মেয়েটি বেঁচে আছে কিনা জানিনা...
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০১
বেশ কিছুদিন আগের কথা । জীবনে প্রথম বারের মত ঢাকায় এসেছি । উদ্দেশ্য এইচ.এস.সি. পরীক্ষাত্তর কোচিং করা । কলাবাগানের এক মেসে উঠলাম । আমার এলাকার তিন চারজন থাকেন ওখানে ।
মনির ভাইএর সাথে আমার এক্সট্রা খাতিরটা হয়েছিল সাইকেলের কল্যাণে। আমার একটা সাইকেল ছিলো বাড়িতে থাকতে । উনি প্রায় প্রতিদিন এসে সাইকেলটা নিয়ে যেতেন- এত বিরক্ত হতাম- তারপরও কিভাবে কিভাবে যেন ওনার ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেলাম ।
তো... ঢাকায় প্রথমদিনই মাথা আউলা হয়ে গেলো । কি যেন একটা হাহাকার - আমার আম্মা কোথায় আর আমি কোথায়.. কিভাবে সম্ভব আমার পক্ষে ঢাকায় থাকা
বিকেলবেলাই মনির ভাইকে বুঝাতে চাইলাম, আমি বাড়িতে থেকেই ভর্তিপরীক্ষার প্রস্তুতি নেব ।
যেভাবেই হোক উনি আমাকে ঠেকালেন...
পরদিন বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছি । সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ । ঢাকার ম্যাপে সবচেয়ে মোটা দাগের রাস্তা ..
হাটছিলাম ফুটপাথ ধরে । আচমকা কিছু অদ্ভূত শব্দ অনুভব(!) করলাম । সে শব্দ বা দৃশ্যকে মানুষের ভাষায় রূপান্তর করা যায়না । চিতকার-হাহাকার...কেমন এক মিশ্রন..
গাড়িটা কেঁপে উঠেছিলো..
একটা মেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে..তার বোনটা হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে..এদের একটা ভাই গাড়িটার পেছনে দৌড়াচ্ছে থামানোর জন্য...
মনির ভাই ছুটে গেলেন । আমি দুহাতে মুখ চেপে স্থানুর মত দাড়িয়ে রইলাম..
পরদিন সবকটা পত্রিকা উল্টেপাল্টে দেখেছি, কোথাও খবরটা পাইনি । ধারনা ছিল, ভিআইপি রোডে এক্সিডেন্টের খবর পত্রিকায় আসবে..আমি জানতে পারবো মেয়েটা বেচে আছে কিনা...
মনির ভাইএর সাথে আমার এক্সট্রা খাতিরটা হয়েছিল সাইকেলের কল্যাণে। আমার একটা সাইকেল ছিলো বাড়িতে থাকতে । উনি প্রায় প্রতিদিন এসে সাইকেলটা নিয়ে যেতেন- এত বিরক্ত হতাম- তারপরও কিভাবে কিভাবে যেন ওনার ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেলাম ।
তো... ঢাকায় প্রথমদিনই মাথা আউলা হয়ে গেলো । কি যেন একটা হাহাকার - আমার আম্মা কোথায় আর আমি কোথায়.. কিভাবে সম্ভব আমার পক্ষে ঢাকায় থাকা
বিকেলবেলাই মনির ভাইকে বুঝাতে চাইলাম, আমি বাড়িতে থেকেই ভর্তিপরীক্ষার প্রস্তুতি নেব ।
যেভাবেই হোক উনি আমাকে ঠেকালেন...
পরদিন বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছি । সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ । ঢাকার ম্যাপে সবচেয়ে মোটা দাগের রাস্তা ..
হাটছিলাম ফুটপাথ ধরে । আচমকা কিছু অদ্ভূত শব্দ অনুভব(!) করলাম । সে শব্দ বা দৃশ্যকে মানুষের ভাষায় রূপান্তর করা যায়না । চিতকার-হাহাকার...কেমন এক মিশ্রন..
গাড়িটা কেঁপে উঠেছিলো..
একটা মেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে..তার বোনটা হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে..এদের একটা ভাই গাড়িটার পেছনে দৌড়াচ্ছে থামানোর জন্য...
মনির ভাই ছুটে গেলেন । আমি দুহাতে মুখ চেপে স্থানুর মত দাড়িয়ে রইলাম..
পরদিন সবকটা পত্রিকা উল্টেপাল্টে দেখেছি, কোথাও খবরটা পাইনি । ধারনা ছিল, ভিআইপি রোডে এক্সিডেন্টের খবর পত্রিকায় আসবে..আমি জানতে পারবো মেয়েটা বেচে আছে কিনা...
২০ টি +১৫/-০
মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন
।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২১
বিবেক সত্যি বলেছেন: ভিআইপি রোডো ভিআইপি স্পিডে চলছিলো গাড়ি ..
১ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৩
সত্যদা বলেছেন: ঢাকায় পয়লা পয়লা অনেক কিছূই খারাপ লাগে... পরে গা সওয়া হয়ে যায়....
।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে মাত্রাটা বেশি হয়ে গিয়েছিলো...
২ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: + ওহ্ স্যাড!!!
।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬
বিবেক সত্যি বলেছেন: আচ্ছা, ভিআইপি রোডের এক্সিডেন্টের খবর কি পত্রিকায় ছাপানো হয়না ?
৩ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৯
রুম্মান বলেছেন: sad
৪ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮
সত্যদা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা, ভিআইপি রোডের এক্সিডেন্টের খবর কি পত্রিকায় ছাপানো হয়না অমন বালক সুলভ জিজ্ঞাসায় আপ্লুত... ব্যাটা নিউজ এডিটরের গালে একখান চটকনা মাইরা আসেন।
।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
বিবেক সত্যি বলেছেন: আচ্ছা
৫ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮
সারিয়া তাসনিম বলেছেন: যে কোন রোডের যে কোন এক্সিডেন্ট ই দুঃখজনক । তবে বেশিরভাগ দূর্ঘটনাগুলো হয় পথচারীদের অসতর্কতায় ।
৬ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
নেহার পুরকায়স্থ বলেছেন: প্রার্থণা করি মেয়েটা যেনো বেঁচে থাকে।
৭ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫
নিহন বলেছেন: SAD আমিও প্রার্থণা করি মেয়েটা যেনো বেঁচে থাকে।
৮ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯
প্রশাসন বলেছেন: যে কোন রোডের যে কোন এক্সিডেন্ট ই দুঃখজনক । তবে বেশিরভাগ দূর্ঘটনাগুলো হয় পথচারীদের অসতর্কতায় ।
৯ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: @সারিয়া তাসনিম @প্রশাসন জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তার একটা দুর্ঘটনার খবর পত্রিকায় কেন পেলাম না , এটাই আমার আক্ষেপ
১০ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২
বিবেক সত্যি বলেছেন: @রুম্মান ,নেহার পুরকায়স্থ ,নিহন -ধন্যবাদ, আমারও একই প্রার্থণা । সেই সাথে, এটাও... কোনভাবে কোনএকদিন সেটা যেন জানতে পারি...
১১ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১৫
কণা বলেছেন: আমি অনেক এক্সিডেন্ট দেখেছি... নিজেও এক্সিডেন্ট করেছি... একবার আমি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ৫/৬ বছরের একটা ছোট্ট মেয়ে রাস্তার ওপর দৌড় দিয়ে পার হতে যাচ্ছিল... ওই মেয়েটার মা পাশে এক মহিলার সাথে গল্প করছিল... উনি দেখতেই পান নি কখন মেয়েটা দৌড় দিয়েছে । একদিক দিয়ে একটা বাস আসছিল, আর অন্যদিকে আমাদের গাড়ি । ড্রাইভার আঙ্কেল গাড়ি কোনমতে ফুটপাথে নামিয়ে নিলেন... আর ওই বাসটা তাল সামলাতে না পেরে এক রিক্সাকে ধাক্কা দিল... আমি ভয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম... ওই মেয়েটার চিৎকার শুনতে পেলাম... আমাদের গাড়ি চলে যাচ্ছিল... আমি বললাম, কি হয়েছে না দেখে পরীক্ষা দিব না । আমাকে না বুঝাতে পেরে গাড়ি আবার ব্যাক করলো... তারপর আঙ্কেল দেখে আমাকে বলল কিছু হয়নি । আমি বুঝছিলাম মিথ্যা বলছে । আমি নিজের চোখে দেখতে চাইলাম । আঙ্কেল ক্ষেপে গিয়ে আমাকে রেখে ওই মেয়েটা আর রিক্সাওয়ালাকে নিয়ে হাসপাতাল চলে গেলেন । পরে জানতে পারলাম, মেয়েটার তেমন কিছু হয়নি, কিন্তু যে রিক্সাওয়ালাটা রিক্সার ওপর বসে বসে ঘুমাচ্ছিল সে মারা গেছে । জীবনটা কেমন... কার মরার কথা আর কে মরে গেল...
।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২১
বিবেক সত্যি বলেছেন: ইস... কার মরার কথা আর কে মরে গেল.. সেটাই.. আনসার্টেইনিটি...
১২ ।২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
আবূসামীহা বলেছেন: দুঃখজনক। আমাদের দেশোদ্ধারকারী সংবাদকর্মীরা ঐ মেয়েটির খবরকে হয়তো খুব জরূরী কিছু মনে করেননি।
।২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
বিবেক সত্যি বলেছেন:
১৩ ।২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭
পান্জেরী বলেছেন: +
।২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২
বিবেক সত্যি বলেছেন: ওকে, থ্যাঙ্কস...
১৪ ।৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৪৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভালো লাগল।
No comments:
Post a Comment