার - অর্থ , হে খোড়া ব্যাক্তি)

২০. ইবরাহীম আ 


(শব্দটির মুল রূপ হলো, আবূন রহিম যার অর্থ দয়ালু পিতা, খৃষ্টানদের মধ্যে প্রচলিত নামটির রূপ হচ্ছে আব্রাহাম, মূলত বর্তমানে প্রচলিত জাতিগুলির সবাই ইবরাহীম আ 
এর প্রতি সমানভাবে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে... মহানবী সা এর নবুওতের সময়েও আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আরবের মুশরিক, ইয়াহুদী খৃষ্টানদেরকে “ইবরাহীমের দ্বীন” এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ।


২১. ইসমাঈল আ 


(অর্থ আল্লাহর অনুগত- আল্লাহর নির্দেশে কুরবানী হতে পিতার ছুড়ির নিচে শুয়ে পড়েছিলেন নির্দিধায়, কুরবানীর ইতিহাস এখান থেকেই শুরু, তিনি ১৩০ বছর বেঁচে ছিলেন,তার মাতা হাজেরা মিশরীয় বংশদ্ভুত ছিলেন - রাসুল সা এর ওসীয়ত আছে এব্যাপারে, তিনি বলে দিয়েছিলেন সাহাবাদের, যেন মিশর জয় করার পরে তার অধিবাসীদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করা হয়, কারন, মুসলিম রাষ্ট্রের বিজিত অমুসলিম নাগরিক আইনানুগ ভালো ব্যবহার এর অধিকারী এবঙ আত্মীয়তার সূত্রেও ...)

২২. নাবিত 

২৩. ইয়াশজাব ( অর্থ হচ্ছে নিন্দুক)

২৪. ইয়ারাব 

২৫. তায়রা (দু:খ ভারাক্রান্ত)

২৬. নাহুর (পৃর্ববর্তী আরেক পুরুষের একই নাম রয়েছে)

২৭. মুকাওয়াম

২৮. উদাদ (স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা-শাব্দিক অর্থ)

২৯. আদনান (অর্থ চিরস্থায়ী)

৩০. মায়াদ (অর্থ শক্তিমান)

৩১. নিযার (শাব্দিক অর্থ অল্প)

৩২. মুযার (মুল শব্দরূপ মাযীরা, যা দুধের তৈরী একধরনের খাদ্যের নাম)

৩৩. ইলয়াস 

(অর্থ, এমন বীর যিনি কখনও যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাননা)


৩৪. মুদরাকা (তার ২ ছেলে, খুযায়মা ও হুজায়ল)

৩৫. খুযায়মা 

(এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোন কিছুকে শক্ত করে বাধা, তার ৪ ছেলে, কিনানা, আসাদ, আসাদাহ ও হুন)

৩৬. কিনানা

(তার মায়ের নাম আওয়ানা, তার ৪ ছেলে, নাজর ,
মালিক, আবদে মানাত, মিলকান, শেষ তিন জনের মা ভিন্ন)

৩৭. নাজর 

(তার মা বাররাহ যার বংশ উপরের দিকে ইলয়াস(৩৩)এ একত্রিত হয়েছে , নাজরের নামই ছিলো কুরাইশ) 

৩৮. মালিক (মালিকের মায়ের নাম আতিকা)

৩৯. ফিহের 

(ফিহের শব্দটির অর্থ হচ্ছে লম্বা পাথর, তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে, গালিব, মুহারিব, হারিস ও আসাদ এবং জান্দালাহ এর মায়ের নাম লায়লা)

৪০. গালিব (তার তিন ছেলে লুআঈ, তায়ম ও কায়সের মায়ের নাম সালমা)

৪১. লুয়াই 


(তার ৭ ছেলে, কা’আব, আমির, সামাহ এর মায়ের নাম মাবিয়াহ । আওফ, সাদ, খুজাইমাহ হারিস এর মা ভিন্ন ভিন্ন )

৪২. কা’আব 

(রাসুল সা এর আগে ইনিই প্রথম আরব ঐক্যের ডাক দেন । কারো কারো মতে সপ্তাহের একটি দিনকে জুমআ নামটিও তার দেয়া, এই দিনে তিনি কুরাইশদের একত্রিত করে রাসুল সা এর আগমনের কথা আলোচনা করতেন , তার তিন পুত্র ছিল, 
মুররা, আদী, হুসায়স এর মায়ের নাম ওয়াহশ্যিয়া যার পুর্বপুরুষ ফিহের (৩৯))


৪৩. মুররা 


(শব্দটির অর্থ অতিশয় তিক্ত, তার ৩ ছেলে, কিলাব, তায়ম, ইয়াকাযা)


৪৪. কিলাব (তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে) 

৪৫. কুসাই (তার ৪ পুত্র ও ৪ মেয়ে ছিল)

৪৬. আবদে মানাফ (অন্য নাম মুগীরা)

৪৭. হাশিম 


(তার ৪ ছেলে -আব্দুল মুত্তালিব, আসাদ, আবূ সায়ফী, নাযলাও ৫ মেয়ে - শিফা, খালিদা, যাঈফা, রুকায়্যা, হাইয়া.. আব্দুল মুত্তালিব ও রুকায়্যা আপন ভাইবোন ছিলেন । 

৪৮. আব্দুল মুত্তালিব 

(আসল নাম শায়বা, তার এই নামের কারন জন্মের সময়েই তার মাথায় পাকা চুল পাওয়া গিয়েছিল B-), তিনি ১৪০ বছর বেচে ছিলেন, তিনিই নাকি চুলে কলপ ব্যবহার করেন সর্বপ্রথম, তার ১০ ছেলে ও ৬ মেয়ে ছিল...আব্বাস, হামজা, আব্দুল্লাহ, আবু তালিব, যুবায়র, হারিছ, হাজলা, মুকাব্বিম, যিরারা, আবু লাহাব.. এবং মেয়েরা ... সাফিয়্যা, উম্মে হাকীম বায়যা, আতিকা, উমায়মা, আরওয়া, বাররাহ) )


৪৯. আবদুল্লাহ 


(তিনি পিতার সবচেয়ে স্নেহভাজন ছিলেন । যমযম কুপের সংস্কার করতে গিয়ে বিরোধ বাধলে আব্দুল মুত্তালিব মানত করেন তার যদি ১০ সন্তান জন্ম নেয় এবং জীবদ্দশায় বয়োপ্রাপ্ত হয় তবে ১ জনকে কুরবানী করবেন । পরবর্তীতে তীর টানা (এক ধরনের লটারী) য় আব্দুল্লাহর নাম চলে আসে । তিনি মানত পৃর্ন করতে উদ্যত হলেও অন্যান্য কুরায়শদের বাধা ও পরামর্শে হিজাজের জনৈক মহিলা জোতীষীর পরামর্শ নিয়ে ১০০ উট আব্দুল্লাহর পরিবর্তে কুরবানী দেয়ার মানত করার পরে তীর টানায় আব্দুল্লাহর পরিবর্তে উটের নাম চলে আসে । ) :)


৫০. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম


(রাসুল সা এর মাতা আমিনা সমগ্র কুরাইশ বংশের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাসম্পন্ন মহিলা ছিলেন ।আবদে মানাফ (৪৬)থেকে তার পির্তৃবংশ আলাদা হয়ে গেছে । এবঙ তার মায়ের বংশ কুসাই(৪৫) থেকে আলাদা হয়েছে । রাসুল সা এর মুহাম্মদ নাম আমিনাকে স্বপ্নের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে । এর আগে আরবে আরো ৩ জনের মুহাম্মদ নাম ছিলো । তাদের পিতা রা জেনে ফেলেছিল যে সর্বশেষ নবী যার আগমনের সময় আসন্ন তার নাম মুহাম্মদ হবে । )

__________________________
রিলেটেড আরো কিছু লিঙ্ক... 

প্রকাশ করা হয়েছে: হুম..  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৫৯ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...

২.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
 বিবেক সত্যি বলেছেন: লেখাটার উপলক্ষ্য সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- রাসুলের জন্মদিন :)
৩.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০০
 বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: প্রিয় ব্লগে যোগ করলাম।
যাযাকাল্লাহ খায়ির।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৭
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ । অনেক ভালো লাগলো :)
৫.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২
 ক্যাচাল বলেছেন: দয়া করে কি আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিবেন?

আপনার তালিকা মতে আদম নবী আজ থেকে কতো বছর আগে দুনিয়াতে এসেছিলেন?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: ক্যাচাল ভাই, আমি অনেক দয়ালু মানুষ । তবে কিনা , দেখেন উপরে মাত্র কয়েকজনের আয়ুষ্কাল জানি । আদম আ কত বছর হলো পৃথিবীতে এসেছেন ঠিক জানিনা ? তবে পৃথিবীতে মানব জাতির বয়স যতটা , তার আগমন ও তত বছর পূর্বে হবে ।
৭.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২
 অক্ষর বলেছেন: +
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ ই হোক আমাদের জীবনের একমাত্র আদর্শ ।
৯.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৬
 সততার আলো বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। রাসূলের (স:) জন্মদিনে আশা করছি তাঁর সিরাত সকলের মাঝে সন্চালিত হোক।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৯
লেখক বলেছেন: রাসুলের আদর্শ ই সর্বকালের উপযোগী সর্বাধুনিক আদর্শ । মানব জাতির কল্যানের জন্য যে আদর্শ তিনি রেখে গেছেন, তা আবার এ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই পৃথিবীতে আবার শান্তি ফিরে আসবে ।
১১.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৭
 সুশীল সমাজ বলেছেন: এই ক্রম টা কোন বই এ পাইছেন? আইএসবিএন নামবার টা কি দিবেন? একট পড়ার ইচ্ছে ছিলো। @লেখক।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৮
লেখক বলেছেন: 
যে বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পোষ্টটা তৈরী করা হয়েছে তার নাম, "সীরাতুন্নবী সাঃ" মুল বইটির লেখকের নাম ইবনে হিশাম । লেখকের মুল নাম, আব্দুল মালিক । তিনি বসরায় জন্মগ্রহন করেন । মিশরে ইমাম শাফেয়ী র এর ছাত্র ছিলেন তিনি । 

বইটির বাঙলা অনুবাদক

১.মাওলানা আকরাম ফারূক
২.মাওলানা সাইদ মেসবাহ
৩.মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাইদ
৪.মাওলানা সাইফুল ইসলাম 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত এটি । প্রকাশকাল ১৯৯৪ সাল । আইএসবিএন নাম্বার ৯৮৪-০৬-০১৬৭-৯

আর বইখানা কোন এক সীরাতুন্নবী সা উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম গিফোট হিসেবে পাইয়াছিলাম B-)

এই হচ্ছে বইটার ইতিহাস :)
১৩.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৫
 বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: আচ্ছা এরা কেউ কিন্তু পুর্বতন দের উপায়ে প্রার্থনা করতোনা। প্রত্যেক নবীর লাইগা নতুন ষ্টাইলে প্রার্থান, সেটা কেন? আর আদম আঃ আসলে হেই যে নিওতড়ডাল মানুষের হাড় পাওয়া যায় সেটা কি?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৫
লেখক বলেছেন: এদের প্রার্থনার স্টাইলে কি প্রমানিত হয় ? এরা সবাই নবী নন ।
প্রার্থনার স্টাইল ভিন্ন হতেই পারে । 
১৫.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২০
 সুশীল সমাজ বলেছেন: ইবনে হিশাম কতো সালে বইটা লিখেছিলেন? উনি কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছিলেন?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩০
লেখক বলেছেন: ৮৫ হিজরীতে ইবনে ইসহাক সীরাত গ্রন্থটি লিখেন । ইনার জন্ম মদীনাতে। ইবনে হিশাম মূলত ওই বইটির সংশোধন করে প্রসিদ্ধি লাভ করেন । 

ততকালীন সময়ে আরবজাতির প্রধানতম একটা গুন ছিলো বংশপরম্পরা মুখস্ত করার বিদ্যা । আরবরা এ কাজটা নিখুতভাবে করার যোগ্যতা অর্জন করেছিল । 

আপনি বইটা পড়ে দেখবেন , আশা করি ।
১৭.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২২
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

চমৎকার পোস্ট... প্রিয় পোস্টে গেল। তবে এই বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। এধরনের বিষয় নিয়ে লেখা কিছু বইয়ের তালিকা দিয়ো সম্ভব হলে। আমার কাছে নেই....
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৯
লেখক বলেছেন: এখন ঠিক দিতে পারছিনা কোন তালিকা । তবে এধরনের বই ইসলামিক ফাউন্ডেশনেই পাওয়া যেতে পারে । অন্য কোথাও সম্ভবত বাংলাদেশে নেই । 
১৯.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৮
 রাগিব বলেছেন: ৫০ পুরুষ পরে মহানবী (সাঃ) এর জন্ম দেখালে সেই হিসাব ভুল তা সহজেই প্রমাণিত হয়। প্রতি জেনারেশনে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরলে মোট সময়ের ব্যবধান ঘটে বেশি হলে ২০০০ বছর। তার মানে হযরত আদম (আঃ) এর সময়কাল দেখানো হচ্ছে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব। ঐ সময়ের বহু আগের কাল থেকেই লিখিত ইতিহাস রয়েছে। মিশরের পিরামিডগুলোই আরো অনেক পুরানো।

নবী করিমের (সাঃ) জন্মদিনে এই ধরণের ভ্রান্ত প্রচারণাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪১
লেখক বলেছেন: রাগিব, আপনার শেষ লাইনটা কি না লিখলে হতোনা । আপনি কি পোষ্টে পোষ্টে ঘুরে বেরান, মানুষের কথা মেনুপুলেট করার সুত্রপাতটা করে দিতে ? আমি ইতোমধ্যেই পোষ্টের তথ্যসূত্র উল্ল্যেখ করে দিয়েছি । এটা আমার বানানো কিছু না । আপনার কি উচিত ছিলোনা কমেন্টগুলোতেও একটু চোখ বুলানো ?

পোষ্টের তথ্য অনুযায়ী ইসমাইল আ বেচে ছিলেন ১৫০ বছর । আবার নুহ আ এর আয়ুষ্কাল আমরা শুনেছি ৯৫০ বছর । এখন, আপনি কি করে জানেন কোন পুরুষের আয়ুষ্কাল ঠিক কতটা ? 
২১.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩১
 সুশীল সমাজ বলেছেন: লেখক আশা করি এই লেখাটা ড্রাফ্ট করবেন না। উনার জন্য অপেক্ষা করতেছে উত্তম ঝাঝা। আমার কষ্ট হচ্ছে লেখকের জন্য। @রাগিব।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫১
লেখক বলেছেন: ব্যান করাবেন নাকি ভাই ?
ভয় পেলাম , মাগ্গো :( বাঁচাও ;)
২৩.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪০
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

@রাগিব সাহেব
এই বিষয়ে আপনি সঠিক প্রচারণা করুন। বিষয়টা আসলে সঠিক কি ভ্রান্ত তা নিয়ে বিতর্কের অনেক অবকাশ রয়েছে। আপনি কিছু দিলে আরো কিছু বিষয় জানতে পারবো তাতেই লাভ।

কাউকে ভুল প্রমাণীত করে কি লাভ? বরং আপনি এই বিষয়ে কি জানেন তা বলুন.. আমরাও জানি। জানাটাই মূখ্য.... 
২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৬
লেখক বলেছেন: সীরাতুন্নবী সা উপলক্ষ্যে আজকে কয়টা পোষ্ট ব্লগে এসেছে ? আমি সারাদিন নেটে ছিলাম না । বলতে পারেন ত্রিভুজ ভাই । 

একটু আগে আমি যে আচরন পেলাম, তাতে আমি না হয়ে নতুন কোনো ব্লগার হলে নিশ্চিত বেচারা দমে যেত । ইসলাম নিয়ে কথা বলার উৎসাহ পাওয়াটা এই ব্লগে খুবই কঠিন ।
২৫.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
 সোনার বাংলা বলেছেন: 
+
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৯
লেখক বলেছেন: বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা আমাদের একমাত্র অনুসরনযোগ্য মানুষ । রাসুলের প্রতি সালাম ।
২৭.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫০
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

@বিবেক সত্যি
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরের প্রযন্মের ধারাবাহিকতা নিয়ে কিছু পোস্ট দিতে পারো। বাংলাদেশের সৈয়দ বংশ রাসুল (সাঃ) এর বংশ বলে প্রচার করা হয়। বিষয়গুলো কতটা ঠিক? 


এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষনামূলক কিছু বইয়ের নাম দিতে পারো.. যদি জানা থাকে।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:১৬
লেখক বলেছেন: "মুহাম্মদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন " - ---

তবে রাসুলের মেয়েদের বংশধারা সম্ভবত আছে ।বিশেষ করে ফাতিমা রা পর্যন্ত বংশধারা আমি কোন একটা বইয়ে দেখেছিলাম । 

আমি প্রচুর বই পড়েছি কিন্তু মনে রাখতে পারিনি বিশেষ কিছু :(তাই আমার কাছে বইয়ের তালিকা চেয়ে লাভ নেই :B
২৯.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
 রাগিব বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাগিব, আপনার শেষ লাইনটা কি না লিখলে হতোনা । আপনি কি পোষ্টে পোষ্টে ঘুরে বেরান, মানুষের কথা মেনুপুলেট করার সুত্রপাতটা করে দিতে ? আমি ইতোমধ্যেই পোষ্টের তথ্যসূত্র উল্ল্যেখ করে দিয়েছি । এটা আমার বানানো কিছু না । আপনার কি উচিত ছিলোনা কমেন্টগুলোতেও একটু চোখ বুলানো ?"

পোষ্টের তথ্য অনুযায়ী ইসমাইল আ বেচে ছিলেন ১৫০ বছর । আবার নুহ আ এর আয়ুষ্কাল আমরা শুনেছি ৯৫০ বছর । এখন, আপনি কি করে জানেন কোন পুরুষের আয়ুষ্কাল ঠিক কতটা ?

----

এখানে কারো আয়ুষ্কাল নিয়ে কথা বলা হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো এক প্রজন্ম হতে পরের প্রজন্মের দূরত্ব কতো। ধরা যাক, কারো সন্তান জন্মালো ৩০ বছর বয়সে। সেই ক্ষেত্রে বাবা ও সন্তানের বয়সের ব্যবধান ৩০। নাতির জন্ম এর ২৫ বছর পরে হলে সেই ক্ষেত্রে দাদার সাথে বয়সের তফাৎ ৫৫ বছর। এখানে দাদা কত বছর বাঁচলেন, তা মুখ্য না।

আপনার বানানো তা বলছি না, তবে যিনি লিখেছেন, তিনি মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন। এভাবে নবীজীর (সাঃ) সম্পর্কে হাবিজাবি তথ্য প্রকাশ করে তাঁকে অপমান করাটা ঠিক না। 

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনীকে সঠিক ভাবে তুলে ধরুন। ভুল তথ্য নিয়ে বিগলিত হয়ে থাকলে অন্যদের কাছে নিজেদেরকেই হাস্যকর করে তুলে ধরা হয়, আর সেই সাথে মহানবীর (সাঃ) বংশধারা সম্পর্কে ১০০% সঠিক ও সর্বসমর্থিত তথ্য না জানলে এক বইতে পড়া তথ্য প্রচার করতে থাকাটাও ঠিক না।

@ত্রিভুজ সাহেব

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশধারা সম্পর্কে আপনার মতো "আমার জানা মতে"/"আমার ধারণা" এরকম টাইপের কিছু জানলেও তা প্রচার করবো কেনো ... উনার সম্পর্কে আন্দাজে কথা বলতে যাবো কেনো? আপনি বলবেন নাকি, আপনার "জানা মতে"/"ধারণা অনুসারে"/"শুনেছেন" কী কী? 
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৫
লেখক বলেছেন: বাহ , আপনি দেখছি মানবেতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী :) কার কত বয়সে সন্তানাদি হয়েছে তাও দেখে এসেছেন :) 


ইসমাইল আ ছিলেন ইবরাহিম আ এর বৃদ্ধবয়সের সন্তান । আয়ুষ্কাল অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর । 

একটা আপনাদের উপযোগী পরামর্শ দেই ভাইয়া । বাংলা একাডেমীর ওই পাবলিকগুলোরে কোনো একটা ভিআইপি মিলনায়তনে ডেকে প্যাদানী দিয়ে দেন । আর একান্তই সেটা সম্ভব না হলে একটা মামলা করে দেন । আফটারঅল ইসলামের প্রতি আপনাদের যে প্রগাঢ় ভালোবাসা, তাতে ইমানের দাবীতে এই কাজ আপনাদের করা উচিত । 

কবিতা আর বংশপরম্পরা বিদ্যায় তৎকালীন আরবদের ক্ষমতা নিয়ে আমার দ্বিধা একটু কম । তারপর , এই বইয়ের লেখক ছিলেন ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহর সরাসরি তত্বাবধানের ছাত্র . 

ইবনে হিশামের এই সীরাত গ্রন্থটি সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ । সীরাত লেখক হিসেবে অদ্বিতীয় বলা হয় ইবনে হিশাম কে । 

১০০% সঠিক তথ্য যোগার করতে আপনার সাহায্য কামনা করতেছি । হেল্প প্লিজ । আমি ওই কাজটা (আপনার বিচারে ১০০% সঠিক) করতে করতে ইহজীবন ফিনিস হয়ে যাবে । মাঝের থেকে প্রিয় নবী সম্পর্কে কিছু না জেনেই ওপারে হাজির হতে হবে ।
৩১.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
 ক্যাচাল বলেছেন: লেখক@

আপনার তথাকথিত ক্রম কি নবীজী নিজে কোনসময় স্বিকার করেছিলেন? উনি নিজে কিন্তু কোনসময় বলেন নি যে উনি ৫০ তম বংশধর। উনি শুধুমাত্র উনার ৭ পুরুসের নাম বলে গেছেন। 

আপাতত আর কিছু লিখছি না, প্রিয় পোস্টে এড করা আছে, পরে ডিটেইলস আসবে। দেখি কে কি বলে।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
লেখক বলেছেন: আমার দেয়া ক্রম আপনার আদর্শিক বিশ্বাসে(নাস্তিকতা) কি কি সমস্যা তৈরী করে সেটা বলে যাবেন যখন আসবেন আবার । 

এই সীরাত রাসুলের মৃত্যুর পরে করা হয়েছে । 

এটায় কোনো ভুল থাকলে তার দায় হবে প্রধানত অনুবাদকের । 

বারবার যে কথাটি বলেছি, বংশপরম্পরা বিদ্যায় আরবরা খুবই দক্ষ ছিলেন । রাগিব যে যুক্তি দিয়েছেন , তা খুবই ছেলেমানুষী এবং হাস্যকর । মানুষের আয়ুষ্কালের হিসাব দিয়েছেন হাস্যকরভাবে । কোন ব্যক্তি কত বয়সে সন্তান পেয়েছেন, কে কতবছর বেচে থেকেছেন এব্যাপারটা উনি অবশ্যই জানেন না । আমিও পুরোটা জানিনা । তবে ওনার মত অদ্ভুত কথা বলিনি , দাদা আর নাতির বয়সের পার্থক্যের ব্যাপারে । 

মানুষের আয়ুষ্কালের অনিশ্চয়তা কে অস্বীকার করতে পারে ?

আপনার অপেক্ষায়...
৩৩.২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৯
 রাগিব বলেছেন: লেখক বলেছেন, "একটু আগে আমি যে আচরন পেলাম, তাতে আমি না হয়ে নতুন কোনো ব্লগার হলে নিশ্চিত বেচারা দমে যেত । ইসলাম নিয়ে কথা বলার উৎসাহ পাওয়াটা এই ব্লগে খুবই কঠিন ।"

আপনার পোস্ট দেখে এই ঈদে মিলাদুন্নবীর সময়ে আমিও আগ্রহ ভরে ঢুকেছিলাম। কিন্তু এরকম ত্রুটিপূর্ণ "ধারণা"র প্রচারণা দেখে আমিও দমে গেলাম। ইসলাম নিয়ে কথা বলুন উৎসাহের সাথে... কিন্তু মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ, কিছুটা "ধারণা" অনুসারে কথা বলা হয়েছে কোথায়, তা প্রচার করছেন দেখে দুঃখ পেলাম।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০০
লেখক বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবী শব্দটা ব্যবহার করা ঠিক না রাগিব ভাই ।

আপনার অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম:)

"আমার ধারনা "আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত যৌক্তিক আছে । সবচেয়ে প্রকাশ্য যুক্তি , বাংলা একাডেমীর প্রকাশিত বইটা পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ সীরাত লেখকের লেখা । বইটা আমি পুরস্কার পেয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে । আপনারা যারা বইটা এখন পড়বেন, কোন এডিট হয়ে থাকলে আমাকে জানালে ভালো লাগবে । আমি পোষ্টে নতুন পাওয়া তথ্য যোগ করে দেব ।
৩৫.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০০
 বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: এই পোস্ট নিয়ে এতো ছাগ্লামি করার দরকার কি আমি বুঝি না?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৩
লেখক বলেছেন: যদি আবার ব্লগান্দোলনের রেফারেন্স হওয়া যায় ;) অবশ্য ফারজানা আপুর পোষ্টের কমেন্টগুলো পড়ে দারুন মজা পেয়েছি । যকে বলে "ধরা " :)
৩৭.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০১
 রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়লাম, অনেক অজানা তথ্য জানলাম । ধন্যবাদ ।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৪
লেখক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । মূল বইটা পড়ার পরামর্শ রইলো ।
৩৯.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:১৩
 নেমেসিস বলেছেন: 
নবী করিমের (সাঃ) জন্মদিনে এই ধরণের ভ্রান্ত প্রচারণাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না। 

একমত । কিছু কিছু মানুষের অতিরন্জীত আবেগে ধর্মের গুনগান গাওয়া যে ধর্মের প্রতি উল্টো ধারনা জন্ম নেয় , এই পোস্ট তার উজ্জল স্বাক্ষর ।

ঈশ্বর নিশ্চই কৃপা করবেন এদেরকে ।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৭
লেখক বলেছেন: ব্লগের ধর্মানুরাগী বলে পরিচিত বেশ কয়েকজন ঘোষনা দিয়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছে ইতোমধ্যে..

ইশ্বরে অবিশ্বাসী, টুপিওয়ালাদের সমাবেশ দেখে ভয়ে কম্পমান কারো মতামত আমি ঠিক ততটা গুরুত্ব দিয়ে গ্রহন করতে পারছিনা বলে দুঃখিত :)
৪১.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২০
 দুঃখবিলাস বলেছেন: সা.ইন কি আজকাল মাদ্রাসা হয়ে গেল নাকি? তাও যদি শুদ্ধ কোন তথ্য পাওয়া যেত, তাও কথা ছিল। আজকের দিনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এক অপচেষ্টার করার জন্য মাইনাস।
@রাগিব, ধন্যবাদ। আপনার কথা যুক্তিযুক্ত।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৮
লেখক বলেছেন: সা.ইন কি আজকাল মাদ্রাসা হয়ে গেল নাকি
উফফফফ, কতটা হাস্যকর কথা মানুষ বলতে পারে রে আল্লাহ...:)

রাগিব ইজ দ্যা রেফারেন্স ম্যান অব দ্য ব্লগ :) এগিয়ো যাউন রাগিব ভাই, আমরা আছি আপনার সাথে :)

আজকের দিন ভাব (মুর্তির ) দিন না । চুপচাপ বসে থাকার জন্য আল্লাহ কোনো দিন বানান নি । রাসুল সা এর জন্মদিন পালনের সিষ্টেম যেটা সাধারন্যে প্রচলিত, তাও ইসলামের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক । 


রাসুলের জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হোক , রাসুলের কর্মপন্থা জানা এবং তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা । 

আমার পোষ্ট থেকে আর কিছু না হোক, রাসুলের জীবনি জানার আগ্রহটা তৈরী হলেও খুশি হবো । হতে পারে আমার তথ্য ভুল । তবে সেটা যাচাই করতে রাগিব ভাই কে আদর্শ না মেনে নিজে নিজে একটু খোজখবর নেয়ার অনুরোধ সবাইকে । হতে পারে, একটা বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরো হাজারটা বিষয় জেনে যাবেন ইসলাম সম্পর্কে :) 

শুভকামনা :)
৪৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৭
 বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: 
লেখক বলেছেন: ব্লগের ধর্মানুরাগী বলে পরিচিত বেশ কয়েকজন ঘোষনা দিয়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছে ইতোমধ্যে..

ইশ্বরে অবিশ্বাসী, টুপিওয়ালাদের সমাবেশ দেখে ভয়ে কম্পমান কারো মতামত আমি ঠিক ততটা গুরুত্ব দিয়ে গ্রহন করতে পারছিনা বলে দুঃখিত 


এদের নাম দিন বেকুব সত্য
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৯
লেখক বলেছেন: আইজু ভাগ :)
৪৫.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৯
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

@রাগিব সাহেব

এই পোস্টটের তথ্যগুলো অন্য একজনের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান। তাঁর গবেষণায় ভুল থাকতে পারে। তবে কোরানে এসব বংশধারা সম্পর্কিত অনেক তথ্য রয়েছে। সেগুলো এবং আরো কোন সোর্স নিয়ে হয়তো গবেষক তাঁর গবেষনা করেছে।

সেটার সমালোচনা করতে পারেন.. বলতে পারেন যে তথ্য ভুল থাকতে পারে। কিন্তু প্রজন্ম সংক্রান্ত আপনি যে হিসেব দিয়েছেন, সেটাকে সঠিক ধরে নিয়েছেন কেন? আমরা কোরান থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রজন্মের গড় বয়স, আকার, আকৃতি ইত্যাদি বিষয়ক সম্পর্কে অনেক এমন তথ্য জানি যা আমাদের এই সময়ের বা গত ১৪ বছরের মানুষের ইতিহাসের সাথে পুরোই ভিন্ন। সেক্ষেত্রে আপনার এই অজ্ঞতা প্রসূত হিসেবটাও একটা বিভ্রান্তি। আলোচ্য বক্তব্যের বিভ্রান্তি নিরসনে আপনিও আরেক বিভ্রান্তি নিয়ে হাজির হলে সেটাও দু:খজনক।
৪৬.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:২১
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

@দুঃখবিলাস 

রাগিব সাহেবের কথাগুলো কোন দলিলের ভিত্তিতে যুক্তিযু্ক্ত? নাকি সেটা রাগিব সাহেব বলেছেন তাই যুক্তিযুক্ত?
৪৭.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪৫
 নেমেসিস বলেছেন: 
ব্রাদার যার যার ধর্ম বিশ্বাস তার তার কাছে । এইটারে প্রকাশ্যে টেনে আনা দুর্বল ধর্ম চিত্ততার লক্ষন । আমি স্বঘোষিত নাস্তিক নাকি আপনি স্বঘোষিত ধর্মের বরকন্দাজ এসবে ঈশ্বর মনে হয় না তেমন মুল্য দিবেন । পৃথিবীতে করা সঠিক বেঠিক কর্মই ঈশ্বর বিবেচনা করবেন বলে জানি । 
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৪১
লেখক বলেছেন: বিশ্বাসকে প্রকাশ্যে টেনে আনার মত সাহস না থাকাটাই বরং দুর্বল চিত্ততার লক্ষন :) আমি এমন এক বিশ্বাসে বিশ্বাসী যাকে প্রকাশ্যে প্রকাশ করতে গর্ববোধ করি । 

আর আমি কোরান বিরোধী আইনের প্রতিবাদী সমাবেশের উপস্থিতির বিশালত্ব দেখে ভয় পাইনা , আনন্দ পাই :) আহ, মানুষ ইসলামকে কতটা ভালোবাসে । আহা, আমি একা নই, হাজারও মানুষ আমার সাথে রয়েছে :)
৪৯.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৭
 ক্যাচাল বলেছেন: আমার দেয়া ক্রম আপনার আদর্শিক বিশ্বাসে(নাস্তিকতা) কি কি সমস্যা তৈরী করে সেটা বলে যাবেন যখন আসবেন আবার । এই সীরাত রাসুলের মৃত্যুর পরে করা হয়েছে । 

রাসুল জীবিত থাকতে যেখানে ৭ পুরুষের নাম বলে গেছেন , সেখানে উনার বেহেশত গমনের পর ৪৯ পুরুষের নাম কিভাবে গ্রহনযোগ্য বলে আপনি মনে করেন?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৪৯
লেখক বলেছেন: আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্ট প্রশ্ন করলেন ভাই ?

রাসুলের মৃত্যুর পর তার জীবন নিয়ে গবেষণার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন কারন আমি দেখিনা ।এটা কোন ব্যাক্তির জীবন মৃত্যুর ওপর নির্ভরশীল না । আর ইসলামের একটা সিস্টেম হলো, গবেষনা বা চিন্তাভাবনার ফলাফল বিশ্বস্ত হতে হলে গবেষককেও চরিত্রবান ও বিশ্সস্ততার প্রমান রাখতে হয় । 

একারনেই দেখবেন , সন্ধ্যাবাতির চিন্তাভাবনা ইসলামপন্থীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহনযোগ্য হয় ব্লগে যেখানে নরাধমদের দুর দুর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়:)

ঠিক একই কারনে, রাগিবের কথাবার্তার চেয়ে ইবনে হিশামের বইয়ের মুল্য আমার কাছে এখনও অনেক বেশি (আপনাকে এই জবাব দিচ্ছি, নীচে রাগিবের জবাবে কিছু বলারও পরে :) )

কারো চরিত্র সম্পর্কে যদি একবার একটা ধারনা পাওয়া যায়, তবে তার কথাবার্তার মেরিট অথবা উদ্দেশ্য খুব সহজে ধরে ফেলা যায় ...
৫১.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩২
 প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৫২
লেখক বলেছেন: রাসুল সা এর আদর্শ নিজ জীবন ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা উচিত আমাদের সবার । তবেই সীরাতুন্নবী উদযাপন স্বার্থক হবে । 

মুল বইটা পারলে পড়ে নিয়েন । 

আপনাকেও ধন্যবাদ ..
৫৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৫২
 রাগিব বলেছেন: বিবেক সত্যি, দুঃখিত, জুমাতে গিয়েছিলাম বলে এতক্ষণ আপনার কথার জবাব দিতে পারিনি।

আপনি একটু রেগে গেছেন, কিন্তু লজিকালি চিন্তা করুন। মানুষের আয়ু হযরত আদম (আঃ) এর সময়ে হাজার বছর হতে পারে, কিন্তু মোটামুটি গত ৬০০০ বছর ধরে মানুষের আয়ু সর্বোচ্চ ১০০ হয়েছে বড়জোর। এটুকু বলছি, কারণ এটুকু সময়ের লিখিত ইতিহাস আছে।

পবিত্র কুরআন শরীফে অনেক স্থানের ও ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে, যেগুলো ঐতিহাসিক ঘটনা, এবং যার সময় কার্বন ডেটিং ও অন্যান্য পদ্ধতিতেও বের করা হয়েছে, পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণও পাওয়া গেছে। যেমন, হযরত মুসা (আঃ) যে ফেরাউন (ফারাও) এর হাত থেকে বনি ইসরাঈলদের মুক্ত করে তাদের নিয়ে মিশর থেকে ফিলিস্তিনে চলে এসেছিলেন, এটা যে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ বা তার আশে পাশে হয়েছে, তার অনেক পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ রয়েছে। ঐ সময়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ। কাজেই ঐ সময়ে মানুষ হাজার বছর বাঁচতো না, তাও সহজেই বোঝা যায়।

এবার দেখা যাক অংক করে কী দেখা যায় - হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে। আপনি দাবী করেন, এই বংশ পরম্পরায় হযরত ইব্রাহিম (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে সন্তান নিয়েছেন। সেটা উনার ক্ষেত্রেই রয়েছে তাই না ... অন্যদের ক্ষেত্রে তা হয়েছে বলে কি শোনা যায়? আপনার বা আমার বংশে দেখুন, প্রতি প্রজন্মের পার্থক্য হলো কেবল ২৫ থেকে ৩০ বছর "গড়ে"।

একটু বাড়িয়ে নাহয় ৪০ বছর ধরলাম গড় প্রজন্ম সময়। তাহলে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সাল পর্যন্ত ২০০০ বছরে কত প্রজন্ম হবে? সহজ অংকের হিসাবে ৫০ প্রজন্ম। নাহয় ধরলাম সবাই ৫০ বছরে সন্তানের পিতা হয়েছেন, সেই ক্ষেত্রেও ৪০ প্রজন্ম। 

কিন্তু, মিশরের পিরামিডগুলো যে তারও পুরানো! ইমহোটেপের স্টেপ পিরামিড ২৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরী, যা মহানবী (সাঃ) এর জন্মের ৩২৫০ বছর আগে তৈরী।

সেই সময়ে, মানে ৩২৫০ বছর আগে যদি ৫০ প্রজন্মও যায়, তাহলে প্রজন্ম প্রতি কত বছর হয়? ৬৫ বছর। আমরা মহানবী (সাঃ) এর আগের কয়েক পুরুষের হিসাব সহজেই জানি, উনার পিতা আবদুল্লাহ ইবন মুত্তালিব ৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন, এবং ইন্তেকাল করেন ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ২৫ বছর বয়সে। মহানবী (সাঃ) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব জন্ম গ্রহন করেন ৪৯৭ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পিতা হাশিম ইবন আবদ মানাফ (হাশিম গোত্রের প্রতিষ্ঠাতা) মারা যান ৪৯৭ সালে, উনার জন্ম কবে জানি না, তবে ধরা যাক, বেশি হলে ৫০ বছর আগেই জন্ম। সেই ক্ষেত্রে উনার জন্ম সাল ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের আশে পাশে। 

হাশিমের পিতা আবদ মানাফ ইবন কুসাই এর পিতা ছিলেন কুসাই ইবন কিলাব। কুসাই এর জন্ম ৪০০ খ্রিস্টাব্দে। 

তাহলে দেখা গেলো, কুসাই হতে মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত ৫ প্রজন্মের সময়কাল হলো ৪০০ হতে ৫৭০, অর্থাৎ ১৭০ বছর। গড়ে হয় ৩৪ বছর/প্রজন্ম। বাকি ৪৫ প্রজন্মের জন্য তাহলে বরাদ্দ থাকে ৩০৮০/৪৫, অর্থাৎ ৬৮ বছর প্রতি প্রজন্মে। 

এখন, লিখিত ইতিহাসে (ধরা যাক, ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত কেউ ওরকম ১০০০ বছর বেঁচে থাকতেন না) মানুষের আয়ু বেশি হলেও ৮০ বছর যদি ধরি, এবং ধরি যে প্রত্যেকে গড়ে ৫০ বছর বয়সে সন্তান নিয়েছিলেন, তাহলে ৩০০০ বছরে ৬০ প্রজন্ম সহজেই পার হয়ে যায়। হযরত আদম (আঃ) যে পিরামিডের আমলেরও অনেক আগে এসেছেন, সেটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না, তাই না? তাহলে কেমন করে বলেন এই বিশাল সময়ে ৫০ প্রজন্ম গেছে মাত্র?


মহানবীর (সাঃ) জন্য আপনার যে ভালোবাসা আছে, আমারও তা আছে, তাই বলে উনার বংশ সংক্রান্ত একটি ভ্রান্ত তথ্য বলে মহানবীর (সাঃ) ব্যাপারে ভুল কথা বলাটা উচিৎ না কারো। যেই ব্যক্তি এই বংশক্রম রচনা করেছেন, তিনি সম্ভবত ধারণাই করতে পারেননি, ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের অনেক আগেই হযরত আদম (আঃ) এসেছেন, তাই ৫০ প্রজন্মের এই থিওরি দিয়েছেন।

আপনি নিজে একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন এই ব্যাপারগুলো। মহানবী (সাঃ) এর ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ তথ্য পড়লেও সেটা প্রচার করাটা উচিৎ না। সুরা আন-নূর এর ৭ নং আয়াত পড়ুন। মিথ্যাবাদীদের উপরে আল্লাহর চরম গজব নাযিল হবে। কাজেই যে ব্যাপারটি ঐতিহাসিক ও সব ধরণের হিসাবেই ত্রুটিপূর্ণ, তা নিয়ে ক্রমাগত তর্ক অব্যাহত আশা করি রাখবেন না। নবীজী (সাঃ) এর জীবন নিয়ে ঠাট্টা তামাসা বা আন্দাজে কথা বলা দেখতে ভালো লাগে না।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৩৪
লেখক বলেছেন: দেখেন রাগিব, পোষ্টে প্রথমেই এসে আপনি বললেন, আমি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই পোষ্ট করেছি । এই কথাটা বলার কি কারন থাকতে পারে ? কি কি প্রমান আপনার হাতে আছে যে বিবেক সত্যি ব্লগারদের বিভ্রান্ত করার মিশনে রয়েছে । তার ব্লগেতিহাস কি এই সাক্ষ্য দেয় । আইজু-ক্যাচাল-লোকালটকদের পোষ্টে আপনার ইমানের এই দৃপ্ত শিখা (:)) কি আমি কখনও দেখেছি, মনে পড়ছে না । আপনার কথার সূত্র ধরে , সুশীল সমাজ আমাকে ভয় দেখিয়ে গেলো... বাহ, কি স্বার্থক আপনার কাজ !

পোষ্টটা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত (অনুদিত) একটা বই । আপনি এবং আপনার টিমের যে পরিমান দাপট দেখেছি ব্লগে , তাতে আপনার ওপর আমার এ ব্যাপারে আস্থা হয়েছে বলতে পারেন, যে আপনি ইসলামী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ভালো একটা ব্যবস্থা নিতে পারবেন । আপনার ইমানের সেই এক্টিভিটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম । 

আর বইটা সরাসরি পড়ার রিকোয়েষ্ট সব ব্লগারদেরকে । বইটাতে যে পরিমান সুক্ষ্ণ ও খুটিনাটি তথ্যের সমাবেশ করা হয়েছে এবং লেখকের জীবনীর যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা বইয়ের লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা জাগাতে সত্যিই সক্ষম । 

বিশাল মানবজাতির ইতিহাসকে সময়ের অংক দিয়ে এত সহজে হিসাব করা যায় না । এই পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে সময়ের আপেক্ষিকতা নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট চালানো হয়েছে । পৃথিবীর মানুষদের জীবনকাল কখন কত ছিলো , কোন পুরুষ কতটা সময় পেয়েছেন তা অংকের ধারা দিয়ে ক্যাটাগরাইজড করার কোন মানে হয়না । 

আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন । 

আর আপনার শেষ কথাটা খুবই হাস্যকর করে তুলেছে আপনাকে । এই ব্লগে রাসুলের কার্টুন প্রকাশ করা হয়েছে । রাসুলের জীবনি নিয়ে অশ্লীল রসিকতা করা হয়েছে । ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করা হয়েছে । যারা করেছে তাদের কাছে আপনি রাগিব একজন মহান কমরেড । কখনও প্রতিবাদ করেন নি । যারা প্রতিবাদ করেছে, আপনি রাগিবকে যারা কমরেড বলে সেই প্রতিবাদকারীদেরকে তারা রাজাকার বলে । তবে আপনার দাবী অনুযায়ী ইসলামের পক্ষে আপনার কোন ভূমিকা অন্তত ভবিষ্যতে চোখে পড়লে ভালোই লাগবে । 
৫৫.২২ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:০১
 রাগিব বলেছেন: @ত্রিভূজ সাহেব- গত হাজার কয়েক বছরের হিসাবে প্রজন্ম প্রতি গড়ে ৩০ বা তারও কম সময় যায়, এটা আপনি অস্বীকার করতে পারছেন? আপনার বংশে যতটুকু জানেন, একটু হিসাব করে দেখাবেন?

আর কুরআনে বর্ণিত সম্প্রদায় সমূহ অনেক ক্ষেত্রেই নিকট ইতিহাসের অনেক আগের, তাই না? নিদেন পক্ষে এর অনেকগুলো তো পিরামিড বা ফেরাউনের আমলের আগের, তাই না? উপরে হিসাব করে দেখিয়েছি। একটু নিজেও করে দেখুন। 

ইসলামকে এরকম বিকৃত করাটা উচিৎ না। ইসলামকে হেয় করার জন্য অনেকেই সক্রিয়, তাদের দলে যোগ দিয়ে নবীজী সম্পর্কে এরকম তথ্য নিয়ে কুতর্ক করবেন না। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী পড়ুন, উনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন ও সবাইকে জানান। আন্দাজে কথা বলে ও তর্ক বিতর্ক করে নবীজীর অপমান করবেন না।
৫৬.২২ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:০২
 বন্ধনহীন বলেছেন: রাগিব, কোথায় কি ঢালছেন?
নিজের মাথাটা ব্যবহার করার সাহস বা ইচ্ছা থাকলে, চিন্তা ভাবনা ছাড়া কেঊ কি এধরনের পোষ্ট দেয়?

নবীর জন্মদিনে খোদাকে প্রতিদিনের মতো আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ, তিনি নবীজিকে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৫৮
লেখক বলেছেন: বলেছেন আল-বন্ধনহীন, তাইনা ? কোরানের আয়াতের স্টাইল নিয়ে স্যাটায়ার করার দুঃসাহস তার কিভাবে হয় যে প্রতিদিন খোদাকে ধন্যবাদ দেয় ? 
৫৮.২২ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:০৮
 ইরতেজা বলেছেন: রাগিব ভাইয়ের মন্তব্যে বিপ্লব। এখন এই ব্লগটির তথ্য ভুল বলেই মনে হচ্ছে।

আদম আ মাত্র ৫০ পুরুষ পরে মহানবী (সাঃ) এর জন্ম এটা কোন ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমি এর আগে কোথাও এমন শুনি নাই। এভাবে মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে ভুল তথ্য দেবার জন্য মাইনাছ দিতে বাধ্য হলাম
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০৩
লেখক বলেছেন: বইটা পড়ে নিয়েন । এত সহজে ভুল বলে এখানেই থেমে যাওয়াটা ভালো কাজ হবে না । আর রাগিবকে বলে দিয়েন, ত্রিভুজ এধরনের বইয়ের যে তালিকা চেয়েছিলেন, সময় করে তা যেন উনি একটু দিয়ে যান ।
৬০.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৫৬
 ত্রিভুজ বলেছেন: 

@ রাগিব সাহেব
৫০ পুরুষ পরে মহানবী (সাঃ) এর জন্ম এই তথ্যে আমারো সন্দেহ আছে। সেজন্যই আমি আমার প্রথম মন্তব্যে বলেছিলাম বিষয়টা নিয়ে আরো অনেক গবেষণা হওয়ার দরকার আছে। 

তবে ৫০ পুরুষ পরে হোক আর ৫০০ পুরুষ পরেই হোক, এই ব্লগে যেসব বংশগুলোর উল্লেখ আছে, সেগুলে খুব সম্ভবত ভুল নয়... কারন এধরনের কিছু বংশের পরিচয় আমি এর আগে বিভিন্ন বই ও কোরানে পেয়েছি। এই বংশের তথ্যগুলোর জন্যই পোস্টটি আমার প্রিয় পোস্টে গিয়েছে।


যাই হোক, আপনি এত উত্তেজিত হয়েছেন কেন? এই পোস্টটা একজন গবেষকের বক্তব্যের একটা কপি পেস্ট বলতে পারেন। সেখানে পোস্ট লেখকের দায়িত্ব খুব একটা পড়ে না। তাছাড়া এই তথ্য দিয়ে ইসলামকে বিকৃত করা হলো কোন পয়েন্টে তাও বোধগম্য হলো না। এখানে কি ইসলামের মৌলিক কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে? আদম থেকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত বংশ সংক্রান্ত এই তথ্যে বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কারনে ইসলামের কোন মৌলিক স্তম্ভের ক্ষতি হচ্ছে বলতে পারেন? এই তথ্য ভুল হলেও ইসলামকে কিভাবে এখানে হেয় করা হচ্ছে বা রাসুল (সাঃ) এর অপমান হচ্ছে? আপনার বক্তব্য পড়ে তো মনে হচ্ছে এই তথ্য কেউ বিশ্বাস করলে সে কাফির হয়ে যাবে.. আর অনিচ্ছাকৃত এই তথ্য প্রচারকারীর জাহান্নাম অবধারিত!


রাগিব সাহেব, 
একটা কথা বলি... আপনি এখানে যতটা না ইসলামকে রক্ষা করতে এসেছেন, তারচাইতেও বেশী এসেছেন "বিবেক সত্যি" নামের একজন ব্লগারের প্রতি আপনার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ঢালতে। তাই আপনি এর গবেষকের প্রতি মন্তব্য না করে ব্লগারের প্রতি মন্তব্য ও আপনার আক্রমন করে গিয়েছেন। একটা কথা বলি.... কিছুদিন আগেও আপনার প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ ছিলো.. ওয়ামীর একটা বক্তব্যকে মেনিপুলেট করে আপনার চরম মিথ্যাচারীতার নমুনা দেখে আপনার প্রতি আমার নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধও নেই এখন.... 


আপনি আসলে নিজের কাছে কতটুকু সৎ সেটা নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। আমি যদি ভুল বুঝে থাকি, তাহলে আমাকে বলতে পারেন.. আমি কিছু পয়েন্ট চোখে আঙ্গুল দিয়ে আপনাকে দেখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো! তবে তারচেয়ে বেশী জরুরী নিজের কাছে সৎ হওয়া....
৬১.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৩৯
 রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই পোষ্টে উল্লেখিত বংশানুক্রম কোথাও আগে দেখিনি। যা হোক এটি ভুল হবার সম্ভাবনা। আদমের সময় থেকে ইতিহাস এত স্পষ্ট মানুষের জানা নেই মনে হয়। আর কোরআন এ তো এমন কিছু নেই। কোন হাদিসেও পাওয়া যায় না।
৬২.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:৫২
 রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এ ধরনের পোষ্ট দেবার আগে অনেক ভাবা উচিত। কেননা এর যদি কোনপ্রকার আউটপুট আসে তার সমস্ত প্রাপ্তি ও দায় দায়িত্ব কিন্তু আপনার।
৬৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:১১
 বিবেক সত্যি বলেছেন: @রন্টি চৌধুরী

আরবরা এ বিদ্যাটায় পারদর্শী ছিলো বলে তাদের স্বীকৃতি রয়েছে ...

আর হ্যা , আমি ভেবেছি । এই পোষ্টের আউটপুটের ব্যাপারে উপরে ত্রিভুজ কিছু বলেছেন । আর যাই হোক, যদিওবা এই তথ্যে সমস্যা কিছুটা থাকে তা কারো ইমানের মৌলিক কোন সমস্যা অন্তত তৈরী করবে না । আর সুশীল কে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম । তার জবাবটা পেলে এ ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হতো । 

বইটা পড়ে নিয়েন । দেখবেন তথ্যগুলো বিশ্বাসযোগ্য হবার দিকেই পাল্লা ভারী থাকবে । 

আমি আমার আন্তরিকতার ব্যাপারে নিজের কাছে নিজে নিশ্চিন্ত :) 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ...
৬৪.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:১৪
 রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ইসলাম নিয়ে পোষ্ট দেবার আরও অনেক বিষয় কিন্তু পড়ে আছে। নবীর বংশানুক্রমের চেয়ে সেগুলো অনেক বেশী গুরুত্বপুর্ন। আপনি সেসব সম্মন্ধে পোষ্ট দেন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২৭
লেখক বলেছেন: হ্যা দেবো , দোয়া করবেন ...
৬৬.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২৭
 থার্ড পণ্ডিত বলেছেন: পর্ন সাইটের এডমিন নেমেসিস, তুমি তো মিয়া টুপি দেখলেই ভয় পাও! ;) 

ফাউল কথা না বললে হয়না? অফ যাও মিয়া!
৬৭.২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৪১
 থার্ড পণ্ডিত বলেছেন: @রাগিব
ফারজানা মাহবুবার পোস্টটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫০
লেখক বলেছেন: হা হা হা.. বেচারা..;)

Click This Link
৬৯.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:২২
 রাগিব বলেছেন: @ত্রিভুজ সাহেব, আপনি বলেছেন

"রাগিব সাহেব,
একটা কথা বলি... আপনি এখানে যতটা না ইসলামকে রক্ষা করতে এসেছেন, তারচাইতেও বেশী এসেছেন "বিবেক সত্যি" নামের একজন ব্লগারের প্রতি আপনার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ঢালতে। তাই আপনি এর গবেষকের প্রতি মন্তব্য না করে ব্লগারের প্রতি মন্তব্য ও আপনার আক্রমন করে গিয়েছেন। একটা কথা বলি.... কিছুদিন আগেও আপনার প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ ছিলো.. ওয়ামীর একটা বক্তব্যকে মেনিপুলেট করে আপনার চরম মিথ্যাচারীতার নমুনা দেখে আপনার প্রতি আমার নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধও নেই এখন...."


দেখুন, বিবেক সত্যি ভাই কে তা আমি জানি না, এবং উনার পোস্টে কমেন্ট করার সময় নাম দেখে করেছি এরকম হাস্যকর ধারণা আপনার কেনো হলো, আমার মাথায় তাও আসছেনা। জিআরই পড়তে গিয়ে মাথা গরম হয়ে সম্ভবত আপনি এরকম থিওরি বের করছেন (ও হ্যাঁ, প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে আপনার?)

বিবেক সত্যি ভাইয়ের সাথে আমার কোনো বাদানুবাদ হয়েছে কি? মনে পড়ছে না, তবে সম্ভবত আমার স্মৃতি দূর্বল হতে পারে, যদি হয়েও থাকে, তার সাথে এই কমেন্টের সম্পর্ক কী?

ইসলাম সম্পর্কে অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ধর্মের মধ্যে অসত্য ও কুশিক্ষা ঢুকানোর মানে হয় না। প্রায়ই এরকম অনেক পোস্ট আসে, ধর্মের মূল বিষয়ের সাথে অসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এরকম বিভিন্ন কথা বলা হয়। তাতে ধর্মের গৌরব মোটেও বাড়েনা। আমার ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত, এবং তাকে হাস্যকর করে তুলার অপচেষ্টা মনে দুঃখ দেয়। এই পোস্টে কমেন্ট ধর্ম থেকে এরকম হাস্যকর উপকরণ দূর করারই চেষ্টা। 


@ত্রিভূজ আরো লিখেছেন,
"ওয়ামীর একটা বক্তব্যকে মেনিপুলেট করে আপনার চরম মিথ্যাচারীতার নমুনা দেখে"

এই ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যটি রীতিমত আপত্তিকর, এবং ডাহা মিথ্যা। ওয়ামী ভাইয়ের কোন মন্তব্যকে আমি ম্যানিপুলেট করেছি ও মিথ্যাচার করেছি? দয়া করে প্রমাণ সহকারে কথা বললে বাধিত হবো, নতুবা এরকম মিথ্যা অপবাদ দেয়ার অভ্যাস দূর করার জন্য আল্লাহ আপনার সহায় হোন, সেই দোয়াই করতে হবে। ওয়ামী ভাই যে পোস্ট দিয়েছিলেন, তার আগের (বা পরের) পোস্টটি আমার ছিলো, এবং ঐ পোস্টের শিরোনাম "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে" দেখে সাথে সাথে আমি উনাকে অনুরোধ করি, নির্বোধ গড্ডালিকা প্রবাহের যে সচরাচর স্রোতধারাতে অনেকে গা ভাসিয়ে থাকেন, সেরকম পোস্ট আশা করি ওয়ামি ভাই দিচ্ছেন না। এখানে মিথ্যা কথা কোনটি, দয়া করে জানিয়ে দিন। নতুবা মিথ্যা অপবাদ দেয়ার জন্য তওবা করুন।


আর আমার উপরে আপনার শ্রদ্ধা থাক বা না থাক, তাতে আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না। বিপুল পরিমাণ ট্রোলের সাথে উইকিপিডিয়াতে নিয়মিত মোলাকাত করতে করতে এরকম কথা শোনাটা অভ্যাস হয়ে গেছে। (আপনাকে "ট্রোল" বলিনি, By the way)। ভালো করে জিআরই পড়ুন। সাবজেক্ট টেস্টের ব্যাপারে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম একটা, সম্ভবত দেখেন নাই ... এটা কি এখনো নটরডেম কলেজে লিখিত ভাবে হয় নাকি অনলাইনে হয়? কবে দিচ্ছেন?) 
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৭
লেখক বলেছেন: আপনি আমার নাম দেখে কমেন্ট করেছেন তা ভাবার কারন আছে । হতে পারে, আপনি আসলে তা করেন নি ...

আমি ৭ মাস ধরে নিয়মিত ব্লগে লিখছি, এতদিনেও এতটা অপরিচিত আমি, সেটা ঠিক বিশ্বাস হয়না । গত কয়েকদিন ধরেই আপনি এমন কিছু কাজ করেছেন যা পরবর্তীতে সত্য সত্যই অন্যায় বলে প্রমানিত হয়েছে । এই পোষ্টেও একই স্টাইলে আক্রমনাত্মক ভাবে আপনি শুরু করেছিলেন । আর প্রায়ই ধর্মের গৌরব কমানোর জন্য যে সমস্ত পোষ্ট আসে, বিশেষ করে , এন্টি ইসলামিক টিমের পক্ষ হতে,. তাতে আপনাকে প্রতিবাদী হতে দেখা যায় না ...
৭১.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৯
 রাগিব বলেছেন: @বিবেক সত্যি ভাই,

আচ্ছা ঠিক আছে, আমি আমার ব্যবহৃত "বিভ্রান্তি সৃষ্টি" শব্দটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আসলে আপনি নিজে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য পোস্টটি দেননি, কাজেই এই কথাটা বলাটা হয়তো সঠিক হয়নি। তবে বাকি কথা, অর্থাৎ কেবল ৫০টি প্রজন্মে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে হযরত আদম (রাঃ) পর্যন্ত দেখানোটা একেবারেই সম্ভব না। আপনি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলে সমস্যাটা ধরতে পারবেন আশা করি। নবীজীর বংশধারা সম্পর্কে ভুল তথ্য বিশ্বাস করাটা ঠিক না, তা তো স্বীকার করবেন, তাই না? এই নিয়ে সঠিক তথ্য জানতে আমিও আগ্রহী, কিন্তু তাই বলে যেনো তেনো ভুল তথ্য পেশ করলেই তা বিশ্বাস করতে হবে, এমন কথা আমি মানি না। আপনি কি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে যে কোনো কথা শুনলেই বিশ্বাস করবেন, বিশেষ করে উনার বংশ পরিচয় সংক্রান্ত কথা? একটু ভেবে দেখুন।

যাহোক, উপরে ব্লগার "ত্রিভুজ সাহেব" দাবি করেছেন, উনার ধারণা মতে আপনার প্রতি আমার বিদ্বেষ আছে। "ত্রিভুজ সাহেব" এর এই ধারণাতে আপনি শামিল হবেন না, এটাই আশা করছি। ব্যক্তি বা ব্লগার হিসাবে আপনার সাথে আমার কথোপকথন খুব বেশি হয়নি, আর আপনার বা অন্য কোনো ব্লগারের প্রতি বিদ্বেষ রাখার প্রশ্নই আসে না। কাজেই ত্রিভুজ সাহেবের দিবাস্বপ্ন গোছের ধারণাটি ভুল বলে জানবেন। আর আমার উপরে ব্যবহৃত "বিভ্রান্তি" শব্দটি একটু বেশি হয়ে গেছে, তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি, আশা করি খুব বেশি রাগ করেননি। পোস্টে আমার কমেন্টের বক্তব্যটি নিয়ে একটু ভেবে দেখুন, এবং এই বিষয়ে নতুন তথ্য পেলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
লেখক বলেছেন: মুহতারাম শ্রদ্ধেয় রাগিব সাহেব , আপনি ঠিক কি কি কারনে আপনার আরোপিত শব্দটি তুলে নিলেন ? আপনার প্রতি ও আমার একটা অনুরোধ, আপনিও ঠিক এই একটি পয়েন্ট নিয়েই একটু ভাববেন ভালো করে + ঠান্ডা মাথায় । আপনি এসেই একটি নেগেটিভ শব্দ আমার ওপর আরোপ করলেন, ঠিক যে কাজটি এর আগে গত কয়েকদিনে আরো দুজনের ব্লগে করে এসেছেন । প্রথমজনকে নিয়ে খুব ভালো ভাবে পলিটিকস করতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয়জনকে নিয়ে পারেন নি । সাধারন ব্লগারদের কাছ থেকে প্রতিউত্তর পেয়েছেন । 

এই পোষ্টেও আপনি ঠিক একই ধরনের একটা কাজ করার চেষ্টা করলেন । এখন ত্রিভুজের জোড়ালো প্রতিবাদ এবং আমার শক্ত অবস্থানের কারনে আপনি শব্দটা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন । 

তাই বলছি গত কয়েকদিনে আপনার কিছু কাজের হিসাব নিজের মনের কাছেই দিয়েন । এবং পারলে অন্যায়কে স্বীকার করে নিয়েন, যেমনটা এখানে নিয়েছেন ।
৭৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০
 ত্রিভুজ বলেছেন: 
@ রাগিব সাহেব


ইসলাম সম্পর্কে অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ধর্মের মধ্যে অসত্য ও কুশিক্ষা ঢুকানোর মানে হয় না। প্রায়ই এরকম অনেক পোস্ট আসে, ধর্মের মূল বিষয়ের সাথে অসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এরকম বিভিন্ন কথা বলা হয়। তাতে ধর্মের গৌরব মোটেও বাড়েনা। আমার ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত, এবং তাকে হাস্যকর করে তুলার অপচেষ্টা মনে দুঃখ দেয়। এই পোস্টে কমেন্ট ধর্ম থেকে এরকম হাস্যকর উপকরণ দূর করারই চেষ্টা।

আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি... কিন্তু এই পোস্টের মাধ্যমে ধর্মে এমন কি অসত্য ঢুকলো যা ধর্মকে কলুষিত করতে পারে? ইতিহাসে ভুল থাকতেই পারে.. তাতে ধর্মের কি পরিবর্তন হবে তা বোধগম্য হলো না। 


আর ওয়ামী যে মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলেনি, সেটা আমরা সবাই জানি। আইন হাতে নেয়া সেইসব অসভ্য ও বর্বর লোকগুলোকে আপনি মুক্তিযোদ্ধা মনে করলে অবশ্য আমার কিছু বলার থাকে না। 

আমি পরের কয়েকদিন ধরেই দেখেছি আপনি প্রচার করে এসেছেন যে ওয়ামী মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলেছেন। এটা কি মিথ্যাচার নয়?


যাই হোক, আপনার "বিভ্রান্তি" শব্দটি প্রত্যাহারের কারনে আমার "ব্যক্তিগত বিদ্বেষ" শব্দগুলোও প্রত্যাহার করলাম। আমি নিজেও কারো প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ পোষণ করি না.. শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধা মন থেকে আসতে হয়... আর আমিও জানি আমার শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধায় কারো কিছু যায় আসে না.. শুধু ব্যক্তিগত একটা মতামত জানিয়েছি। এর বেশী কিছু নয়...।

ভাল থাকুন।
৭৪.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০০
 রাগিব বলেছেন: @"ত্রিভুজ সাহেব" বলেছেন,

"আমি পরের কয়েকদিন ধরেই দেখেছি আপনি প্রচার করে এসেছেন যে ওয়ামী মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলেছেন। এটা কি মিথ্যাচার নয়?"

----

তা, উনি কি অস্বীকার করেছেন? বরং আমার কমেন্টে উনার জবাবে তো এই কথার যথার্থতাই প্রমাণিত হয়।

ওয়ামি ভাই সাধারণত নির্বোধ গড্ডালিকা প্রবাহ টাইপের পোস্ট দেননা, উনার পোস্টের ও পৈতৃক কর্মকাণ্ডের সাফাই গাওয়া মতবাদের সাথে আমার বেশ মতপার্থক্য রয়েছে, তাই বলে উনার লেখনীতে অনেকের মতো মাথামোটা কথাবার্তা আসেনা সাধারণত। ধরে নিচ্ছি উনি পিতার অপমানে রাগের মাথায় লিখেছেন এটা। কিন্তু কথাটি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করেই বলা, তা সুস্পষ্ট। কাজেই এখানে মিথ্যাচারের প্রশ্ন আসে না আদৌ। আপনি বরং ওয়ামি ভাইকে প্রশ্ন করে দেখুন, উনার পোস্টের মূল শিরোনাম কী ছিলো, আমি যা উদ্ধৃত করলাম উপরে, তাই কি না।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
লেখক বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের আর কতটা অপমান আপনারা করবেন । প্লিজ স্টপ ইট ।
কয়েকটা উচ্ছৃঙ্খল বদমাসকে মুক্তিযোদ্ধা বলছেন বারবার আপনাদের মত লোকজন । এস্কিমো পিয়ালদের মত পাবলিকের পক্ষে ওটা সম্ভব , তাই বলে আপনার মত একজনের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসলেই অনাকাঙ্খিত । ওদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা আর বাংলাভাইয়ের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ইসলামের অনুসারী ভাবা ঠিক একই মাত্রার মিথ্যাচার ।
৭৬.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০১
 এস্কিমো বলেছেন: সিরাতুন্নবী আর মিলাদুন্নবী বিষয়গুলো কি? 



ত্রিভুজ বলছেন - 



আর ওয়ামী যে মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলেনি, সেটা আমরা সবাই জানি। 


- কিভাবে জানেন? আমরা বলতে কাদে বুঝাচ্ছেন?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
লেখক বলেছেন: মুসলমানের সন্তান হয়ে এই সাধারন জ্ঞানটুকু আজ পর্যন্ত অর্জন করতে পারলেন না । 
রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে তো বহুত ঘোট পাকালেন জীবনে । এবার অন্তত এদিকটায় একটু নজর দিন ।
৭৮.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০৬
 নাজিম উদদীন বলেছেন: আমার মনে হয় বিবেক সত্যি ঠিকই বলেছে। ধর্মীয় হিসেব মতে মানুষের আগমণ ৫-৬ হাজার বছরের বেশি নয়। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী সেরকম একটা সংখ্যাতেই মানুষ স্হির হয়েছে।

রাগিব যেটা করেছেন, সেটা হল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী আর বিশ্বাসকে মিলাতে চেয়েছেন আর তাতেই যত গোলমাল। এ চরম বিপরীত এ বিষয় দুটিকে যত আলাদা করা যায় ততই মঙ্গল।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
লেখক বলেছেন: বোকার মত কমেন্ট করেন কেন ? এটা ধর্মীয় কোন হিসাব নয় । এটাও ঐতিহাসিকদের গবেষণার বিষয় মাত্র ,যা করা হয়েছিল বেশ কয়েক শতাব্দী পূর্বে । 

আর আপনি যে বিষয়টার অবতারনা এখন করলেন, আমি সম্ভবত সেই বিষয়েই একটা প্রশ্ন রেখেছিলাম সুশীল সমাজের কাছে । উনি উত্তরটা দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন নি । 

এই যে, এই পোষ্টের ভুল আবিষ্কারের মাধ্যমে আপনাদের (ইশ্বরে অবিশ্বাসী) ধর্মীয় বিশ্বাসকে (যেটা উপরে বলেছেন ) অস্বীকার করার প্রানান্ত প্রচেষ্টা সেটাই কিন্তু আমার বিশ্বাসকে(পোষ্টের তথ্য সম্পর্কিত) আরো মজবুত ভিত্তি দিচ্ছে । আপনাদের কিছু একটা ভুল প্রমান করে, কিছু একটা প্রমান করার মানসিকতা আমার অবচেতন মনকে বলে দিয়ে যাচ্ছে , যে আমার পোষ্টের তথ্যে খুব একটা ভুল নেই । যাষ্ট , ব্যাপারটা হচ্ছে, এই তথ্য আপনাদের ধারনার জন্য ক্ষতিকর ।
৮০.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:১৭
 রাগিব বলেছেন: @বিবেক সত্যি 

৪৮ নং তথ্যে, অর্থাৎ আব্দুল মুত্তালিব এর বয়সের ব্যাপারে তথ্যটি সঠিক নয়। উনার জন্ম ৪৯৭ খ্রিস্টাব্দে, মৃত্যু ৫৭৮ সালে।

আর হ্যাঁ, এই ব্যাপারে একটু ঘাঁটাঘাটি করলাম। এই ব্যাপারে যা পেলাম এক জায়গায় তা এরকম (Click This Link )

বংশধারার আদনান পর্যন্ত অংশটি (আপনার তালিকায় ২৯) এর ব্যাপারে সবাই মোটামুটি একমত। (Ibn Hisham 1/1, 2; Talqeeh Fuhoom Ahl Al- Athar, p.5-6; Rahmat- ul-lil’alameen 2/11-14, 52)। কিন্তু এর পরের অংশটি, অর্থাৎ আদনান হতে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পর্যন্ত ধারাটি বিতর্কিত ও অনেকেই এটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। আর সেখান থেকে হযরত আদম (আঃ) পর্যন্ত অংশটি যে বানোয়াট, সেই ব্যাপারে মোটামুটি সবাই একমত।

কাজেই, ঐ বইটির উপরে পুরোপুরি বিশ্বাস করে না থেকে অন্য বিশেষজ্ঞদের লেখাও পড়ে দেখুন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
লেখক বলেছেন: হুমম, বিষয়টা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে-ব্যাপারটা ভালো লাগার বিষয় । আরো একটা ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে- আপনি রাসুলুল্লাহ সা এর জীবনী নিয়ে নাড়াচারা করার আগ্রহ পাচ্ছেন :)যদিও আগ্রহটা নেগেটিভ মানসিকতা থেকে হচ্ছে । তবে আশা করছি এবং দোয়াও করছি, ধীরে ধীরে মানসিকতার ব্যাপারটা পজেটিভ হয়ে যাবে এবং রাসুলুল্লাহ সা এর জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলি (তার প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা-ব্যাক্তিগত চারিত্রিক কাঠামো, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মেইনটেইন-যুদ্ধের কারন-ফলাফল ) নিয়েও পড়াশোনা এবং তার প্রাক্টিসের দিকে আগ্রহ জন্মাবে :)

রাসুল সা এর জীবনের প্রতিষ্ঠিত কাজগুলো নিয়ে আগ্রহ জন্মানোর ব্যাপারটাই মূলত বেশী গুরুত্বপূর্ণ... 
৮২.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৪২
 হোসেইন বলেছেন: আমি এই ধরনের পোস্টের মাঝে যৌক্তিকতা পাইতেষি । কারন এই ধরনের পোস্ট আসার পরে রাগিবের ব্যখ্যা , বিশ্লেষনের মাধ্যমে বাইরাইয়া আইতেছে যে , কাটপেস্ট করা এই তথ্যটি নিয়া আরো গবেষনা করার দরকার আছে । রাসুল ( সা:) এর উপর যারা গবেষনা করেন , সেই সব ইতিহাস বেত্তারা নিশ্চয়ই একদিন সর্ব স্বীকৃত একটা ইতিহাস তুলে ধরতে সক্ষম হইবেন । 

এই পোস্টটি আরো একটা কারনে বৈশিষ্ঠমন্ডিত । যারা বলে থাকেন যে ব্লগে যুক্তি দিয়া ডিফেন্ড করা উচিত , তারাও এই পোস্টটি পইড়া যাইতে পারেন । রাগিব ভাইয়ের লাগি দূ:খ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নাই ।

বিবেক সত্যির কাছে একটা অনুরোধ থাকবে এই পোস্ট আর তার কমেন্টগুলা যাতে উনি না মুছেন , এইটা ব্লগে সবার কাজে লাগার মতো নানা উপাদানে সমৃদ্ধ একটা পোস্ট ।
৮৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯
 হোসেইন বলেছেন: আমি শুনেছি যে রাসুল ( সা: ) এর আগে যতো নবী রাসুল এসেছিলেন তাদের আনুমানিক সংখ্যা একলক্ষ চব্বিশহাজার । ( আমার এই জানায় ভুল থাকলে আমার কমেন্টটি মুইছা দিয়েন @ বি.স)

আদম ( আ:)রে প্রথম এবং মহানবী ( সা: )কে শেষ নবী হিসাবে যেহেতু আমরা মানি তাইলে এই একলক্ষ চব্বিশহাজার নবী রাসুল এর মাঝেই এসেছিলেন । 

তাইলে এইখানেই সোয়ালক্ষ জেনারেশন , এদের মাঝে যদি গ্যাপ ধরি ৩০ বছর করেও তাইলেও প্রায় ৩৭ লক্ষ বছরের একটা হিসাব আসে ।

৩৭ লক্ষ বছরে মাত্র ৫০ পুরুষ গেছে এমন গবেষনা তাই গ্রহনযোগ্য লাগতেছে না ।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪
লেখক বলেছেন: সব নবী রাসুল একই এলাকায় আসছিলেন + একজনের মৃত্যুর পরে আরেকজন আসছেন ..

এই ধারনাটার ওপর ভিত্তি করে আপনি ভুলটা করেছেন । ...


প্রত্যেকটা জাতির জন্য নবী এসেছেন । এখন "প্রত্যেক" টা জাতির অবস্থান বা স্থায়িত্বের জন্য যে দুটো মাত্রার ই দরকার আছে তা হলো , স্থান এবং সময় । তাই ভিন্ন ভিন্ন স্থান এবং সময়ের বিন্যাস - সমাবেশের মাধ্যমে বড় ধরনের সংখ্যা পাওয়া সম্ভব । 
৮৫.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫
 ইয়র্কার বলেছেন: রাগিবের মন্তব্যগুলো দরকার ছিল ইসলামের নামে এদের জলজ্যান্ত মিথ্যাকে প্রচার করা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে।

তবে এগুলারে অংক শিখায়ে লাভ নেই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, এরা এমনভাবেই ওয়াশড, যে কখনও ভুল স্বীকার করবে না।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪
লেখক বলেছেন: 
এরা এমনভাবেই ওয়াশড, যে কখনও ভুল স্বীকার করবে না।..

এই কথাটা বলার কারনে আপনাকে কিছু বলতে গিয়েও বললাম না :)



আর রাগিব সাহেবের এধরনের কিছু পরিশ্রম ভবিষ্যতে ব্লগে প্রকাশিত এটিমের পোষ্টারদেরB-) পোষ্টগুলোতেও দেখার অপেক্ষায় আছি । 
৮৭.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
 কৌশিক বলেছেন: হেদায়েত প্রাপ্তির পরে সবচেয়ে বড় একটা সন্দেহ ঢুকলো আমার। তাহলে কোথায় আমি বিশ্বাস করবো? ধর্মের বিশ্বাসের সাথে কি বাস্তবতার কোন মিল নাই?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬
লেখক বলেছেন: 
হা হা হা..

ধর্মের বিশ্বাসের সাথে বাস্তবতার পুরোপুরি মিল আছে । 

আপনে সত্য সত্যই হেদায়েত প্রাপ্ত B-) ? তাইলে ধর্মের বিধিনিষেধ প্রাক্টিস করতে থাকেন । সত্য কথা বলে থাকলে শান্তি পাইবেন :) 

ধর্মের বিশ্বাসের সাথে বাস্তবতার পুরোপুরি মিল আছে আর এই পোষ্টের তথ্যের সাথে বাস্তবতার সামান্য কিছুটা অমিল আছে :)আর শেষ কথা হলো, এই পোষ্টের তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস নয় । মানুষের গবেষণা - প্রাক্টিস আর চিন্তাভাবনার ফলাফল- যা ধীরে ধীরে আপডেট হবে । এর সাথে যদি কেউ তার হেদায়েত প্রাপ্তি র টেকসইত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ে পরে তবে তো তার বিশ্বাসের ভিত্তি পুরোপুরি অজ্ঞানতার ওপর নির্মিত অথবা সে ইয়ার্কি করতেছে অথবা সে শুধুমাত্র আবেগী ;) একজন মানুষ .. অনেক প্রশংসা করলাম, কৌশিক আপনার :)
৮৯.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১২
 বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: হোসেইন ভাই,
প্রত্যেক নবী যে আলাদা আলাদা টাইমজোনে এসেছে তা মনে হয় ঠিক নয়। একি সময়ে বিভিন্ন জাতিতে আসছে। এমন কি একি জাতিতে একি সাথে কয়েক জন নবীও আসেছেন।
সরাসরি অংক কষে মনে হয় নাম্বার টা পাওয়া যাবে না।
৯০.২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১৬
 রাগিব বলেছেন: @বিবেক সত্যি ও "ত্রিভুজ সাহেব"

ভুলেই গিয়েছিলাম আপনারা বই এর রেফারেন্স খুঁজছিলেন। আমার জ্ঞান সীমিত, তাই আপাতত একটা বইয়ের রেফারেন্স দিচ্ছি। 

Click This Link

আর-রাহীক-আল-মাখতুম, লিখেছেন ইসলামী চিন্তাবিদ শেখ সাইফুর রহমান আল-মুবারকপুরী। এটা রীতিমত পুরস্কার পাওয়া বই (Its Arabic version was awarded first prize by the Muslim World League, at the first Islamic Conference on Seerah)।

(মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ হলো ইসলামী সংস্থা রাবিতা আল আলাম আল ইসলামীর অপর নাম ... আশা করি এটার নাম শুনেছেন ও এটাকে বিশ্বাস করেন :) )
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০২
লেখক বলেছেন: লিঙ্কটা দেখলাম । অনেক বড় বই বলে মনে হচ্ছে । 

আপনি যেহেতু বইটা পড়েছেন , তাই আপনার কাছ থেকে আরেকটু সময় চাচ্ছি.. 

এত বড় বইটা থেকে দরকারী তথ্যগুলি সহজে পাওয়ার জন্য ...


এই পোষ্টের তথ্য সংক্রান্ত বিষয়টা বইয়ের সূচীর ঠিক কোন লিঙ্কে আছে একটু বলে দিলে ভালো হতো । 

আর ওখানে কি আমার উল্ল্যেখিত ধারাটা আছে । তাহলে ওটা এই পোষ্টে তুলে আনতাম ।
৯২.২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭
 রাগিব বলেছেন: @হোসেইন ভাই,

আমার কিন্তু সুবিধা হইসে, এক ঢিলে তিন পাখি মারার মতো তিনটা কাজ হইসে। প্রথমে যা হইলো, আগেই লিখসি, ফালতু গণক পাহারার কাম বাদ দিয়া ইতিহাস নিয়া পড়ার অজুহাত পাইসি। দ্বিতীয়ত, ঘাটাঘাটি কইরা এই পোস্টে উল্লেখ করা বইটার তথ্য যে ঠিক না, তার উপরে পুরস্কার প্রাপ্ত বইয়ের রেফারেন্স পাইসি (যা ত্রিভুজ সাহেব ও বিবেক সত্যি চাইসিলেন) । আর ফাইনালি, ফাকতালে ত্রিভুজ সাহেবের জিআরই পরীক্ষার বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছিলোনা, ঐটাও জিগাইয়া নিসি। (যদিও উনি জবাব দিলেন না :( )।
৯৩.২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
 শাওন বলেছেন: অনেক উপকারে আসবে । ধন্যবাদ বিবেক সত্য ভাইজান ।
৯৪.২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৩
 সবুজমিয়া বলেছেন: মিস করেছি, পরে বিস্তারিত পড়বো, আপাতত + দিলাম এরকম একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য
৯৫.২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২০
 ক্যাচাল বলেছেন: বংশধারার আদনান পর্যন্ত অংশটি (আপনার তালিকায় ২৯) এর ব্যাপারে সবাই মোটামুটি একমত। (Ibn Hisham 1/1, 2; Talqeeh Fuhoom Ahl Al- Athar, p.5-6; Rahmat- ul-lil’alameen 2/11-14, 52)। কিন্তু এর পরের অংশটি, অর্থাৎ আদনান হতে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পর্যন্ত ধারাটি বিতর্কিত ও অনেকেই এটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। আর সেখান থেকে হযরত আদম (আঃ) পর্যন্ত অংশটি যে বানোয়াট, সেই ব্যাপারে মোটামুটি সবাই একমত।

রাগিবের এই কথাগুলোই এই অধম ক্যাচাল বারবার বলতে চেয়েছে। নবিজী নিজে কিন্তু আদনান পরযন্ত বলে গেছেন। কাজেই এর পরের অংশগুলো মিথ্যা। আমি বলবো ডাইরেক্ট মিথ্যা। আর কেউ যদি বলে সঠিক তাহলে ইসলাম ধরমের অস্তিত্ব নিয়ে আমার প্রশ্ন আরো ব্যাপক রুপ নিতে বাধ্য।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২
লেখক বলেছেন: আদনান বুঝি নবীজির ( সা ) সপ্তম পুরুষ ?

আপনি তো আগে বলেছিলেন নবী সা তার পূর্বতন ৭ পুরুষের নাম বলে গিয়েছেন এখন আবার বলতেছেন আদনান পর্যন্ত বলে গিয়েছেন ।

আর আপনে এই বংশক্রমে বিশ্বাস করে আপনার প্রশ্ন থেকে মুক্তি পাবেন , আপনার রোগ এতোটা সহজ বলে আমি মনে করিনা :)এধরনের রোগমুক্তির জন্য দরকার ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা এবং পজেটিভ মানসিকতা ।
৯৭.২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১২
 রাগিব বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি আমার নাম দেখে কমেন্ট করেছেন তা ভাবার কারন আছে । 

লেখক বলেছেন "এই পোষ্টেও আপনি ঠিক একই ধরনের একটা কাজ করার চেষ্টা করলেন । এখন ত্রিভুজের জোড়ালো প্রতিবাদ এবং আমার শক্ত অবস্থানের কারনে আপনি শব্দটা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন ।"

---------

আপনার উপরোক্ত দুইটি ধারণাই ভুল। প্রথমত, আপনার নাম দেখে বা আপনার পোস্ট বলেই তার বিরোধিতা করা, এই রকম কাজ আমি করি না। এখানেও না, বা অন্যত্রও না। এই ব্যাপারে আপনি ত্রিভুজ সাহেবের সাথে আলোচনা করে দেখতে পারেন :), উনার সাথে বিভিন্ন পোস্টে মতপার্থক্য হলেও উনার অনেক ভালো পোস্টে আমি উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য রেখেছি। 

এই কথা বলার পরেও আপনি ভুল ধারণা নিয়ে থাকলে আমার অবশ্য কিছু করার নাই। 

আর আপনার শক্ত অবস্থান বা ত্রিভুজ সাহেবের যুক্তিহীন কথা, কোনোটার কারণেই "বিভ্রান্তি" কথাটি সরিয়ে নেয়া নয়। ওটা কেবল সৌজন্যের খাতিরেই। এই পোস্টের বংশধারাটি ত্রুটিপূর্ণ, এবং মহানবী (সাঃ) এর ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ তথ্য পরিবেশন করা ঠিক না, একথা বলার পরেও আপনি এই তথ্য নিয়ে বাহাস অব্যাহত রেখেছেন, তাতে সেটাকে বিভ্রান্তিই বলতে হয়। তার পরেও আপনি এই শব্দটিতে বিশেষ মনোকষ্ট পাচ্ছেন দেখে আমি সেটা প্রত্যাহার করেছি ... এখানে আপনার "অবস্থান" বা "ত্রিভুজ সাহেবের প্রতিবাদ" আদৌ কিছু ব্যাপার না। আপনাকে কিছু লিংক দিলাম, ইসলামী চিন্তাবিদদের ঐ বক্তব্যের পরেও যদি আপনি নবীজীর (সাঃ) বংশধারার ত্রুটিপূর্ণ তথ্যে বিশ্বাস করতে থাকেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুন, সেই দোয়া করছি। 

---------

লেখক বলেছেন "প্রথমজনকে নিয়ে খুব ভালো ভাবে পলিটিকস করতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয়জনকে নিয়ে পারেন নি । "

এইখানেও আপনার ভুল ধারণা। ওয়ামি ভাইয়ের ব্লগে কী পলিটিক্স করেছি আমার জানা নেই। উনাকে কেবল একটা প্রশ্ন করেছিলাম ব্লগের শিরোনাম নিয়ে এবং ঐরকমের নির্বোধ শব্দচয়নের অবিমৃষ্যকারিতা নিয়ে। ওয়ামির সমর্থনে জনৈকা ব্লগার যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে আমি কমেন্ট করেছি। কিন্তু অন্ধ সমর্থন আর রাজাকারতোষণের নোংরা মানসিকতা দেখে পরে আর রুচি হয়নি কথা বলার। ত্রিভুজ সাহেবের সাথে তবুও তো বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক করা যায় ... কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্লগারের যৌক্তিক তর্ক করার অদক্ষতায় উনার পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। কাদা ঘেটে ময়লা ছড়িয়ে লাভ কী!

------------------

লেখক বলেছেন - "এই পোষ্টের তথ্য সংক্রান্ত বিষয়টা বইয়ের সূচীর ঠিক কোন লিঙ্কে আছে একটু বলে দিলে ভালো হতো । "

Click This Link

এই অধ্যায়ে ইবন হিশাম ও অন্যান্যদের উল্লেখ করা ধারাটি বলে সেটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে (উপরের কমেন্ট দেখুন)। লেখক শুরুতেই বলে দিয়েছেন, এই ধারার আদনান পর্যন্ত অংশটি গ্রহনযোগ্য, আদনান থেকে ইব্রাহিম পর্যন্ত অংশটি বিতর্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ, এবং শেষ অংশটি নিঃসন্দেহে ভুয়া। পড়ে দেখুন। ধন্যবাদ।
৯৮.২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:২০
 বিবেক সত্যি বলেছেন: নাম দেখে কমেন্ট করা : আমি বলেছিলাম, "হতে পারে, আপনি আসলে তা করেন নি".. এটা বলার পরেও ওই প্রসঙ্গে আপনার জবাব দেয়ার ব্যাগ্রতা ... ... ...। আর আমার ধারনার কারন তো বলেইছিলাম । ইসলামকে আক্রমন করে, রাসুল সা কে অপমান করে অসংখ্য পোষ্ট করেছে আপনার এটীম । তার প্রতিবাদগুলো ত্রিভুজরা করেছে । 

হুমম , আর দ্বিতীয় কথা যেটা বললেন, তার মানে হলো, আপনার সৌজন্যের পুরো ব্যাপারটাই জাষ্ট লোক দেখানো.. স্বীকারোক্তিটা ভালোই..:)

আপনাদের-ই একটা চমৎকার উদাহরন রয়েছে, উম্মু আব্দুল্লাহ ও যেটা তার লাষ্ট পোষ্টে বলেছিলেন.. কেউ একবার কোন কারনে বিতর্কিত হয়ে গেলে তার অনেক কাজই সন্দেহজনক হয়ে পড়ে... যেমনটা রাজাকারদের দেশপ্রেমের প্রকাশ নিয়ে আপনারা বলেন ... ইসলামিক মাইন্ডেড্ব্লগারদের কাছে আপনার অবস্থান ও বর্তমানে অনেকটা সেরকম, চিহ্নিত এটীমের যিনি প্রিয়পাত্র-ইসলাম বিষয়ে তার অনুসন্ধান-প্রতিবাদ সবই প্রশ্নবিদ্ধ । 

আপনার লিঙ্কটা ইবনে হিশামকে ভুল বলেই দায়িত্ব শেষ করেছে । সঠিক তথ্য কি , সেটা দিতে পারেনি । জাষ্ট একটা বিবৃতির মত ব্যাপার... 


**প্রথমজনকে নিয়ে আপনি যে পলিটিক্স করেছেন তার প্রমান হয়েছে দ্বিতীয় জনের পোষ্টে, ...মামু, থার্ডপন্ডিত, সাঈফ শেরিফ , ভাস্কর চৌধুরী (শ্রদ্ধা তার প্রতি) অত্যন্ত সুষ্পষ্ট ভাষায় আপনার ভুল ধরিয়ে দিয়েছে, এরপর ওই পোষ্টে আপনার যাবার আর সত্যিই কোন মুখ ছিলোনা.. 

ওকে, আমার হেদায়েতের জন্য- দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ, কারন আপনার দোয়ার কারন যথার্থ...
৯৯.২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪
 রাগিব বলেছেন: "আর দ্বিতীয় কথা যেটা বললেন, তার মানে হলো, আপনার সৌজন্যের পুরো ব্যাপারটাই জাষ্ট লোক দেখানো.. স্বীকারোক্তিটা ভালোই"

না ভাই, দেখলাম, আপনি এই শব্দটাতেই বিশেষ আপত্তি করছেন, তাই শব্দটা প্রত্যাহার করে নিলাম। আশা করি এখন ঠান্ডা মাথায় আমার দেয়া রেফারেন্সটা পড়বেন। আরো অন্যত্র এই বিষয়ে পড়াশোনা করে জানবেন। মূল তালিকাটি ত্রুটিপূর্ণ এবং তাকে সত্যি বলে দাবী করাটি ঠিক না, এই বক্তব্যে আমি এখনো অটল আছি। সৌজন্যটা লোক দেখানো না, আপনি "বিভ্রান্ত" করছেন এটা আর বলছিনা :)

"আপনার এটীম ।"

আমার আবার কী টিম ... উইকি-টিম ছাড়া আর তো কোনো টিম নাই। এটিম দেখতাম আশির দশকে বিটিভিতে, মোটামুটি লাগতো। এখন পুরানো সিরিজগুলো দেখতে আর ভালো লাগে নাই ... :D


".মামু, থার্ডপন্ডিত, সাঈফ শেরিফ , ভাস্কর চৌধুরী (শ্রদ্ধা তার প্রতি) অত্যন্ত সুষ্পষ্ট ভাষায় আপনার ভুল ধরিয়ে দিয়েছে, এরপর ওই পোষ্টে আপনার যাবার আর সত্যিই কোন মুখ ছিলোনা.."

ত্রিভুজ সাহেবের সাথে অন্তত কিছু রেফারেন্স-টেফারেন্স দিয়ে কাজ হয়, আপনি উপরে যেই পোস্টের কথা বললেন, সেই ব্লগারের সাথে এই ধরণের কোনো কথা বলে সময় নষ্ট করার কারণ দেখিনি। বন্ধুর হয়ে লড়কে-লেঙ্গে মনোভাব নিয়ে তিনি বসে আছেন সেই পোস্টে। থাকুক সেখানে :)


"আপনার লিঙ্কটা ইবনে হিশামকে ভুল বলেই দায়িত্ব শেষ করেছে । সঠিক তথ্য কি , সেটা দিতে পারেনি । জাষ্ট একটা বিবৃতির মত ব্যাপার..."

আপনি যেই বইটাকে বিবৃতি বলে দাবি করলেন, আন্তর্জাতিক একটি মুসলিম সংস্থা সেটাকে রীতিমত প্রথম পুরস্কার দিয়েছে ইসলাম ভিত্তিক গবেষণামূলক সম্মেলনে। আধুনিক কালের একজন ইসলামী চিন্তাবিদকে বিবৃতিবাজ বলে অপবাদ না দিয়ে বরং বইটি ও তার লেখক সম্পর্কে একটু পড়ে দেখুন। এমনি এমনি নিশ্চয় বইটি এরকম সমাদৃত হয়নি, তাই না?

ভালো থাকুন, আপনাকে ধন্যবাদ এই কারণে, আংশিক ত্রুটিপূর্ণ তালিকাটি প্রকাশ করাতে অন্তত এই বিষয়ে আমার জ্ঞান বৃদ্ধি পেলো। এখন আমার উপরে হম্বিতম্বি ও "আমার দল" বিষয়ে চিন্তা করতে না থেকে বরং বইটা পড়ে দেখুন, অনলাইনেই তো আছে। 

আর মহানবী (সাঃ) এর জীবনীর উপরে অনেক বই রয়েছে, দ্বাদশ শতকে মিশরীয় গবেষক ইবন কাথির লিখেছিলেন Al-Sira Al-Nibawiyya (The Life of the Prophet Muhammad), অনলাইনে এরকম অনেক পুরানো বইয়ের সম্পূর্ণ টেক্সট পাবেন। বিস্তারিত লিংক পেলে জানাবেন।
১০০.২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮
 আবু সালেহ বলেছেন: এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ...

প্রিয় পোস্টে যোগ করলাম....
১০১.২৪ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৬
 বিবেক সত্যি বলেছেন: আবু সালেহ ভাই, ধন্যবাদ, বইটা পারলে পড়ে নিয়েন । 

@রাগিব ভাই, 

দিনে দিনে এটীমের নির্ভরশীলতা আরো বাড়ুক আপনার ওপর+মূল বইটা পড়ার আমন্ত্রন আপনাকেও+ফারজানাকে না হোক,ভাষ্কর চৌধুরী, সাইফ শেরিফদেরকে রেফারেন্সের মাধ্যমে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনার আহবান +"হম্বিতম্বি" শব্দটা দেখে একটু হেসে আপনাকে আস-সালাম :)শুভকামনা আপনার জন্য.. 

আমার পরবর্তী কোন উপযুক্ত পোষ্টে আসার নিমন্ত্রন সহ...



১০২.২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১২
 কণা বলেছেন: হুমমম....
২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৬
লেখক বলেছেন: ১০০ তে শেষ করবো ভাবছিলাম ... B:-)
১০৪.২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৮
 ফজলে এলাহি বলেছেন: জাযাকাল্লাহ্। অসাধারণ পোষ্ট করলেন।

"আর বইখানা কোন এক সীরাতুন্নবী সা উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম গিফোট হিসেবে পাইয়াছিলাম।"

ভালো লাগলো জেনে, এবং আশা করবো 'রচনা' অব্যাহত রাখবেন।
২৬ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৫
লেখক বলেছেন: হুমম..
১০৬.২৬ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:২৩
 নতুন বলেছেন: @ রাগিব ভাই...


৫০ পুরুষ পরে মহানবী (সাঃ) এর জন্ম দেখালে সেই হিসাব ভুল তা সহজেই প্রমাণিত হয়। প্রতি জেনারেশনে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরলে মোট সময়ের ব্যবধান ঘটে বেশি হলে ২০০০ বছর। তার মানে হযরত আদম (আঃ) এর সময়কাল দেখানো হচ্ছে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব। ঐ সময়ের বহু আগের কাল থেকেই লিখিত ইতিহাস রয়েছে। মিশরের পিরামিডগুলোই আরো অনেক পুরানো।


--- এই যুক্তি যদি না চিন্তা করে... তাহলে... সবই মানা সম্ভব...

""২১. ইসমাঈল আ 


(অর্থ আল্লাহর অনুগত- আল্লাহর নির্দেশে কুরবানী হতে পিতার ছুড়ির নিচে শুয়ে পড়েছিলেন নির্দিধায়, কুরবানীর ইতিহাস এখান থেকেই শুরু, তিনি ১৩০ বছর """"

২১ নম্বর এ যদি বয়স ১৩০ বছর হয়.. এবং ৪৮. আব্দুল মুত্তালিব 

এর বয়স ১৪০ এবং রাসুল(সাঃ) এর বয়স ৬৩ হয়... তাহলে.. 

এটা অস্বাভাবিক প‌্যাটানে পড়ে না... 

তবে যারা সবকিছুতেই supernatural কিছু বিশ্বাস করার জন্য বসে থাকে ... তাদের জন্য এই পোস্ট তো বিশাল কিছু তো বটেই... :)
১০৭.০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৬
 আশার আলো বলেছেন: অনেক সাম্প্রতিক কালের বাইবেল, তৌরাত, ইঞ্জিল এর শুদ্ধ কপি যেখানে পাওয়া যায় না সেখানে হযরত আদম (আঃ) এর সময় থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া কিভাবে সম্ভব? মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে। ভুল স্বীকার করাটাই বুদ্ধিমানের লক্ষন।
১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭
লেখক বলেছেন: :) পোষ্টে কোন ভুল ছিলোনা...
১০৯.২২ শে মে, ২০০৮ রাত ২:২৬
 বিবর্তনবাদী বলেছেন: ফানি পোস্ট। মজা পেলাম।
১১০.২৬ শে মে, ২০০৮ সকাল ১০:১৪
 শেহাব বলেছেন: হিশাম নিজে যেসব রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন তার তালিকা কি ঐ বইটিতে আছে? থাকলে একটু শেয়ার করবেন? তাহলে ওনার কাজের পদ্ধতি সম্পকর্ে জানা যেত।
১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭
লেখক বলেছেন: বইটা বংশধারা নিয়ে না । 
এই পোষ্টের বিষয়গুলো শুধুমাত্র টিকা হিসেবে আছে ওই বইয়ে । 
বইয়ের কন্টেন্টের সাথে এর গুরুত্ব খুব কম ...

নিজেই পড়ে দেখেন পারলে, ইসলামী ফাউন্ডেশনের বই ।
১১২.২৮ শে মে, ২০০৮ রাত ১০:৫৮
 চাঁদের বুড়ি বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে যাই। :)
........................................
১১৩.৩১ শে মে, ২০০৮ রাত ১০:১৬
 পাপী বলেছেন: অর্ধেক পড়ে পুরোটা পড়ার ধইরযো হারিয়ে ফেলসি। জটিল সব ক্যালকুলেশন চলতেসে।
১১৪.২৫ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩
 বন্ধনহীন বলেছেন: 
নুহ আ এর আয়ুষ্কাল আমরা শুনেছি ৯৫০ বছর 

শোনা কথায় কান দিতে নাই। 

পবিত্র কোরানে নূহ (আঃ) -এর এ আয়ুষ্কালের সমর্থনে কোন আয়াত দেখিনি। 

বাইবেল থেকে চোথা মারা জাল হাদীসগুলোতে এধরণের আজগুবি জিনিস প্রচুর পাওয়া যায়।
২৫ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৯:১৮
লেখক বলেছেন: তাইলে আপনের কান নামের প্রত্যঙ্গটারে আল বিদা দিয়া দ্যান ;) ওইটার আর কোনো দর্কার নাই :)
১১৬.৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১৬
 'লেনিন' বলেছেন: মজার ঝগড়া রগড়া দেখলাম। :)

তবে যদি কোরানের রেফারেন্স থাকে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে সংখ্যার প্রকৃত অর্থ অনেক রকম ধরা হয়েছে। সাত আসমান বলতে অসীম সংখ্যা। সাত সদাই মানে কি বুঝি যতো রকমের সদাই। আমরাও ব্যবহারিক কথায় অনির্ধরিত বা অনির্দিষ্ট সংখ্যা বুঝি। ব্যক্তি বিদ্বেষটা বাংলা ব্লগের একটা অলংকার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে।
১১৭.২৬ শে মে, ২০১০ রাত ৩:০০
 উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পোস্টটা অনেক দিন পর আবার পড়লাম। পোস্ট ফিরিয়ে এনেছ বলে ভাল লাগল।
১১৮.২৬ শে মে, ২০১০ রাত ৩:১৭
 ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: 


কি হৈসিলো ইখানে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১১৯.০২ রা জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
 উরা-ধুর০০৭ বলেছেন: আলহাজ মাওলানা গনকিয়া ভুট্টা খেতিয়া রাগিবুল হাসান কুত্কুতানি বলিয়াছেন যে.......ইবনে হিসাম এর এই লিখাটি ভুল ছিলো.......

রাগিব সাহেব ......ইবনে হিসাম তার এই বইটি লিখার জন্য তার জীবনের অনেকগুলো বছর বাআই করেছেন........তা আপনি এই বই এর তথ্য কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য....আপনার জীবনের কৈই টি দিন খরচ্ করেছেন..........???

আর সবচে বড় কোঠা হচ্ছে.....আমার মনে হই রাগিব মিয়া ইবনে হিসাম এর এই বই তা পরে নাই..........পড়লে তার কাসে জিনিস গুলা পানির মতো পরিস্কার হিয়া যাইত ...........
১২০.০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৮:২৬
 উরা-ধুর০০৭ বলেছেন: আর পোস্ট তা যথারীতি প্রিয়তে.....
১২১.১৩ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:১৯
 আসল-ট্র্যাপ বলেছেন: +
১২২.২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৬
 েজ আলম বলেছেন: খুবই ভালো একটি পোষ্ট। চালিয়ে যান ভাই।

১২৩.০১ লা মে, ২০১১ রাত ১:০০
 সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: রাগিব ও লেখক যে ঝামেলাটা বাধিয়েছেন তা হচ্ছে, তারা সিরিয়ালি এক নম্বরকে দুই নম্বরের, দুইকে তিন , তিনকে চার, পনের নাম্বারকে ষোল নাম্বারের পুত্র হতে হবে ধরে নিয়েছেন। 

আসল কথা হচ্ছে, সীরাত গ্রন্থগুলোতে শুধুমাত্র উল্লেখ যোগ্য পুরুষদের নাম এসেছে। এখানে সিরিয়াল মানেই একে অন্যের পুত্র হওয়া নয়। 
সেক্ষেত্রে লেখক এই ব্যাপারটি ফুট নোট দিয়ে বুঝিয়ে বললেই ইনশা-আল্লাহ পরিস্কার হবে।

3 comments:

  1. মুহাম্মদ(সা) এর পূর্বপুরুষদের নাম আমার দরকার নাই। আমার দরকার নবীজির উত্তরপুরুষদের তালিকা

    ReplyDelete
  2. এত সময় ধরে অনেকের অনেক ধরনের কমেন্টস পড়লাম,,সবাই একটা ভুলের মধ্যে আছেন।

    রাগীব ভাই-
    আমার মন্তব্য হচ্ছে এখানে যে বংশধারা এসেছে সেটা নিছক একটির সাথে আর একটি জড়িত নয় যেমন দাদা,,বাবা,,ছেলে,তার ছেলে ,তার ছেলে,তার ছেলে।
    এমনও হতে পারে ( এটাই সত্য) এক নবীর আগমনের ২০০-৫০০-১০০০ অথবা ১৫০০ বছর পর অন্য এক নবীর আগমন ঘটেছে।
    সেক্ষেত্রে কাল বা সময় টা বৃদ্ধি পাবে। এটা নিশ্চয় মানতে হবে।

    আবার এর মধ্যে এমনও হতে পারে কোন বংশ ধারা বাদ পড়েছে,,যেহেতু এ এক প্রকান্ড ইতিহাস।

    তাই পোস্ট টি যে ভুলে ভরা বা ইসলাম বা নবীকে মানুষের কাছে ছোট করা,, তেমনটি নয় ।

    আসলে যারা ইসলাম কে ছোট মনে করে তারা সাভাবিকভাবে সবসময়ই এটা চালিয়ে যাবে আপনার আমার কথায় কান দিবেনা,,,,,।

    ReplyDelete